সুলতানি আমলের ইতিহাস রচনায় ঐতিহাসিক রচনাবলির গুরুত্ব কতটা? সংক্ষেপে লিখ।

উত্তর : ভূমিকা : সুলতানি শাসনামলে আরবি ও ফার্সি ভাষায় গ্রন্থ রচনার প্রবণতা বেশি ছিল। সাহিত্যিক, ঐতিহাসিক ও পর্যটকেরা এ সময় নানা ঐতিহাসিক লেখা লিখেন। তাদের বর্ণনা থেকে সুলতানি আমলের সর্বজনীন প্রেক্ষাপট অনেকাংশে জানা যায়। এ সকল উপাদান আমাদের তথ্য ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। সুলতানি শাসনামলের ঐতিহাসিক রচনাবলি: আবুল ফজল বাইহাকী রচিত, “তারিখ-ই-আল-ই-সবুক্তগীন” উত্তী রচিত, “তারিখ-ই-ইয়ামিনী” জিয়াউদ্দিন বারানী কর্তৃক রচিত, “তারিখ-ই-ফিরোজশাহী” আব্দুল মালিক ইসামী রচিত, “ফুতুহ-
উস-সালাতীন” ঐতিহাসিক রচনাবলির অন্যতম। কবি আমির খসরুর রচনাবলিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। বিদেশি পর্যটক ইবনে বতুতা রচিত,৷ “তুহফাত-উন-নুজ্জার-ফি-গরাইব-আল-
আমসার” বা “রেহালা-ই-ইবনে বতুতা” তে সুলতানি আমলের শাসনব্যবস্থা, সামাজিক জীবন, রাজদরবারের বর্ণনা আছে।
“হিদায়াহ”, “ওয়াকেয়াহ”, এসময়ের উল্লেখযোগ্য আইনসংক্রান্ত পুস্তিকা। এছাড়া ভারতীয় মুসলিম ও অমুসলিম ঐতিহাসিকদের ইংরেজিতে লিখিত গ্রন্থও সুলতানি ইতিহাস রচনা অবদান রেখেছে।
উপসংহার : মধ্যযুগের সুলতানি শাসনামলের ইতিহাসের উৎস সীমাবদ্ধ হলেও কতিপয় ঐতিহাসিক উৎস বা রচনা থেকে এ যুগের ও সমসাময়িক সময়ের সামগ্রিক তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায়। যা আমাদের গৌরবাজ্জ্বল ঐতিহ্য বহনে সহায়তা করে। সুলতানি আমলের ইতিহাসের উৎস হিসেবে ঐতিহাসিক উৎস গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a5%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%ac/