সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহ কি কি?

উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ সভ্যতার মরিকাশ এবং শিল্পায়ন ও শহরায়ন সৃষ্ট আর্থ-সামাজিক জটিলতার প্রেক্ষিতেই সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুসংগঠিত ও পরিকল্পিত রূপ ধারণ করেছে। পরবর্তীকালে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা এই ব্যবস্থাকে রাষ্ট্রীয় কর্তৃব্য ও দায়িত্ব হিসেবে সমগ্র বিশ্বেই জনকল্যাণের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিম নয়।
বাংলাদেশে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও অনেক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
→ সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচি ঃ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহ মূলত দুই ধরনের। তবে বর্তমানে নতুন আরও একটি ধরন যুক্ত হয়েছে। যথা :
১. সামাজিক বিমা,
২. সামাজিক সাহায্য ও
৩. সামাজিক সেবা।
নিচে এ প্রকারগুলোর সম্যকধারণা প্রদান করা হলো ঃ
১. সামাজিক বিমা : ILO তথা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এর সুপারিশমে কর্মচারীর কল্যাণে ১৯৬২ সালে বিমা ব্যবস্থার অনুমোদন হয়। সামাজিক বিমা সম্পর্কে R.C.Saxena বলেন- সামাজিক বিমা হলো এমন একটি পদ্ধতি যা
ব্যক্তিকে দারিদ্র্য ও দুর্দশায় নিক্ষিপ্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং জরুরি সময়ে রক্ষা করে এই আইন অনুযায়ী মাতৃত্ব সুবিধা, কর্মচারী দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতি সুবিধা দেওয়ার বিধান চালু করা হয়।
২. সামাজিক সাহায্য ঃ সামাজিক সাহায্য সমাজে অক্ষম, দুর্বল, অসহায়, বর্ধিত, আকস্মিক দুর্ঘটনা কবলিত এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত মানুষের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
৩. সমাজসেবা : সমাজসেবা বলতে যেসব সংঘটিত কার্যাবলির সমষ্টিকে বুঝায় সেগুলো প্রাথমিক ও প্রত্যক্ষভাবে মানব সম্পদ উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও প্রতিরোধের সাথে সম্পৃক্ত। সমাজসেবামূলক কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শিক্ষা, শিশুকল্যাণ, পরিবার কল্যাণ, নারীকল্যাণ, শ্রমকল্যাণ, যুবকল্যাণ, সংশোধনমূলক কার্যম, মানসিক স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য প্রভৃতি।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক নিরাপত্তা এমন এক ধরনের কল্যাণমূলক ব্যবস্থা যার মাধ্যমে সমাজের অসহায়তা, অসুস্থতা, বেকারত্ব, বার্ধক্যজনিত নির্ভরশীলতা, পেশাগত দুর্ঘটনা ইত্যাদি দুঃসময়ে জনগণের আয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করে। সামাজিক নিরাপত্তা হলো জনগণের দুঃসময়ের জন্য গৃহীত এক
ধরনের কল্যাণমূলক ব্যবস্থা।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহ কি কি?

উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ সভ্যতার মরিকাশ এবং শিল্পায়ন ও শহরায়ন সৃষ্ট আর্থ-সামাজিক জটিলতার প্রেক্ষিতেই সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুসংগঠিত ও পরিকল্পিত রূপ ধারণ করেছে। পরবর্তীকালে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা এই ব্যবস্থাকে রাষ্ট্রীয় কর্তৃব্য ও দায়িত্ব হিসেবে সমগ্র বিশ্বেই জনকল্যাণের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিম নয়।
বাংলাদেশে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও অনেক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
→ সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচি ঃ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহ মূলত দুই ধরনের। তবে বর্তমানে নতুন আরও একটি ধরন যুক্ত হয়েছে। যথা :
১. সামাজিক বিমা,
২. সামাজিক সাহায্য ও
৩. সামাজিক সেবা।
নিচে এ প্রকারগুলোর সম্যকধারণা প্রদান করা হলো ঃ
১. সামাজিক বিমা : ILO তথা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এর সুপারিশমে কর্মচারীর কল্যাণে ১৯৬২ সালে বিমা ব্যবস্থার অনুমোদন হয়। সামাজিক বিমা সম্পর্কে R.C.Saxena বলেন- সামাজিক বিমা হলো এমন একটি পদ্ধতি যা
ব্যক্তিকে দারিদ্র্য ও দুর্দশায় নিক্ষিপ্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং জরুরি সময়ে রক্ষা করে এই আইন অনুযায়ী মাতৃত্ব সুবিধা, কর্মচারী দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতি সুবিধা দেওয়ার বিধান চালু করা হয়।
২. সামাজিক সাহায্য ঃ সামাজিক সাহায্য সমাজে অক্ষম, দুর্বল, অসহায়, বর্ধিত, আকস্মিক দুর্ঘটনা কবলিত এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত মানুষের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
৩. সমাজসেবা : সমাজসেবা বলতে যেসব সংঘটিত কার্যাবলির সমষ্টিকে বুঝায় সেগুলো প্রাথমিক ও প্রত্যক্ষভাবে মানব সম্পদ উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও প্রতিরোধের সাথে সম্পৃক্ত। সমাজসেবামূলক কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শিক্ষা, শিশুকল্যাণ, পরিবার কল্যাণ, নারীকল্যাণ, শ্রমকল্যাণ, যুবকল্যাণ, সংশোধনমূলক কার্যম, মানসিক স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য প্রভৃতি।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক নিরাপত্তা এমন এক ধরনের কল্যাণমূলক ব্যবস্থা যার মাধ্যমে সমাজের অসহায়তা, অসুস্থতা, বেকারত্ব, বার্ধক্যজনিত নির্ভরশীলতা, পেশাগত দুর্ঘটনা ইত্যাদি দুঃসময়ে জনগণের আয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করে। সামাজিক নিরাপত্তা হলো জনগণের দুঃসময়ের জন্য গৃহীত এক
ধরনের কল্যাণমূলক ব্যবস্থা।