ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ।

উত্তর. ভূমিকা ঃ আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী বা বেসরকারি সমাজকল্যাণের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী সংস্থা হলোওয়ার্ল্ড ভিশন। খ্রিস্টান ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ এ সংস্থাটি ১৯৫০ সালে এতিম দুঃস্থ শিশুদের সেবা যত্নের মধ্য দিয়ে সমাজকল্যাণে যাত্রা শুরু করে। বর্তমান বিশ্বে উন্নয়ন, শিশু পরিচর্যা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সর্বোপরি সমাজের কল্যাণে সংস্থাটি নিয়োজিত রয়েছে।
→ ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ঃ ১৯৫০ সালে অনাথ, দুঃস্থ, শিশুদের পরিচর্যার মধ্য দিয়ে ওয়ার্ল্ড ভিশন নামক সংস্থার যাত্রা শুরু হয়। কালক্রমে শিশু ও তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে সমৃদ্ধভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা
করতে থাকে সংস্থাটি। বাংলাদেশে ১৯৭০ সালে উপকূলীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের কারণে দুর্যোগ দেখা দেয়। এই দুর্যোগকবলিত মানুষের মধ্যে সেবা ছড়িয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে ওয়ার্ল্ড ভিশন সেবামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালে আন্তর্জাতিক ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে ভারতের ওয়ার্ল্ড ভিশনের সহায়তায় সেখানে রিলিফক্যাম্পে এ সংস্থা ত্রাণ কার্য পরিচালনা করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকায় ওয়ার্ল্ড ভিশন সর্বপ্রথম কাজ শুরু করে। বর্তমানে ৩৬টি এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে সংস্থাটি জড়িত এবং
এর মাধ্যমে প্রায় আড়াই মিলিয়ন মানুষ শিশু পরিচর্যা, দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্রাণ ও পুনর্বাসন, নারী ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং মানবীয় চাহিদার অন্যান্য দিক পূরণে সহায়তা পাচ্ছে।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশে উন্নয়নের ক্ষেত্রে নানামুখী কর্মকাণ্ডের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এ সংস্থাটি বাংলাদেশে তার কর্মধারা ও বহুমুখিতা দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে। এই প্রসারতার মধ্যে তাঁর একটি লক্ষ্যণীয় দিক হলো তাতে মানব উন্নয়ন ও জীবন মান উন্নয়ন প্রসঙ্গ বিশেষ তাৎপর্যবাহী রূপে বিবেচিত।