উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ১৯৪৬ সালের ৪ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (UNESCO) । বিশ্বব্যাপী এ সংস্থা তার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শক্তিশালী প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রণয়ন করছে। যা তার সকল কর্মকাণ্ডে বিচক্ষতার সাথে পরিচালনা করে।
UNESCO প্রশাসনিক কাঠামো ঃ ইউনেস্কোর সাংগঠনিক বা প্রশাসনিক কাঠামো ৩টি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত। নিম্নে এর সাংগঠনিক কাঠামো আলোচনা করা হলো ঃ
১. সাধারণ সম্মেলন ঃ UNESCO’র সাধারণ সম্মেলন পরিচালনা সংস্থা নামেও পরিচিত। এটা সকল সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়। প্রতিবছর এক বার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি সদস্য রাষ্ট্র ৫ জন প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পারে; তবে ভোট একটি মূল কর্মসূচি নির্ধারণ, প্রতিবেদন প্রস্তুতি, আলোচনা, কার্যনির্বাহী পর্ষদের সদস্য নির্বাচন
ও মহাপরিচালক নিয়োগ এর প্রদান কাজ।
২. কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সম্মেলন কর্তৃক নির্বাচিত ২৪ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। এর সভা বছরে অন্তত দুবার অনুষ্ঠিত হয়। পর্ষদের প্রস্তাব কার্যকরীকরণ, বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান, মহাপরিচালক নিয়োগ মহাপরিচালকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ, নতুন সদস্যদের গ্রহণ সুপারিশ পেশ প্রভৃতি।
৩. সচিবালয় ঃ মহাপরিচালক ও অন্যান্য কর্মচারী নিয়ে এটি গঠিত, যা কার্যনির্বাহী পর্ষদের ও সংস্থার কাজকর্ম পরিচালনা করে।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, নির্দিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামোর মাধ্যমে UNESCO তার কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। প্রতিটি সংস্থা তাদের কর্মকাণ্ড আলাদা আলাদাভাবে পরিচালনা করে থাকে। নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুনের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ার জন্য আজ বিশ্বব্যাপী UNESCO সুনাম কুড়াতে সক্ষম হয়েছে।