উত্তর : ভূমিকা : বাংলাদেশে নারীদের কল্যাণ সাধনকল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ গৃহীত হয়ে আসছে। ফলশ্রুতিতে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। গ্রামীণ নারীদের কল্যাণার্থে সারা দেশে আজ নারীদেরকে সর্বক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তবুও বাংলাদেশে নারী কল্যাণ কার্যক্রমের সীমাবদ্ধতাগুলো বেশ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যা সমাজ উন্নয়নের
প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশে নারীকল্যাণ কার্যক্রমের সীমাবদ্ধতাগুলো ঃ বাংলাদেশে বিদ্যমান নারীকল্যাণ কর্যক্রমের
সীমাবদ্ধতাগুলো নিম্নরূপঃ
১. নীতিসমুহ যথার্থ অনুসৃত না হওয়া ৪ নারীকল্যাণের কার্যক্রমের অন্যতম প্রধান সীমাবদ্ধতা হচ্ছে নারী উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন নীতির যথার্থ অনুসৃত না হওয়া। যা নারীদেরকে আত্মনির্ভরশীল হয়ে দেশ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে বাধা দিচ্ছে।
২. দক্ষ জনশক্তির সংকটঃ যে কোনো কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বস্তবায়নের জন্য দক্ষ জনশক্তির একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তির দৃঢ় সংকট পরিলক্ষিত হচ্ছে।
৩. পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নে বাধা ঃ বাংলাদেশে নারী কল্যাণের লক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্ত
বায়নে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। যা একে ব্যর্থ করে দিচ্ছে।
৪. সঠিক পরীক্ষণ ও মূল্যায়নের অভাব ঃ নারী কল্যাণে লক্ষ্যে পরিচালিত কার্যক্রমের পরীক্ষণ ও মূল্যায়ণে সঠিকভাবে প্রচেষ্টা চালানো হয় না।
৫. প্রশাসনিক জটিলতা : প্রশাসনিক জটিলতা নারী কল্যাণ কার্যক্রমের সবচেয়ে বড় বাধা। এর কারণে যথাসময়ে কোনো কার্যক্রমই বাস্তবায়িত হতে পারে না।
৬. যথার্থ সমন্বয়ের অভাব ঃ নারীকল্যাণের বিভিন্ন কর্মসূচি ও সংস্থাসমূহের মাঝে যথার্থ সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। যার দরুন নারীদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলতে পারি যে, নারী কল্যাণ নারীর উন্নয়নই নির্দেশ করে থাকে। বাংলাদেশের অর্ধেক নারী সদস্যকে উন্নয়নের ছোঁয়াদানে সমাজের আমূল পরিবর্তন সাধন সম্ভব হয়। তাই নারী কল্যাণের সীমাবদ্ধতাগুলো অচিরেই দূর করতে হবে।