পরিকল্পনার পদ্ধতি বা কৌশলগুলো সংক্ষেপে তুলে ধর।

উত্তর : ভূমিকা ঃ পরিকল্পনা হচ্ছে প্রত্যাশিত কোনো কার্য সম্পাদনের পূর্ব প্রস্তুতি। এই প্রস্তুতি সম্পন্ন হয় মূল কোন কার্যক্রম, প্রক্রিয়া বা কৌশল অনুসরণের মাধ্যমে। এরূপ কার্যক্রম বা প্রক্রিয়া কখন, কোথায় কিভাবে, কার মাধ্যমে, কম সময়ে, কম অর্থব্যয়ে ও কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে তাই পরিকল্পনা নির্দেশ করে। যে-কোনো
সমাজ বা দেশের আর্থ-সামাজিক কল্যাণ ও উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি ও পূর্বশর্ত হচ্ছে বাস্তবমুখী পরিকল্পনা। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ব্যতিরেকে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। পরিকল্পনা হচ্ছে ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের রূপরেখা বা সুশৃঙ্খল পদক্ষেপ।
→ পরিকল্পনার শ্রেণিবিভাগ ৪ পরিকল্পনা একটি ব্যাপকভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদি ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এজন্য বুদ্ধিমত্তা
ও সৃজনশীলতার প্রয়োজন হয়। পরিকল্পনার সময় পরিধি প্রায়োগিকতা, উপযোগিতা, প্রভৃতি মূলত একটি দেশের আর্থ- সামাজিক, সাংস্কৃতিক অবস্থা ও জনগণের জীবনমানের উপর নির্ভর করে। এজন্যই পরিকল্পনাবিদরা বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছেন। নিম্নে বিভিন্ন মনীষীদের মতামত উল্লেখপূর্ব পরিকল্পনার বিভিন্ন শ্রেণিবিভাগ তুলে ধরা হলো :
Professor Benamin Higgnis (1958) পরিকল্পনার চার ধরনের শ্রেণিবিভাগের কথা উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলো :
১. জটিলতা নিক্ষেপ (Trouble shooting)
২. প্রকল্প পরিকল্পনা (Project planning)
৩. খাতওয়ারী পরিকল্পনা (Sectoral planning)
৪. লক্ষ্যাভুক্ত পরিকল্পনা (Target planning)
অন্যদিকে M. L Seth (1984) দুই ধরনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছেন যেগুলো একটি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও উৎপাদন ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে প্রয়োগ করা হয়। এগুলো হলো :
১. পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় পরিকল্পনা (Planning udersocialism)
২. সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিকল্পনা (Planning udersocialism)
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, উপরোক্ত পরিকল্পনার শ্রেণিবিভাগের পরপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে, পরিকল্পনা স্থান, কাল, অবস্থান প্রভৃতি ভেদে ভিন্ন হয় এবং ভিন্ন ভিন্ন কার্য বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।