জাতীয় যুব নীতির উদ্দেশ্যাবলি উল্লেখ কর।

উত্তর ভূমিকা ঃ যুবকরা এ দেশের সম্পদ হিসেবে সম্পদ বিবেচিত। তাদের কাজ দিতে না পারলে তারা দেশের জন্য বোঝা হিসেবে চিহ্নিত হয়। যুবকদের শক্তিতে পরিণত করার জন গঠন করা হয়েছে যুব অধিদপ্তর, দেশের যুবকদের আর্থ- সামাজিক সমস্যা সমাধান এবং উৎপাদনমূখী শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধার নিমিত্তে ১৯৮০ এর দশকে প্রথম যুব নীতি প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তীকালে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ২০০৩ সালে সংশোধিত যুব নীতি প্রণয়ন করা হয়।
→ জাতীয় যুব নীতির উদ্দেশ্য বলি ৪ জাতীয় যুব নীতির উদ্দেশ্য বলি নিচে উল্লেখ করা হলো ঃ
১. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ও নীতি আদর্শের প্রতি যুবকদের মাঝে সচেতনতা ও শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি একই সাথে যুবকদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, ও সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ।
২. যুবদের ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে যথোপযুক্ত বাস্তবমুখী শিক্ষা ও দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা।
৩. স্থানীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও ঋণপ্রদানের মাধ্যমে আত্ম-কর্মসংস্থানের প্রতি যুবকদেরকে বিশেষ করে বেকার যুবকদেরকে উৎসাহিত করা ও তাদের অন্তর্নিহিত সকল সম্ভাবনাময় গুণাবলির বিকাশের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা।
৪. জাতীয় উন্নয়নের মূলধারার সাথে অংশীদার হিসেবে সম্পৃত্তা হওয়ার মতো উপযুক্ত করে যুবকদেরকে গড়ে তোলা ।
৫. গৌরবময় সকল ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের প্রতি সচেতনা সৃষ্টিসহ যুবদেরকে নৈতিক অবক্ষয় ও বিপথগমিতা থেকে রক্ষা করে নৈতিক ও সমাজ গঠনমূলক কাজে সম্পৃক্তা করা এবং অপরাধমূলক সকল কার্যক্রম থেকে নিবৃত্ত রাখার পরিবেশ সৃষ্টি করা ।
৬. স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমে উৎসাহিত হওয়ার জন্য যুবদের কে সহায়তা করা এবং জাতীয় সেবামূলক বিভিন্ন কাজে যেমন- টিকাদান, বৃক্ষরোপণ, এইডস, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার প্রতিরোধ এবং পুনর্বাসন ইত্যাদি কাজে যুবকদের সম্পৃক্ত করা।
৭. সাহিত্য, সংস্কৃতি, খেলাধূলাসহ সুস্থ বিনোদনমূলক সকল কার্যক্রম যুবকদের অবদান রাখার ও অংশগ্রহণ করার
সুযোগ সৃষ্টি করা এবং এ ব্যাপারে সকর প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা ।
৮. তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এর সাথে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত হবার সকল সুযোগ নিশ্চিত করা।
৯. যুব বিষয়ক তথ্য ও গবেষণা কেন্দ্র পরিচালনার মাধ্যমে যুব সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি প্রাপ্তির অবাধ সুযোগ নিশ্চিত করা।
১০. গ্রামীণ পর্যায়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে যুবকদের যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে যথোপযুক্ত উৎপাদনমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, সর্বোপরি জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে অধিকতর গতিশীল করার লক্ষ্যে উন্নয়নের
সকল স্তরের এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুবক ও যুব মহিলাদের সমাহারে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা।