উত্তর : ভূমিকা ঃ জাতীয় জনসংখ্যা নীতি একটি সফল নীতি একথা জোর গলায় বলা যাবে না। এ নীতিতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং প্রজনন স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ফলে দেশের আপাময় জনস্বার্থের এ নীতি গুরুত্ব পায়নি।
→ জনসংখ্যা নীতির পরিপূর্ণতা আনয়নে নিম্নোক্ত সুপারিশমালা দেয়া হলো ঃ
প্রথমত, জাতীয় জনসংখ্যা নীতিতে যুবসমাজের কথা খুব একটা বলা হয়নি। অথচ এ দেশের জনসংখ্যা একটি বিশাল অংশ হলো যুব সম্প্রদায়। তাই এ নীতিতে যুবকদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারটি সুনির্দিষ্টভাবে স্থানে দিতে হবে।
দ্বিতীয়ত, জনসংখ্যা নীতিতে দেশের জনগণের উন্নয়নের জন্য তেমন সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নেই। তাই দেশের মানব সম্প্রদায়ের উন্নয়নের স্বার্থে যুগোপযোগী নির্দেশনা থাকা অতি জরুরি।
তৃতীয়ত, জনসংখ্যা নীতিতে জনগণের কথা বলা হলে ও দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য বিশেষ কোনো কার্যক্রমের কথা উল্লেখ নেই । তাই জনসংখ্যা উন্নয়নে দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি থাকা অত্যাবশক।
চতুর্থত, দেশের নারী সমাজের উন্নয়নে বিশেষ কোনো কর্মসূচি এ নীতিতে অনুপস্থিত। অথচ দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। তাই নারীদের শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং ক্ষমতায়নের নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন ।
পঞ্চমত, জাতীয় জনসংখ্যা নীতিতে শিশুদের স্বাস্থ্য সেবার কথা বলা হলেও তাদের সামগ্রিক উন্নয়নে কোনো কর্মসূচি নেই । তাই শিশুদের সার্বিক উন্নয়নের নীতিতে নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন ।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, দেশের জনসংখ্যা নীতিতে উপর্যুক্ত সুপারিশসমূহ যোগ করে তা বাস্তবায়ন করলে এ নীতির পূর্ণাঙ্গতা আসবে বলে আশা করা যায়। এর ফলে জনসংখ্যা নীতির বাস্তব প্রতিফলন ঘটবে।