উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ সামাজিক নীতি হচ্ছে সেসব সুশৃঙ্খল নিয়ম-কানুন বা নির্দেশ যা সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি প্রণয়ন
ও বাস্তাবয়নের ক্ষেত্রে আদর্শ হিসেবে অনুসরণ করা হয়। সামাজিক নীতির মাধ্যমে সমাজের কল্যাণ নিশ্চিত করা হয়।
→ একটি দেশের সামাজিক নীতি জানার উপায় ঃ প্রত্যেক দেশ তার নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন তাদের নিজস্ব পদ্ধতির মাধ্যমে করে থাকে। সে জন্য সে নীতি জানা সহজ সাধ্য নয়। তারপও আমরা দেখবো কিভাবে একটি দেশের সামাজিক নীতি জানা যায় ।
১. সংবিধান ঃ সংবিধান হলো দেশের সব্বোচ দলিল, সংবিধানের সামাজিক নীতি সম্পর্কে লেখা থাকে। সংবিধানের মাধ্যমে সামাজিক নীতির ধারণা পাওয়া যায়। সংবিধানেই রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি। জনকল্যাণের জন্য সকল কর্মসূচি গ্রহণ সংবিধান অনুযায়ী গৃহীত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সংবিধানেও সামাজিক নীতি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে সামাজিক নীতির অংশ হিসেবে মৌল মানবিক চাহিদার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা হয়ে থাকে।
২. আইন ঃ সামাজিক আইনের মধ্যেই সামাজিক নীতির প্রতিফলন ঘটে থাকে। আইন ব্যতীত সামাজিক নীতি বাস্ত বায়ন করা যায় না। কোনো দেশের সামাজিক নীতি বাস্তবায়ন করতে হলে সে দেশের আইন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আইনের সমর্থন ছাড়া নীতি প্রণয়ন করা যায় না। সামাজিক আইনই সামাজিক নীতির পরিচয় বহন করে থাকে। যেমন- ১৯৭৪ সালের শিশু আইনে শিশুদের হেফাজত ও তাদের প্রতি ব্যবহার সম্পর্কে বিধান রাখা হয়েছে। এতে শিশুকল্যাণের সাথে সম্পর্কিত বিষয়সমূহ সামাজিক নীতিতে তুলে ধরেছে।
৩. জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা ঃ কোনো দেশের সামাজিক নীতি প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার মাধ্যমে, জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় সামাজিক নীতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া থাকে। সামাজিক নীতি অধ্যয়ন করতে গিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে থাকে। যেমন : বাংলাদেশের বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিকী
পরিকল্পনা। এই সকল পরিকল্পনায় সরকারের সামাজিক নীতি সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে ওঠে।
৪. প্রশাসন ঃ রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার হাতিয়ার হলো প্রশাসন। প্রশাসনের নির্বাহীগণ যে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন তা নীতি হিসেবে প্রকাশিত হয়। তাই সামাজিক নীতি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে হলে প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।
৫. প্রচলিত সমাজসেবা ঃ প্রতিটি দলের সেবাকর্মীসমূহ সামাজিক নীতির আলোকে বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। এই সকল সমাজসেবা কর্মসূচির মাধ্যমেই সামাজিক নীতি প্রকাশ পায়। যেমন- গ্রামীণ উন্নয়ন নীতি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা যায় পল্লি উন্নয়ন কর্মসূচি দ্বারা।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক নীতি জানার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। উপরোক্ত উপায়গুলো বিশ্লেষণ করে আমরা একটি দেশের সামাজিক নীতি সম্পর্কে জানতে পারি।
কোনো দেশের সামাজিক নীতি জানার উপায় কি।
উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ সামাজিক নীতি হচ্ছে সেসব সুশৃঙ্খল নিয়ম-কানুন বা নির্দেশ যা সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি প্রণয়ন
ও বাস্তাবয়নের ক্ষেত্রে আদর্শ হিসেবে অনুসরণ করা হয়। সামাজিক নীতির মাধ্যমে সমাজের কল্যাণ নিশ্চিত করা হয়।
→ একটি দেশের সামাজিক নীতি জানার উপায় ঃ প্রত্যেক দেশ তার নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন তাদের নিজস্ব পদ্ধতির মাধ্যমে করে থাকে। সে জন্য সে নীতি জানা সহজ সাধ্য নয়। তারপও আমরা দেখবো কিভাবে একটি দেশের সামাজিক নীতি জানা যায় ।
১. সংবিধান ঃ সংবিধান হলো দেশের সব্বোচ দলিল, সংবিধানের সামাজিক নীতি সম্পর্কে লেখা থাকে। সংবিধানের মাধ্যমে সামাজিক নীতির ধারণা পাওয়া যায়। সংবিধানেই রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি। জনকল্যাণের জন্য সকল কর্মসূচি গ্রহণ সংবিধান অনুযায়ী গৃহীত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সংবিধানেও সামাজিক নীতি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে সামাজিক নীতির অংশ হিসেবে মৌল মানবিক চাহিদার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা হয়ে থাকে।
২. আইন ঃ সামাজিক আইনের মধ্যেই সামাজিক নীতির প্রতিফলন ঘটে থাকে। আইন ব্যতীত সামাজিক নীতি বাস্ত বায়ন করা যায় না। কোনো দেশের সামাজিক নীতি বাস্তবায়ন করতে হলে সে দেশের আইন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আইনের সমর্থন ছাড়া নীতি প্রণয়ন করা যায় না। সামাজিক আইনই সামাজিক নীতির পরিচয় বহন করে থাকে। যেমন- ১৯৭৪ সালের শিশু আইনে শিশুদের হেফাজত ও তাদের প্রতি ব্যবহার সম্পর্কে বিধান রাখা হয়েছে। এতে শিশুকল্যাণের সাথে সম্পর্কিত বিষয়সমূহ সামাজিক নীতিতে তুলে ধরেছে।
৩. জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা ঃ কোনো দেশের সামাজিক নীতি প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার মাধ্যমে, জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় সামাজিক নীতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া থাকে। সামাজিক নীতি অধ্যয়ন করতে গিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে থাকে। যেমন : বাংলাদেশের বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিকী
পরিকল্পনা। এই সকল পরিকল্পনায় সরকারের সামাজিক নীতি সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে ওঠে।
৪. প্রশাসন ঃ রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার হাতিয়ার হলো প্রশাসন। প্রশাসনের নির্বাহীগণ যে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন তা নীতি হিসেবে প্রকাশিত হয়। তাই সামাজিক নীতি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে হলে প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।
৫. প্রচলিত সমাজসেবা ঃ প্রতিটি দলের সেবাকর্মীসমূহ সামাজিক নীতির আলোকে বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। এই সকল সমাজসেবা কর্মসূচির মাধ্যমেই সামাজিক নীতি প্রকাশ পায়। যেমন- গ্রামীণ উন্নয়ন নীতি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা যায় পল্লি উন্নয়ন কর্মসূচি দ্বারা।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক নীতি জানার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। উপরোক্ত উপায়গুলো বিশ্লেষণ করে আমরা একটি দেশের সামাজিক নীতি সম্পর্কে জানতে পারি।