সামাজিক নীতির পরিধি লিখ।

উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ সামাজিক নীতির সুনির্দিষ্ট পরিধি নির্ধারণ করা কঠিন। সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুশীলনের যাত্রা, জাতীয় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা, প্রথা-প্রতিষ্ঠান, আন্তজার্তিক সাহায্য বিশেষজ্ঞদের মতামতের উপর ভিত্তি করে সামাজিক নীতির পরিধি গড়ে ওঠে।
→ সামাজিক নীতির পরিধি ঃ সামাজিক নীতির পরিধি ব্যাপক এবং বিস্তৃত। নিম্নে সামাজিক নীতির পরিধি সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
১. শিক্ষা ঃ শিক্ষা ব্যতীত সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। তাই সামাজিক নীতিতে শিক্ষাকে খুবই প্রধান্য দেয়া হয়ে থাকে।
২. স্বাস্থ্য ঃ সামাজিক নীতিতে স্বাস্থ্য খাতকে গুরুত্ব প্রদান করা হয়ে থাকে। জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য ঔষধ সরবরাহ, ডাক্তারের সংখ্যা বৃদ্ধি, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস ইত্যাদি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যনীতি প্রণীত হয়ে থাকে।
৩. সামাজিক আইন ঃ সামাজিক আইন মূলত সমাজের বঞ্চিত অবহেলিত, অসুবিধাগ্রস্তদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রণীত হয়ে থাকে। সামাজিক নীতিতে সামাজিক আইন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়ে থাকে।
৪. সমাজকল্যাণ ঃ সমাজকল্যাণের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণি বা গোষ্ঠীর কল্যাণ সাধন করা হয়ে থাকে। এটি সামাজিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিধি।
৫. সামাজিক নিরাপত্তা : সামাজিক নীতিতে সামাজিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত নানাবিধ কার্যক্রম সংযুক্ত থাকে। এই সামাজিক নিরাপত্তা রাষ্ট্র নিশ্চিত করে থাকে। সামাজিক নীতির আলোকে সামাজিক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে ।
উপসংহার ঃ তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতা, জটিল পরস্পর সম্পর্কযুক্ত সামাজিক সমস্যার আধিক্য, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সাংস্কৃতিক অনগ্রসরতা, মৌল মানবিক চাহিদার অপূরণ ইত্যাদি কারণে এসব রাষ্ট্রে স্বাভাবিকভাবেই সামাজিক নীতির পরিধি তুলনামূলকভাবে সীমিত।