অথবা, গণসংখ্যা সারণি বলতে কী বুঝ? গণসংখ্যা সারণির প্রকারভেদ ও প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়ার বিবরণ দাও।
অথবা, গণসংখ্যা সারণি কাকে বলে? গণসংখ্যা সারণির প্রকারভেদ ও প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়ার বিবরণ দাও ।
অথবা, গণসংখ্যা সারণি সংজ্ঞা দাও? গণসংখ্যা সারণির প্রকারভেদ ও প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়ার বিবরণ দাও।
উত্তর৷ ভূমিকা : সামাজিক গবেষণায় পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। পরিসংখ্যানের তথ্য উপাত্তগুলো মাঠপর্যায় হতে সংগৃহিত হয়। এ সংগৃহিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার পর বিশেষ ছকের মাধ্যমে তা সাজানো। এ ধরনের প্রনালীবদ্ধ সারণীকে গণসংখ্যা সারণি বলে।
গণসংখ্যা সারণি (Frequency Table) : উপাত্তসমূহকে সংক্ষিপ্তাকারে সারণিতে বিন্যস্ত করা হয়। উপাত্তকে সারণিতে বিন্যস্ত করার ক্ষেত্রে শুকগুলো নিয়ম অনুসরণ করা হয়। যে সারণিতে উপাত্তসমূহকে শ্রেণী, কলাম, সারিতে সুবিন্যস্ত আকারে সাজানো হয় তাকে গণসংখ্যা সারণি বলে। গণসংখ্যা সারণিতে উপাত্তসমূহকে নির্দিষ্ট একক ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় সকল বর্ণনা ও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। সুষ্ঠুভাবে গণসংখ্যা সারণি তৈরি করলে গবেষণার কাজ সহজ হয়।
গণসংখ্যা সারণির প্রকারভেদ : তথ্য বিচ্ছিন্ন ও অবিচ্ছিন্ন উভয় রাশির থাকতে পারে। এদিক দিয়ে বিবেচনায় গণসংখ্যা সারণি দুই ধরনের হয়। যথা :
২. উপশিরোনাম ও ব্যাখ্যাকারী টীকা : প্রয়োজনমতো উপশিরোনাম ও ব্যাখ্যাকারী টীকা ব্যবহার করা হয়।
৩. পাদটীকা ও উৎস : পাদটীকায় প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ থাকে । উপাত্ত সংগ্রহের সময় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করা হয়।
৪. সারণি নম্বর ব্যবহার : একাধিক সারণি একত্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সারণিসমূহে নম্বর প্রয়োগ করা হয়।
৫. শ্রেণীসংখ্যা নির্ধারণ : শ্রেণীসংখ্যা নির্ধারণ বেশ সতর্কতার সাথে করা হয়। শ্রেণীসংখ্যার উপর নির্ভর করে সারণির আকার আয়তন। সারণির আকার যেন খুব বড় বা ছোট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়। আবার গবেষণার কাজে কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এ শ্রেণীসংখ্যা নির্ধারণ করা হয়।
৬. শ্রেণী ব্যাপ্তি নির্ধারণ : শ্রেণী ব্যাপ্তি শ্রেণীসংখ্যার ভিত্তিতে করা যেতে পারে, আবার শ্রেণী ব্যাপ্তির ভিত্তিতে শ্রেণীসংখ্যা নির্ধারণ করা যায়। শ্রেণী ব্যাপ্তি এমনভাবে নির্ধারণ করতে হয় যেন শ্রেণীসংখ্যা খুব বেশি বা কম না হয়। আবার গবেষণার সুবিধার্থে নির্দিষ্ট শ্রেণী ব্যাপ্তি ব্যবহার করা হয়।
৭. শ্রেণী পরিসীমা নির্ধারণ : শ্রেণীতে ব্যবহৃত উপাত্তকে আবার বিভিন্ন পরিসীমা অনুযায়ী সাজানো হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে উপাত্তকে অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতিতে, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে বহির্ভুক্ত পদ্ধতিতে সাজানো হয়। এভাবে বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে গণসংখ্যা সারণি তৈরি করা হয়।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার শেষে বলা যায় যে, সামাজিক গবেষণায় পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। সমাজকর্মের অনেক বিষয় জানার জন্য গবেষণার প্রয়োজন হয়। গবেষণার জন্য যে তথ্য সংগৃহিত হয় তা গণসংখ্যা সারণির মাধ্যমে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।