অথবা, উপাত্ত প্রক্রিয়াজাতকরণের
স্তরসমূহ উল্লেখ কর।
অথবা, উপাত্ত প্রক্রিয়াজাতকরণের পর্যায়গুলো ব্যাখ্যা কর।
অথবা, তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ধাপসমূহ তুলে ধর।
উত্তর৷ ভূমিকা : সামাজিক গবেষণায় উপাত্ত সংগ্রহের পর তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিশ্লেষণ একটি ধারা । তাই গবেষণার জন্য সংগৃহীত উপাত্তের সুশৃঙ্খল বিন্যাস, বস্তুনিষ্ঠ সংখ্যাতাত্ত্বিক বর্ণনা দান, কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ধারণ, পূর্বানুমান যাচাই এবং তত্ত্ব গঠনের উদ্দেশ্য তথা প্রক্রিয়াজতকরণ গবেষণা কাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় বলে বিবেচিত । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
উপাত্ত প্রক্রিয়াজাতকরণের ধাপসমূহ : সামাজিক গবেষণায় উপাত্ত প্রক্রিয়াজাতকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াজাতকরণ বলা যেতে পারে । উপাত্তের প্রক্রিয়াজাতকরণের কতকগুলো ধাপ রয়েছে । যেমন— পর্যায়। বিশ্লেষণের সুবিধার্থে সংগৃহীত উপাত্তসমূহকে সাজিয়ে নিতে হয়। এই সাজানো গুছানো প্রক্রিয়াকেই
i.প্রশ্নমালার সম্পাদনা (Editing),
ii… সংকেতায়ন (Coding) এবং
iii. শ্রেণিকরণ (Classification)।
i. প্রশ্নমালার সম্পাদনা : পূরণকৃত প্রশ্নমালা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা, অসম্পূর্ণ এবং অযৌক্তিক প্রশ্নগুলোকে বাদ দেয়া, সন্দেহজনক প্রশ্নের সঠিকতা যাচাই, সম্ভব হলে অসম্পূর্ণ প্রশ্নমালাকে পূরণ করে আনা অর্থাৎ প্রশ্নমালার প্রতিটি বিষয়কে গবেষণার উদ্দেশ্য অনুযায়ী খতিয়ে দেখাই সম্পাদনা ।
ii. সংকেতায়ন : প্রশ্নমালা প্রণয়নের সময় যদি প্রতিটি প্রশ্নের একটি সাংকেতিক নম্বর দেয়া থাকে, তবে নম্বর অনুযায়ী সারণি প্রস্তুত করা সম্ভব হয়। সাংকেতিক নম্বরের ব্যবহার বড় বড় প্রশ্ন বা উত্তর বার বার লেখার পরিশ্রম থেকে অব্যাহতি দেয় । উপাত্ত কম্পিউটারের সাহায্যে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা যেতে পারে ।
iii. শ্রেণিকরণ : উপাত্তগুলোকে শ্রেণি ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সাজানোই শ্রেণিকরণ । শ্রেণিকরণের ফলে বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে তুলনা করা সহজ হয়। এর ফলে সারণিকরণ করা সুবিধাজনক হয়। তবে শ্রেণিকরণের সময় অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে যে, একই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উপাত্ত যাতে একই শ্রেণিভুক্ত না হয়। অন্যথায় শ্রেণিকরণ অর্থহীন হবে ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উপাত্তকে সহজে বিশ্লেষণ করার জন্য সংগৃহীত উপাত্তের পুনর্বিন্যাস, সম্পাদনা, সংকেতায়ন এবং সারণিবদ্ধকরণ করার প্রক্রিয়াই হচ্ছে তথ্য বা উপাত্ত প্রক্রিয়াজাতকরণ ।