অথবা, সামাজিক আন্দোলন কী? ব্যাখ্যা কর।
অথবা, সামাজিক আন্দোলন কী? আলোচনা কর ।
অথবা, সামাজিক আন্দোলন বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : সাধারণভাবে বলা যায় সমাজের অধিকাংশ জনগণের কল্যাণার্থে কোন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য জনগণের সক্রিয় ও গতিশীল সমবেত প্রচেষ্টাই হচ্ছে সামাজিক আন্দোলন। অর্থাৎ সমাজে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনে অন্তরায় সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর পরিস্থিতি, প্রতিবন্ধকতা, প্রথা, রীতিনীতি, প্রতিষ্ঠান প্রভৃতির প্রতিকার বা
মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে পরিচালিত জনগণের সমবেত বা দলীয় প্রচেষ্টাই হচ্ছে সামাজিক আন্দোলন। সামাজিক আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সমাজের অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি দূরীকরণের মাধ্যমে সমাজ জীবন ও সামাজিক পরিবেশকে কল্যাণকর করা।
সামাজিক আন্দোলন : সমাজবিজ্ঞানী এইচ. ব্লুমার (H. Blumer) বলেন, “সামাজিক আন্দোলন হলো নতুন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার একটি দলীয় প্রচেষ্টা। রাজনৈতিক ও সামাজিক চাঞ্চল্য থেকে এর সূচনা। প্রচলিত জীবন ব্যবস্থার প্রতি বীতশ্রদ্ধ এবং নতুন জীবনব্যবস্থার আশার আলো সামাজিক আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি।”
সমাজকর্ম অভিধানের ব্যাখ্যানুযায়ী, “Social movement is an organized effort usually involving many people representing a wide spectrum of the population to change a law, public policy or social norm.” অর্থাৎ, সামাজিক আন্দোলন হচ্ছে একটি সুসংগঠিত প্রচেষ্টা যা সচরাচর আইন, সরকারি নীতি ও
সামাজিক আদর্শ পরিবর্তনে জনগোষ্ঠীর এক বিপুল অংশের কাজ জনগণের প্রতিনিধিত্ব অন্তর্ভুক্ত করে। সমাজবিজ্ঞানী William Cameron বলেন, “A social movement occurs when a fairly large number
of people band together in order to later or supplant some portion of the existing culture or social order.” অর্থাৎ, একটি সামাজিক আন্দোলন সংঘটিত হয় তখনই যখন একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী বিদ্যমান সংস্কৃতির কিছু অংশ বা সামাজিক শৃঙ্খলার পরিবর্তন বা অধিকার রক্ষা করার জন্য ন্যায্যভাবে সুসংগঠিত হয়।
সুতরাং সমাজ স্বাভাবিক জীবনযাপনের পথে বাধা সৃষ্টিকারী পরিস্থিতি, রীতিনীতি, সংগঠন যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর, এগুলোর মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে পরিচালিত জনগণের সংগঠিত প্রচেষ্টাকে সামাজিক আন্দোলন বলে।
সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের সম্পর্ক : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। নিম্নে উভয়ের মধ্যে সম্পর্কসমূহ উল্লেখ করা হলো :
১. অভিন্ন উদ্দেশ্য : সামাজিক কার্যক্রম এবং সামাজিক আন্দোলন উভয়ের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। সমাজের বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে স্থিতাবস্থা বা ক্ষতিকর সামাজিক প্রথা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন সাধনে দলীয় প্রচেষ্টা চালানো উভয়ের উদ্দেশ্য।
২. কর্মক্ষেত্র : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের কর্মক্ষেত্র এক ও অভিন্ন। উভয়ের কর্মক্ষেত্র হচ্ছে সামাজিক আইন সংশোধন, নতুন আইন প্রণয়ন, সামাজিক নীতি প্রণয়ন, সামাজিক কুপ্রথার উচ্ছেদ সাধন এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি।
৩. জনসমর্থন : সামাজিক কার্যক্রম এবং সামাজিক আন্দোলন উভয়েরই প্রয়োগ কৌশল হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সমস্যা বা প্রয়োগ কৌশল সম্পর্কে প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে সচেতন করে তোলা এবং জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে অনুকূল জনসমর্থন গড়ে তোলা। উভয়ের সাফল্য লাভের মৌলিক উপাদান হচ্ছে জনসমর্থন
৪. পটভূমি : সামাজিক কার্যক্রমে দলীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। এজন্যই বলা হয়ে থাকে সামাজিক কার্যক্রম সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার একটি আন্দোলন মাত্র। যেসব উদ্দেশ্য সামাজিক উন্নতি এবং প্রগতির সহায়ক সেসব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখেই এরূপ আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। তাই সামাজিক আন্দোলনের পটভূমি হচ্ছে সামাজিক কার্যক্রম।
৫. জনমত : সামাজিক কার্যক্রম সমাজের পরিবর্তন আনয়নের লক্ষ্যে জনমত সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালায়। সামাজিক আন্দোলন ও সামাজিক পরিবর্তনের জন্য জনমত সৃষ্টি করে।
৬. পরিপূরক ভূমিকা : সামাজিক কার্যক্রম ও
সামাজিক আন্দোলন উভয়ে সমাজকল্যাণের লক্ষ্যার্জনে পরিপূরক ভূমিকা পালন করে থাকে। সামাজিক আন্দোলনের ফলে পরিবর্তিত অবস্থার সাথে জনগণকে সামঞ্জস্য বিধানে সহায়তা করে সামাজিক কার্যক্রম।
সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে পার্থক্য : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের কতিপয় পার্থক্য নিম্নে তুলে ধরা হলো :
১. পদ্ধতিগত পার্থক্য : সামাজিক কার্যক্রম সমাজকর্মের একটি সহায়ক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। অন্যদিকে, সামাজিক আন্দোলন সমাজকর্মের কোন স্বীকৃত পদ্ধতি নয়।
২. কৌশল বনাম প্রচেষ্টা : সামাজিক কার্যক্রম মূলত পেশাদার সমাজকর্মের একটি কৌশল। অপরদিকে, সামাজিকnআন্দোলন একটি দলীয় প্রচেষ্টা।
৩. সমাজকর্মীর ভূমিকা : সামাজিক কার্যক্রমে সমাজকর্মী মূল ভূমিকা অর্থাৎ গাইড লাইন প্রণয়ন করেন। কিন্তু সামাজিক আন্দোলনে সমাজকর্মী নয় জনগণ অংশগ্রহণ করে থাকে।
৪. সামঞ্জস্য বিধান : সামাজিক কার্যক্রমে সমাজকর্মী জনগণকে সামঞ্জস্য বিধানে প্রচেষ্টা চালায়। অন্যদিকে সামাজিক আন্দোলন সামাজিক পরিবর্তনের সাথে সাথে আর কোন ভূমিকা রাখে না।
৫. স্তর বা ধাপ অনুসরণ : সমস্যা সমাধানে সামাজিক কার্যক্রম কয়েকটি স্তর বা ধাপ অনুসরণ করে চলে। কিন্তু আন্দোলনে এ ধরনের কোন স্তর বা ধাপ নেই।
৬. আইন অনুসরণ করা : সামাজিক কার্যক্রমকে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় পরিচালিত হতে হয়। অন্যদিকে, সামাজিক আন্দোলনে দেশের প্রচলিত আইনে পরিচালিত হয় না।
উপসংহার : সামাজিক কার্যক্রম এবং সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও এদের মধ্যে যথেষ্ট মিল পরিলক্ষিত হয়। অর্থাৎ সামাজিক কার্যক্রমের মধ্যবিন্দু হচ্ছে সামাজিক আন্দোলন। সামাজিক সমস্যা সমাধানে উভয়ের ভূমিকা রয়েছে। তাদের বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের মাধ্যমেই সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধান সম্ভব। এরা একে অপরের পরিপূরক হিসেবে ভূমিকা পালন করে থাকে।
সামাজিক আন্দোলন কী? আলোচনা কর/ বর্ণনা কর।
অথবা, সামাজিক আন্দোলন কী? ব্যাখ্যা কর।
অথবা, সামাজিক আন্দোলন কী? আলোচনা কর ।
অথবা, সামাজিক আন্দোলন বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : সাধারণভাবে বলা যায় সমাজের অধিকাংশ জনগণের কল্যাণার্থে কোন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য জনগণের সক্রিয় ও গতিশীল সমবেত প্রচেষ্টাই হচ্ছে সামাজিক আন্দোলন। অর্থাৎ সমাজে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনে অন্তরায় সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর পরিস্থিতি, প্রতিবন্ধকতা, প্রথা, রীতিনীতি, প্রতিষ্ঠান প্রভৃতির প্রতিকার বা
মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে পরিচালিত জনগণের সমবেত বা দলীয় প্রচেষ্টাই হচ্ছে সামাজিক আন্দোলন। সামাজিক আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সমাজের অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি দূরীকরণের মাধ্যমে সমাজ জীবন ও সামাজিক পরিবেশকে কল্যাণকর করা।
সামাজিক আন্দোলন : সমাজবিজ্ঞানী এইচ. ব্লুমার (H. Blumer) বলেন, “সামাজিক আন্দোলন হলো নতুন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার একটি দলীয় প্রচেষ্টা। রাজনৈতিক ও সামাজিক চাঞ্চল্য থেকে এর সূচনা। প্রচলিত জীবন ব্যবস্থার প্রতি বীতশ্রদ্ধ এবং নতুন জীবনব্যবস্থার আশার আলো সামাজিক আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি।”
সমাজকর্ম অভিধানের ব্যাখ্যানুযায়ী, “Social movement is an organized effort usually involving many people representing a wide spectrum of the population to change a law, public policy or social norm.” অর্থাৎ, সামাজিক আন্দোলন হচ্ছে একটি সুসংগঠিত প্রচেষ্টা যা সচরাচর আইন, সরকারি নীতি ও
সামাজিক আদর্শ পরিবর্তনে জনগোষ্ঠীর এক বিপুল অংশের কাজ জনগণের প্রতিনিধিত্ব অন্তর্ভুক্ত করে। সমাজবিজ্ঞানী William Cameron বলেন, “A social movement occurs when a fairly large number
of people band together in order to later or supplant some portion of the existing culture or social order.” অর্থাৎ, একটি সামাজিক আন্দোলন সংঘটিত হয় তখনই যখন একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী বিদ্যমান সংস্কৃতির কিছু অংশ বা সামাজিক শৃঙ্খলার পরিবর্তন বা অধিকার রক্ষা করার জন্য ন্যায্যভাবে সুসংগঠিত হয়।
সুতরাং সমাজ স্বাভাবিক জীবনযাপনের পথে বাধা সৃষ্টিকারী পরিস্থিতি, রীতিনীতি, সংগঠন যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর, এগুলোর মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে পরিচালিত জনগণের সংগঠিত প্রচেষ্টাকে সামাজিক আন্দোলন বলে।
সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের সম্পর্ক : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। নিম্নে উভয়ের মধ্যে সম্পর্কসমূহ উল্লেখ করা হলো :
১. অভিন্ন উদ্দেশ্য : সামাজিক কার্যক্রম এবং সামাজিক আন্দোলন উভয়ের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। সমাজের বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে স্থিতাবস্থা বা ক্ষতিকর সামাজিক প্রথা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন সাধনে দলীয় প্রচেষ্টা চালানো উভয়ের উদ্দেশ্য।
২. কর্মক্ষেত্র : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের কর্মক্ষেত্র এক ও অভিন্ন। উভয়ের কর্মক্ষেত্র হচ্ছে সামাজিক আইন সংশোধন, নতুন আইন প্রণয়ন, সামাজিক নীতি প্রণয়ন, সামাজিক কুপ্রথার উচ্ছেদ সাধন এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি।
৩. জনসমর্থন : সামাজিক কার্যক্রম এবং সামাজিক আন্দোলন উভয়েরই প্রয়োগ কৌশল হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সমস্যা বা প্রয়োগ কৌশল সম্পর্কে প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে সচেতন করে তোলা এবং জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে অনুকূল জনসমর্থন গড়ে তোলা। উভয়ের সাফল্য লাভের মৌলিক উপাদান হচ্ছে জনসমর্থন
৪. পটভূমি : সামাজিক কার্যক্রমে দলীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। এজন্যই বলা হয়ে থাকে সামাজিক কার্যক্রম সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার একটি আন্দোলন মাত্র। যেসব উদ্দেশ্য সামাজিক উন্নতি এবং প্রগতির সহায়ক সেসব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখেই এরূপ আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। তাই সামাজিক আন্দোলনের পটভূমি হচ্ছে সামাজিক কার্যক্রম।
৫. জনমত : সামাজিক কার্যক্রম সমাজের পরিবর্তন আনয়নের লক্ষ্যে জনমত সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালায়। সামাজিক আন্দোলন ও সামাজিক পরিবর্তনের জন্য জনমত সৃষ্টি করে।
৬. পরিপূরক ভূমিকা : সামাজিক কার্যক্রম ও
সামাজিক আন্দোলন উভয়ে সমাজকল্যাণের লক্ষ্যার্জনে পরিপূরক ভূমিকা পালন করে থাকে। সামাজিক আন্দোলনের ফলে পরিবর্তিত অবস্থার সাথে জনগণকে সামঞ্জস্য বিধানে সহায়তা করে সামাজিক কার্যক্রম।
সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে পার্থক্য : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের কতিপয় পার্থক্য নিম্নে তুলে ধরা হলো :
১. পদ্ধতিগত পার্থক্য : সামাজিক কার্যক্রম সমাজকর্মের একটি সহায়ক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। অন্যদিকে, সামাজিক আন্দোলন সমাজকর্মের কোন স্বীকৃত পদ্ধতি নয়।
২. কৌশল বনাম প্রচেষ্টা : সামাজিক কার্যক্রম মূলত পেশাদার সমাজকর্মের একটি কৌশল। অপরদিকে, সামাজিকnআন্দোলন একটি দলীয় প্রচেষ্টা।
৩. সমাজকর্মীর ভূমিকা : সামাজিক কার্যক্রমে সমাজকর্মী মূল ভূমিকা অর্থাৎ গাইড লাইন প্রণয়ন করেন। কিন্তু সামাজিক আন্দোলনে সমাজকর্মী নয় জনগণ অংশগ্রহণ করে থাকে।
৪. সামঞ্জস্য বিধান : সামাজিক কার্যক্রমে সমাজকর্মী জনগণকে সামঞ্জস্য বিধানে প্রচেষ্টা চালায়। অন্যদিকে সামাজিক আন্দোলন সামাজিক পরিবর্তনের সাথে সাথে আর কোন ভূমিকা রাখে না।
৫. স্তর বা ধাপ অনুসরণ : সমস্যা সমাধানে সামাজিক কার্যক্রম কয়েকটি স্তর বা ধাপ অনুসরণ করে চলে। কিন্তু আন্দোলনে এ ধরনের কোন স্তর বা ধাপ নেই।
৬. আইন অনুসরণ করা : সামাজিক কার্যক্রমকে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় পরিচালিত হতে হয়। অন্যদিকে, সামাজিক আন্দোলনে দেশের প্রচলিত আইনে পরিচালিত হয় না।
উপসংহার : সামাজিক কার্যক্রম এবং সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও এদের মধ্যে যথেষ্ট মিল পরিলক্ষিত হয়। অর্থাৎ সামাজিক কার্যক্রমের মধ্যবিন্দু হচ্ছে সামাজিক আন্দোলন। সামাজিক সমস্যা সমাধানে উভয়ের ভূমিকা রয়েছে। তাদের বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের মাধ্যমেই সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধান সম্ভব। এরা একে অপরের পরিপূরক হিসেবে ভূমিকা পালন করে থাকে।