অথবা, ডক্যুমেন্টারি স্টাডি কাকে বলে?
অথবা, ডক্যুমেন্টারি স্টাডির সংজ্ঞা দাও।
উত্তর৷ ভূমিকা : ডক্যুমেন্ট বা দলিল-দস্তাবেজ কোনো সমাজের বড় সম্পদ। এ সম্পদ হতে পারে কোন ব্যক্তির, সংস্থার, প্রতিষ্ঠানের কিংবা কোনো সংগঠনের । সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে এ ডক্যুমেন্ট তৈরি হতে পারে। প্রত্যেক ডক্যুমেন্টেরই তার নিজস্ব মূল্য ও গুরুত্ব আছে ।
ডক্যুমেন্টারি স্টাডি : সমাজ গবেষণায় তথ্য সংগ্রহের একটি পদ্ধতি হিসেবে ডক্যুমেন্ট পদ্ধতির গুরুত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ । এতে তথ্যের উৎস হিসেবে প্রচলিত বা উপস্থিত নথিপত্র বা ডক্যুমেন্ট বিবেচনা করা হয় । এটি হলো ব্যক্তি দল বা সমাজের কোনো বিষয়ে লিখিত দলিল যা কোনো না কোনভাবে ধারণকৃত ও সংরক্ষিত।
প্রামাণ্য সংজ্ঞা : বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী ডক্যুমেন্টারি স্টাডি সম্পর্কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন। নিম্নে তাদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো :
পি. ভি. ইয়ং (P. V. Young) এর মতে, “The documentary sources of information are those which are contained in the published and unpublished documents, reports, statistics, manuscripts, letters diaries and so on.” অর্থাৎ, তথ্যের দলিলাদির উৎস হলো প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত ডক্যুমেন্ট, রিপোর্ট, পরিসংখ্যান, পাণ্ডুলিপি, চিঠিপত্র এবং রোজনামচা ইত্যাদি ।
K. D. Bailey তাঁর ‘Methods of Social Research’ গ্রন্থে বলেন, “Documents, by which we mean any written materials that contain information about the phenomena we wish to study.” অর্থাৎ, ডক্যুমেন্ট বলতে আমরা বুঝি, গবেষণা করতে ইচ্ছুক প্রপঞ্চ সম্পর্কে যে কোনো লিখিত উপাদান ।
G. R. Adams এবং C. O. Schavaneveldt বলেছেন, “লিখিত বা মৌলিক যে কোনো ধারণা যা মানব আচরণ, সামাজিক অবস্থা এবং সামাজিক প্রক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করে তাদেরকে ডক্যুমেন্টের বৃহত্তর পরিসরে একত্রিভূত করা যেতে পারে।”
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, সমাজ গবেষণার তথ্য সংগ্রহের একটি পদ্ধতি হিসেবে ডক্যুমেন্ট পদ্ধতির গুরুত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ । তবে তথ্যের উৎস হিসেবে প্রচারিত বা উপস্থিত নতিপত্র বা ডক্যুমেন্ট বিবেচনা করা হয় । এটি হলো ব্যক্তি, দল বা সমাজের কোনো বিষয়ে লিখিত দলিল যা কোনো না কোনভাবে ধারণকৃত ও সংরক্ষিত।