অথবা, সামাজিক কার্যক্রমের শিক্ষামূলক পদ্ধতি বর্ণনা কর।
অথবা, সামাজিক কার্যক্রমের শিক্ষামূলক পদ্ধতি আলোচনা কর।
অথবা, সামাজিক কার্যক্রমের শিক্ষামূলক পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
উত্তরা৷ ভূমিকা : সামাজিক কার্যক্রম সমাজের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ব্যাপক সামাজিক পরিবর্তন আনয়নে প্রত্যাশী। সমাজের সার্বিক কল্যাণ এর মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে সামাজিক কার্যক্রম কতিপয় কৌশল ও পদ্ধতি অবলম্বন
করে থাকে । এ প্রসঙ্গে II. Y. Siddiqui বলেছেন, “Strategy is the adoption of one of the several coherent sets if possible actions to achieve a specific goal.” অর্থাৎ, কোন বিশেষ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্ভাব্য কর্মোপযোগী একগুচ্ছ সামঞ্জস্যপূর্ণ উপায়ের যে কোনটি গ্রহণই কৌশল। তবে প্রয়োজনে একাধিক কৌশল গ্রহণেরও দরকার হয়।
নিত শিক্ষামূলক কৌশল (Educational strategy) : শিক্ষামূলক কৌশল সামাজিক কার্যক্রমের একটি অন্যতম কৌশল হিসেবে স্বীকৃত। ব্যক্তিগত, দলীয় ও সমষ্টিগত পর্যায়ে এ ধরনের কৌশল দ্বারা শিক্ষাদান করা হয়। এ জাতীয় শিক্ষা দু’ধরনের হতে পারে। যথা- ক. বয়স্ক শিক্ষা এবং খ. প্রদর্শনমূলক শিক্ষা ।
ক. বয়স্ক শিক্ষা : শিক্ষামূলক কৌশলের একটি অংশ হলো বয়স্ক শিক্ষা। এর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়। এ পর্যায়ে বয়স্করা এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। এর ফলে সামাজিক কার্যক্রমের লক্ষ্য অর্জিত হয়। এটি ব্যক্তিগত, দলগত ও সমষ্টিগত পর্যায়ে সম্পন্ন হয়।
খ. প্রদর্শনমূলক শিক্ষা : এ পর্যায়ে সামাজিক কার্যক্রমের বিষয়বস্তু প্রদর্শনের মাধ্যমে ইতিবাচক জনসমর্থন আদায় করা হয়। এর ফলে জনসমর্থন বৃদ্ধি, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, উদ্বুদ্ধকরণ প্রভৃতি সম্পন্ন হয়ে থাকে ।
উপসংহার : নতুন আইন প্রণয়ন ও পুরাতন আইনের সংশোধন করা সামাজিক কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি । সামাজিক সমস্যা সমাধানে জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে আইন প্রণেতাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। এ ধরনের কৌশলের অংশ
- হিসেবে সভা-সমাবেশ, স্মারকলিপি প্রদান প্রভৃতির আয়োজন করা হয়। নতুন আইন প্রণয়ন ও পুরাতন আইন সংশোধনের
ফলে সামাজিক কার্যক্রম ফলপ্রসূ হয়।