সমাজসেবা অধিদপ্তরের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত কর।

অথবা, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমস্যাগুলো আলোচনা কর।
অথবা, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সীমাবদ্ধতা আলোচনা কর।
অথবা, সমাজসেবা অধিদপ্তরের নেতিবাচক দিকগুলো আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : সমাজকল্যাণ প্রশাসনের ধারণা খুব বেশিদিনের নয়। সামাজিক প্রয়োজন, সমস্যা দূরীকরণে এবং পরিবর্তনশীলতার সাথে তাল মিলিয়ে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে এসেছে পরিবর্তন, যেখানে মানুষের প্রয়োজনটা বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। আর সেটা হল সমাজকল্যাণ প্রশাসন। বাংলাদেশে এ সমাজকল্যাণ প্রশাসন পরিচালনার জন্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ মন্ত্রণালয় সমাজকল্যাণ প্রশাসনের কার্যক্রম পরিচালনা, মনিটরিং, নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি করে থাকে। কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে থানা বা উপজেলা পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিব্যাপ্ত।
সমস্যাবলি : সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে কিছু সমস্যা পরিলক্ষিত হয়। যথা :
আমলাতান্ত্রিক, জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার মনোভাব, সমন্বয় সাধনের অভাব,
সরকারি কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার অভাব,
স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দেওয়া,
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অভাব,
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয় না।
রাজনৈতিক প্রভাব, নিম্নপর্যায়ের উপর, কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রভাব
যথার্থ মনিটরিং এর অভাব,
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার শেষে বলা যায় যে, সমাজসেবা অধিদপ্তর সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখার কথা। তবে কিছু সমস্যার সম্মুখীন তারা হচ্ছে, যার ফলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করতে পারছে না। সরকারি এবং বেসরকারি সমাজকল্যাণ সংস্থা যদি Collaborate করে জনগণের কল্যাণে এগিয়ে আসে এবং Political comitment যদি থাকে, তবে অবশ্যই এ জনকল্যাণমূলক কাজ বাড়ানো যেতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস।