সমষ্টি উন্নয়নের সংজ্ঞা দাও। বাংলাদেশে সমষ্টি উন্নয়নের পরিধি আলোচনা কর।

অথবা, সমষ্টি উন্নয়ন বলতে কি বুঝ? বাংলাদেশে কি কি ক্ষেত্রে সমষ্টি উন্নয়ন প্রয়োগ করা যায়? সমষ্টি উন্নয়নের পরিসীমা আলোচনা কর।
অথবা, সমষ্টি উন্নয়ন ব্যাখ্যা কর? বাংলাদেশে কি কি ক্ষেত্রে সমষ্টি উন্নয়ন প্রয়োগ করা যায়? সমষ্টি উন্নয়নের অনুশীলন ক্ষেত্র আলোচনা কর।
অথবা, সমষ্টি উন্নয়ন কী? বাংলাদেশে কি কি ক্ষেত্রে সমষ্টি উন্নয়ন প্রয়োগ করা যায়? সমষ্টি উন্নয়নের প্রয়োগ ক্ষেত্র আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : বিশ্বের অনুন্নত ও অবহেলিত এলাকার জনসমষ্টির অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সমষ্টি উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এদেশের সামাজিক সমস্যা অত্যন্ত প্রকট। এদেশে শিক্ষার হার খুবই কম, প্রযুক্তি জ্ঞানের অভাবে সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া এখনও লাগে নি। ফলে এদেশের জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হয় নি। সেজন্য বাংলাদেশে সমষ্টি উন্নয়নের প্রয়োগক্ষেত্রও বেশি। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সাথে জড়িত প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমষ্টি উন্নয়ন প্রয়োগ করে জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।
সমষ্টি উন্নয়ন : সমষ্টি উন্নয়ন বলতে কোন সমষ্টির জনগণের যৌথ প্রচেষ্টাকে বুঝানো হয়। এ প্রচেষ্টার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা। এ ধরনের যৌথ প্রচেষ্টায় সরকার ও জনগণ অংশগ্রহণ করে থাকে। অর্থাৎ সরকার ও সমষ্টিগত জনগণের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি সাধনের জন্য গৃহীত কার্যক্রমই সমষ্টি উন্নয়ন।
প্রামাণ্য সংজ্ঞা : বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও সংস্থা সমষ্টি উন্নয়ন সম্পর্কে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিম্নে তাঁদের প্রদত্ত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সংজ্ঞা উপস্থাপন করা হল :
জাতিসংঘের সামাজিক কার্যসংস্থায় (UN-social affairs) সমষ্টি উন্নয়নের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “Community Development is meant a process designed to creat conditions of economic and social progress for the whole community with its active participation and the full posible reliance upon the
community initiative.” অর্থাৎ, সমষ্টি উন্নয়ন বলতে বুঝায় এমন একটি প্রক্রিয়া, যা সমষ্টির জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এবং উদ্যোগের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে সমগ্র সমষ্টির অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
আর্থার ডারহাম সমষ্টি উন্নয়নের সংজ্ঞায় বলেছেন, “সমষ্টি উন্নয়ন হচ্ছে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা, যার উদ্দেশ্য হল
সমষ্টির জনগণের আত্মসাহায্য ও সমবায়মূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সরকার বা স্বেচ্ছামূলক সংস্থা প্রদত্ত কারিগরি সহায়তায়
সমষ্টির উন্নয়ন সাধন করা।” ড. সালে-এল-দীন-আবাদ সমষ্টি সংগঠনের সংজ্ঞায় বলেছেন, “সমষ্টি উন্নয়ন হল এমন একটি পদ্ধতি, যা জনগণের প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সাধনের জন্য সরকার ও জনগণ যৌথভাবে সম্পদ ব্যবহারের জন্য একত্রিত হয়। “
ডব্লিউ বিডল ও এল.বিডল সমষ্টি উন্নয়নের সংজ্ঞায় বলেছেন, “সমষ্টি উন্নয়ন হল এমন একটি সামাজিক প্রক্রিয়া, যা পরিবর্তনশীল অবস্থার সাথে সামঞ্জস্য বিধানের জন্য জনগণকে অধিকতর যোগ্যতাসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলে।” পরিশেষে বলা যায় যে, সমষ্টি উন্নয়ন হল কোন সমষ্টির জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির জন্য সমষ্টি জনগণ ও সরকার কর্তৃক গৃহীত যৌথ প্রচেষ্টা।
বাংলাদেশে সমষ্টি উন্নয়নের প্রয়োগক্ষেত্র : বাংলাদেশে যেসব ক্ষেত্রে সমষ্টি উন্নয়ন প্রয়োগ করা যেতে পারে নিম্নে তা আলোচনা করা হলঃ
১. কৃষি উন্নয়ন (Agriculture Development) : বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কিন্তু এদেশে কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগের অভাবে উন্নয়ন বৃদ্ধি পায় নি। ফলে আমাদেরও সামাজিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন খুবই কম। কিন্তু সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের
কৃষি উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির প্রবর্তন, সেচদান, উন্নত বীজ ও সারের ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন করা যেতে পারে। আবার কৃষকদের কৃষিকাজ সম্পর্কে জ্ঞানদানের মাধ্যমেও কৃষি উন্নয়ন সাধন করা যেতে পারে।
২. পল্লিউন্নয়ন (Rural Development) : বাংলাদেশ পল্লিপ্রধান দেশ। এদেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ পঁল্লিতে বাস করে। কিন্তু বাংলাদেশে পল্লির জনগণ সবদিক থেকে অনগ্রসর। অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক দিক থেকে পল্লির জনপদ পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন মূলত পল্লিউন্নয়নের মাধ্যমে হতে হবে। পল্লিউন্নয়ন ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশে পল্লি এলাকার সমষ্টি উন্নয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে পল্লিউন্নয়ন করা যেতে পারে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পল্লিউন্নয়নের জন্য এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে।
৩. অর্থনৈতিক উন্নয়ন (Economic Development): বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমষ্টি উন্নয়ন প্রয়োগ করা যেতে পারে। বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক। তাই কৃষি উন্নয়ন ছাড়া এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আশা করা যায় না। বাংলাদেশে কৃষি উন্নয়ন ও কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য সরকার ও জনগণ যৌথভাবে কাজ করতে পারে।
এছাড়াও গ্রাম এলাকায় কর্মসংস্থান, কুটিরশিল্প গড়ে তোলা যেতে পারে সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে।
৪. শিক্ষার উন্নয়ন (Educational Development) : শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশে ব্রিটিশদের প্রণীত মান্ধাতার আমলের শিক্ষাব্যবস্থা এখনও প্রচলিত। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ার ফলে এদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ যাবতীয় উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। তাই বাংলাদেশের জনগণের জন্য শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন করা একান্ত জরুরি। বাংলাদেশের শিক্ষা উন্নয়নের জন্য সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৫. স্বাস্থ্যের উন্নয়ন (Development of Health Activities) : স্বাস্থ্য মানুষের মৌল মানবিক চাহিদা। অথচ বাংলাদেশের জনগণ এ মৌল মানবিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত। কারণ এদেশে স্বাস্থ্যবিষয়ক কার্যক্রম ও স্বাস্থ্যজ্ঞানের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এছাড়াও জীবনযাত্রার নিম্নমান, অপুষ্টি, রোগব্যাধি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। কিন্তু এ অবস্থা
বেশিদিন চলতে দেওয়া যায় না। তাই বাংলাদেশের জনগণকে স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা দান ও চিকিৎসা প্রদানের জন্য
সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৬. রাস্তাঘাট ও বাসস্থান (Communication and Housing) : যে কোন দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হল রাস্তাঘাটের উন্নয়ন। এরপর আসে বাসস্থানের বিষয়টি। কিন্তু বাংলাদেশের রাস্তাঘাট তেমন উন্নত
নয়। আবার এদেশের বাসস্থান সমস্যা অত্যন্ত প্রকট, যা উন্নয়নের পরিপন্থি। তাই বাংলাদেশের রাস্তাঘাট নির্মাণ ও উন্নয়ন,
বাসস্থান সমস্যা সমাধানের জন্য এদেশে সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৭. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ (Population Control) : বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৬ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে এদেশের এক নম্বর জাতীয় সমস্যা হিসেবে ঘোষণা দেয়। বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৪ কোটি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৪৮%। ছোট দেশে এত জনসংখ্যা এ দেশের জন্য মারাত্মক সংকট তৈরি করেছে। কিন্তু জনগণকে সচেতন ও
জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ কাজে সমষ্টি সংগঠনের প্রয়োগ ফলপ্রসূ হতে পারে।
৮. কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি (Creation of Employment Opportunities) : বাংলাদেশে বেকারত্বের হার অনেক বেশ ি। বর্তমানে বাংলাদেশে এক কোটি শিক্ষিত বেকার রয়েছে। বাংলাদেশে বেকারত্বের প্রধান কারণ হল কর্মসংস্থানের অভাব। কিন্তু সমষ্টি উন্নয়ন সমষ্টির সম্পদের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে।
যেমন- মৎস্যচাষ, পশুপালন, কুটিরশিল্প । সুতরাং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রেও সমষ্টি সংগঠন প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৯. পুষ্টিহীনতা দূরীকরণ (Eradication Mal-nutrition) : দেশের জনগণের অন্যতম সামাজিক সমস্যা হল পুষ্টিহীনতা। পুষ্টিহীনতার কারণে বছরে তিন লাখ শিশু মারা যায়। এছাড়াও সন্তান প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যুও পুষ্টিহীনতার জন্য দায়ী। পুষ্টিহীনতার কারণে অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে তাই পুষ্টিহীনতা দূর করা দরকার। সেজন্য দরকার
জনগণকে পুষ্টিহীনতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা, পুষ্টিহীনতা দূরীকরণের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করা। সমষ্টি উন্নয়নের মাধ্যমে সরকার ও জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় পুষ্টিহীনতা দূর করা সম্ভব।
১০. সামাজিক শৃঙ্খলা আনয়ন (Social Discipline) : বাংলাদেশে সামাজিক শৃঙ্খলা ও সুসম্পর্কের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। সামাজিক শৃঙ্খলার অভাবের কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। তাই বাংলাদেশে সামাজিক শৃঙ্খলা আনয়নের
মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা সম্ভব। সেজন্য সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
১১. স্বাবলম্বন (Self-help) : স্বাবলম্বন ছাড়া কোন সমাজের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে স্বাবলম্বনের অভাব রয়েছে। কিন্তু সমষ্টি উন্নয়ন জনগণকে সম্পদের ব্যবহার ও সরকারি সাহায্যের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলে। ফলে তারা নিজেরাই নিজেদের সমস্যা সমাধানে পারদর্শী হয়ে ওঠে। সুতরাং বাংলাদেশে সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় স্বাবলম্বন অর্জনের জন্য।
১২. সমাজসেবা ও সমাজকল্যাণ (Social Services and Social Welfare) : বাংলাদেশের অবহেলিত ও অনুন্নত এলাকার জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য সমাজসেবা ও সমাজকল্যাণের প্রয়োজন রয়েছে। সমষ্টি উন্নয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন সমাজসেবা ও সমাজকল্যাণ কার্যাবলি গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন- লঙ্গরখানা স্থাপন, বাঁধ নির্মাণ, দুর্যোগ মোকাবিলা, পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রভৃতি।
১৩. চিত্তবিনোদন (Recreation) : চিত্তবিনোদন মানুষের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ মানুষ কাজের মধ্যে থাকলে একঘেঁয়েমি সৃষ্টি হয়, অলসতা আনে। তাই এ অলসতা দূরীকরণ করে মনকে প্রফুল্ল রাখার জন্য চিত্তবিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে চিত্তবিনোদনের সুযোগ সুবিধা খুবই কম। তাই সমষ্টি উন্নয়নের মাধ্যমে গানবাজনা, আলোচনা, বিতর্ক সভা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করতে পারে, যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সাহায্য করবে।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার শেষে বলা যায় যে, সমষ্টি উন্নয়ন সারা বিশ্বব্যাপী অবহেলিত ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি সর্বজনবিদিত পদ্ধতি। সমষ্টি উন্নয়ন সমাজকর্মের একটি মৌলিক পদ্ধতি । বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। এদেশের সীমিত সম্পদ দিয়ে কিভাবে জটিল সমস্যা সমাধান করা যায় তা এদেশের জনগণ জানে না। তাই বাংলাদেশের জনগণের সীমিত সম্পদকে কাজে লাগিয়ে তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য উপরিউক্ত ক্ষেত্রে সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%9a%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a5-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%bf/