অথবা, মনোসামাজিক অনুধ্যানের প্রকৃতি তুলে ধর।
অথবা, মনোসামাজিক অনুধ্যানের মানদণ্ড তুলে ধর।
অথবা, মনোসামাজিক অনুধ্যানের বিষয়বস্তু আলোচনা কর।
উত্তরঃ ভূমিকা : অনুধ্যানের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যকে এর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। এ প্রসঙ্গে ফ্লোরেন্স হলিস (Florence Hollis) বলেন, “Social study is a client centred. It is a process of observation. and classification of the facts observed with the purpose of securing as much information as
needed to understand the client and his problem and to guide treatment wisely.” অর্থাৎ, সামাযিাগী অনুধ্যান হলো সাহায্যার্থী কেন্দ্রিক। এটি পর্যবেক্ষণ ও শ্রেণিকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা এবং সাহাংগ্রহের সমস্যাকে বুঝায় এবং সমস্যা সমাধানে দিকনির্দেশনা দান করা হয়। এ প্রক্ষিতে মনোসামাজিক অনুধ্যানের বৈ
প্রকৃতি নিম্নরূপ :
১.ব্যক্তি সমাজকর্মে সমস্যা সমাধান প্রক্রিয়ার একটি গতিশীল প্রক্রিয়া হলো মনোসামাজিক অনুধ্যান ।
২.মনোসামাজিক অনুধ্যানে সাহায্যার্থীর সামাজিক ও মানসিক দিকের তথ্য অন্তর্ভুক্ত হয় ।
৩.এ অনুধ্যান সম্পূর্ণরূপে সাহায্যার্থী কেন্দ্রিক একটি তথ্যসংগ্রহ পদ্ধতি।
৪.এটি ব্যক্তির সমস্যা নির্ণয়ের মূলভিত্তি যা ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে ।
৫.এর মাধ্যমে মনোসামাজিক সমস্যার পাশাপাশি ব্যক্তির অর্থনৈতিক, দৈহিক, পারিবারিক, পারিপার্শ্বিক প্রভৃতি বিষয়ও খতিয়ে দেখা হয়।
৬.মনোসামাজিক অনুধ্যান কার্যক্রম একদিনেই শেষ হয় না, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি।
৭. সুষ্ঠু ও কার্যকরী মনোসামাজিক অনুধ্যানের উপর সমস্যা সমাধান প্রক্রিয়ার সফলতা নির্ভরশীল। মনোসামাজিক অনুধ্যানে ব্যক্তির প্রকৃতি অনুসারে সমস্যা চিহ্নিত করে তা শ্রেণিবিভাগ করা হয়।
৮. অনুধ্যান বা তথ্যসংগ্রহ প্রক্রিয়া সাহায্যার্থীকে এজেন্সি বা সমাজকর্মীর নিকট আগমন থেকে শুরু হয়ে সমস্যা
৯. সমাধান পর্যন্ত এর ব্যাপ্তি থাকে।
১০. মনোসামাজিক অনুধ্যানে সাহায্যার্থীর সমস্যা সমাধানের নির্দেশনা দান করে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ব্যক্তি সমাজকর্মে সমস্যা সমাধান প্রক্রিয়ায় সাহায্যার্থীর সমস্যা সমাধানে মনোসামাজিক অনুধ্যান একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এক্ষেত্রে ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি ও সমস্যার প্রকৃতির মধ্যে স্বতন্ত্রতা লক্ষ্য করা যায়।