নিজ নিজ ধর্মে আল গাজালি ও সেন্ট অগাস্টিনের ভূমিকা কিরূপ?

অথবা, আল গাজালি ও সেন্ট অগাস্টিনের গুরুত্ব তুলে ধর।
অথবা, নিজ নিজ ধর্মে আল গাজালি ও সেন্ট অগাস্টিনের ভূমিকার তুলনামূলক ধারণা দাও।
অথবা, আল গাজালি ও সেন্ট অগাস্টিনের গুরুত্বের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তর ভূমিকা :
মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম দুজন বিখ্যাত চিন্তাবিদ হলেন আল গাজালি এবং সেন্ট অগাস্টিন। তারা দুজনই মধ্যযুগের দার্শনিক। ইতিহাসবিদগণ এ দুই চিন্তানায়কের অবদানকে পরস্পরের সাথে তুলনা করেছেন।
তুলনামূলক আলোচনা : একাদশ শতকে মুসলিম দর্শনের সংকটময় অবস্থায় আল গাজালি আশার আলো নিয়ে আবির্ভূত হন। তার একনিষ্ঠ জ্ঞান ও সাধনা ও গবেষণা মুসলিম জাতিকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়েছিল। ঠিক গাজালির মতোই মধ্যযুগের আরেক দার্শনিক সেন্ট অগাস্টিন, যার হাত ধরে খ্রিস্টধর্ম উন্নত হয়েছিল। আল গাজালি ও সেন্ট অগাস্টিন এম এক সময়ে আবির্ভূত হন যখন ইসলাম ধর্ম ও খ্রিস্টান ধর্ম অন্ধকারে পতিত ছিল। ফলে এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য উভয় চিন্তাবিদ ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং প্রচলিত চিন্তাধারার সংস্কার সাধন করেন। তারা দর্শনের জ্ঞানকে ধর্মীয় আবর্তে সঠিক দিক নির্দেশনা দান করেন। তারা ধর্মের বিষয়াবলির যথাযথ মূল্যায়নের জন্য কাজ করেন। তাদের মূল লক্ষ্যই ছিল ধর্ম অনুশীলনের উপর গুরুত্ব প্রদান। তারা দুজনেই নিজ নিজ ধর্মতত্ত্বকে পরিশুদ্ধ করেন এবং দার্শনিক জ্ঞানের চেয়ে ধর্মীয় প্রত্যাদেশকে উঁচু স্থান দান করেন।
উপসংহার : আল গাজালি ইসলাম ধর্মকে পরিশুদ্ধ করেন এবং ধর্মীয় কুসংস্কার দূর করেন। তার রচিত গ্রন্থাবলি.ধর্মীয় নির্দেশনামূলক এবং দার্শনিক জ্ঞানে ভরপুর। সেন্ট অগাস্টিনও নিজ ধর্মকে সংস্কার করেন। তিনি গীর্জাকে উচ্চ স্থান.দান এবং খ্রিস্ট ধর্মকে যুক্তিভিত্তিক ও যুগোপযোগী করে তোলেন। তাই ইসলাম ধর্মে আল গাজালি যেমন ভূমিকা রাখেন, খ্রিস্টান ধর্মে সেন্ট অগাস্টিন অনুরূপ ভূমিকা পালন করেন।