অর্থবা, গবেষণার ৫টি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
অথবা, গবেষণার কতিপয় বৈশিষ্ট্য লিখ।
অথবা, গবেষণার বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?
অথবা, গবেষণার বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
অথবা, গবেষণার বৈশিষ্ট্য তুলে ধর।
উত্তর৷ ভূমিকা : কোনো বিশেষ বিষয়ে সুশৃঙ্খলা, ধারাবাহিক ও পরীক্ষামূলক অনুসন্ধান প্রক্রিয়াই হলো গবেষণা । এটি সত্য অনুসন্ধানের বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে নতুন সত্য বা জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব । এর কতকগুলো সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে ।
গবেষণার বৈশিষ্ট্য : নিম্নে গবেষণার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো :
১. গবেষণা হলো একটি মৌলিক কাজ । গবেষণা গবেষকের মৌলিকতার স্বাক্ষর বহন করে।
২.প্রতিটি গবেষণাকর্মের সুনির্দিষ্ট কতকগুলো উদ্দেশ্য থাকে। এই উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে প্রতিটি গবেষণা কার্য
পরিচালিত হয় । বস্তুত উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য ব্যতীত কোনো গবেষণাকর্মই সম্পন্ন করা যায় না।
৩. সাধারণত সুনির্দিষ্ট একটি বিষয়কে কেন্দ্র করেই গবেষণা কার্য পরিচালিত হয় ।
৪.কোনো বিশেষ দর্শন, দৃষ্টিভঙ্গি বা মতবাদের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে নিরপেক্ষভাবে গবেষণা করতে হয় ।
৫.গবেষণার মান নির্ভর করে গবেষকের কৌতূহলী ও অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিভঙ্গির উপর ।
৬.গবেষণার মূল বিষয় সংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধানে নিয়ম-নীতি অনুসরণ করতে হয়। জ্ঞান ও পাণ্ডিত্যের শৃঙ্খলাবোধ
গবেষণার প্রথম শর্ত। গবেষণার ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুপুঙ্খ ও ব্যাপক তথ্যগত যথার্থতা এবং পাণ্ডিত্যপূর্ণ
শৃঙ্খলাবোধ ব্যতীত পরিণত গবেষণা সম্ভব নয় ।
৭. কোনো বিষয়ে নতুন কোনো নিয়ম-নীতি বা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া এবং সেই সিদ্ধান্তের সাধারণীকরণই হলো
গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ।
৮. গবেষণা যেহেতু একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, তাই এর মূলভিত্তি যুক্তি, পরিমাণ বা পরিসংখ্যানগত উপস্থাপনার উপর প্রভূত নির্ভরশীল।
৯. গবেষণা হলো তার কারণ ও ফলাফল । অর্থাৎ অনুসন্ধান ও সিদ্ধান্তের এক সম্মিলিত গঠন পদ্ধতি ।
১০. গবেষণা হলো প্রণালিবদ্ধ তথ্য অনুসন্ধান অর্থাৎ গবেষণা হচ্ছে অনুসন্ধান, বিশ্লেষণ এবং ধারণা ও তত্ত্ব গঠন করার একটি সুশৃঙ্খল পদ্ধতি ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার বলা যায়, গবেষণা হলো নতুন কিছু জানা তথা নতুন সত্য ও জ্ঞান আবিষ্কারে জন্য অনুসন্ধান। এটি হলো কোনো সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পরিচালিত কাঠামোবদ্ধ অনুসন্ধান। এর মূল উদ্দেশ্য হলো সর্বাধিক মানব কল্যাণ সাধন করা ।