অথবা, “সমাজব্যবস্থার মধ্যেই সামাজিক সমস্যা বিদ্যমান।” উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : সামাজিক সম্পর্ক হলো সমাজজীবনের স্বাভাবিক সমস্যা। তাই এটি সমাজবিজ্ঞানের প্রধান আলোচ্যবিষয়। মাঝে মাঝে সামাজিক সম্পর্ক অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে, যার ফলে সামাজিক ব্যাধির সৃষ্টি হয়। এতে মানুষের অসন্তোষ ও দুঃখ দুর্দশার সূত্রপাত ঘটে। কোন সমাজই সমস্যামুক্ত নয়। তবে সমাজভেদে এবং একই সমাজে যুগভেদে সামাজিক সমস্যার প্রকৃতিতে বিভিন্নতা দেখা দিতে পারে এবং সমস্যার তীব্রতায় হ্রাসবৃদ্ধিও হতে পারে। আধুনিক শিল্পায়িত জটিল সমাজে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের ক্রমোন্নতি সত্ত্বেও সামাজিক সমস্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। আদিম যুগে প্রযুক্তি সহজ সরল হওয়ায় সমাজে সমস্যাও ছিল সীমিত। কিন্তু বর্তমানে শ্রেণীবৈষম্যমূলক সমাজে নানাবিধ এবং নতুন নতুন ধারার সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। মানব আচরণে সহজ সরল বৈশিষ্ট্য লোপ পেয়ে সমস্যার ধরনে পরিবর্তন আসছে এবং তা জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। সুতরাং কোনভাবেই সমস্যা সমাজের বাইরে অবস্থান করতে পারে না, বরং মানুষের সকল ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়া সমাজের মধ্যেই ঘটে থাকে। ফলে সামাজিক সমস্যা সমাজের মধ্যেই নিহিত। সুতরাং এখন জানা প্রয়োজন সামাজিক সমস্যা কি। এর কারণ কি এবং কি কি সামাজিক সমস্যা সমাজে বিরাজমান।
সামাজিক সমস্যা (Social Problem) : যে পরিস্থিতি সমাজের প্রতিষ্ঠিত রীতিনীতি ও কল্যাণ বিরোধী, সে পরিস্থিতিকে সামাজিক সমস্যা বলে। অতএব সেসব সমস্যার সমাধান কিংবা দূরীকরণ একান্তই প্রয়োজন।
সমাজবিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক ‘American Journal of Sociology’ তে ‘Social Problem’ নামক এক প্রবন্ধে সামাজিক সমস্যার সংজ্ঞায় বলেছেন, “সামাজিক সমস্যা বলতে এমন একটি সামাজিক সমস্যা বা অসুবিধা কিংবা অসংখ্য লোকের অসদাচরণকে বুঝায়, যাকে শোধরানো কিংবা দূর করা দরকার।”
সমাজবিজ্ঞানী হর্টন এবং লেসলি (Norton & Lasly) তাঁদের “The Sociology of Social Problems’ নামক গ্রন্থে বলেছেন, সামাজিক সমস্যা বলতে এমন একটি পরিস্থিতিকে বুঝায়, যা অবাঞ্ছিত এবং যার প্রতিকার সংঘবদ্ধভাবে করা উচিত। কোন পরিস্থিতিকে সামাজিক বলা উচিত তা বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা বিচার করা প্রয়োজন। এক সমাজে যাকে সমস্যা বলা হয় অন্য সমাজে তাকে সমস্যা বলে গণ্য করা নাও হতে পারে। তবে কতক সামাজিক সমস্যা সর্বজনীন ও স্থায়ী। এটি ঐতিহাসিক রেকর্ড ও জরিপকার্য দ্বারা প্রমাণিত। সমাজবিজ্ঞানী হর্টন ও লেসলি সামাজিক সমস্যার যে সংজ্ঞা প্রদান করেছেন তার স্বরূপ বিশ্লেষণ করলে সামাজিক সমস্যার প্রকৃতি জানা যায়। যেমন-
১.সামাজিক সমস্যা এমন একটি অবস্থা, যা সমাজের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তিকে প্রভাবিত বা জর্জরিত করে।
২.এমনভাবে তা সমাজের উপর প্রভাব বিস্তার করে যে, সবাই তাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বা অনভিপ্রেত বলে বিবেচনা করে। সমাজবিজ্ঞানীরা যৌথ প্রয়াসের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কিছু করা যাবে বা করা হবে বলে মনে করে।
৩. সামাজিক সমস্যা হলো সামাজিক অসংগতি দ্বারা সৃষ্ট। ফলে সামাজিক সমস্যা জানতে হলে সামাজিক অসঙ্গতি জানা
একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করা হয়। আর সামাজিক অসংগতি হলো আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম প্রত্যয়। সমাজবিজ্ঞানী অগবার্ন ও নিমকফ (Ogburn and Nimkoff) বলেছেন যে, “When the harmonious relationship between the various parts of culture is disturbed, social disorganization ensures.”
প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী এমিল ডুরখেইম (Durkheim) সামাজিক অসংগতি বলতে বিবেচনা করেছেন, “Social disorganization as a state of disequilibrium and a lack of social solidarity or consensus among the members of a society.” অতএব সামাজিক অসংগতি বা সমস্যা, সমাজের ক্ষুদ্রতর সংগঠনের বা সমাজের ক্রিয়াকর্মে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত গোষ্ঠীর মধ্যকার সম্পর্ক, নৈতিকতা, দলবদ্ধ কাজ, সমন্বয় ও সম্পর্কের ভিত্তিগুলো ভেঙে দেয়। সামাজিক সমস্যা ব্যক্তির আচরণের মধ্যে এবং স
ামাজিক মূল্যবোধের মধ্যে অবিন্যাস সৃষ্টি করে। ব্যক্তির আচরণ বা নৈতিকতা সবই সমাজের বিভিন্ন সংগঠন নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনা করে থাকে। ফলে সামাজিক সমস্যাকে অসংগতি বলাই শ্রেয়। এ হিসেবে অনেক সমাজবিজ্ঞানী Social disorganization বা সামাজিক অসংগতিকে সামাজিক সংগতি বা সংগঠনের (Social organization) বিপরীত বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ ধরনের সমাজবিজ্ঞানীদের মধ্যে এস.এ. কুইন (S.A. Queen), ডব্লিউ.বি. বোডেনহোফার (W.B. Bodenhofer) এবং ই.বি. হর্পার (E.B. Horper) অন্যতম।
সামাজিক সমস্যার কারণ (Causes of social problem) : সমাজবিজ্ঞানী ফেলপস্ (Harold A. Phelps) তাঁর ‘Contemporary Social Problem’ নামক গ্রন্থে সামাজিক সমস্যার প্রধান চারটি কারণের কথা উল্লেখ করেছেন। যথা :
১. অর্থনৈতিক কারণ; ২. জৈবিক কারণ; ৩. মনস্তাত্ত্বিক কারণ এবং ৪. সামাজিক, সাংস্কৃতিক কারণ । অন্যদিকে, সমাজবিজ্ঞানী এলিয়ট এবং মেরিল (Elliot and Merrill) সামাজিক সমস্যার চারটি কারণ
দেখিয়েছেন। যথা : ১. সামাজিক প্রক্রিয়ার প্রধান তিনটি ধারা; যথা : সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক। ২. সাংস্কৃতিক ব্যবধান; ৩. দ্বান্দ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ এবং ৪. সামাজিক সংকট। বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানীদের ধারণা বিশ্লেষণ করলে সামাজিক সমস্যার মোটামুটি পাঁচটি কারণ পাওয়া যায়। নিম্নে সেগুলো সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হলো :
১. মনস্তাত্ত্বিক কারণ (Psychological causes) : মাঝে মাঝে সামাজিক সমস্যার কারণগুলো মানুষের মানসিকতার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। মনস্তাত্ত্বিক কারণগুলো দু’ভাবে সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করে। যেমন- ক. সহকর্মীদের মধ্যে যথাযথ যোগাযোগ চালিয়ে যেতে ব্যর্থতা এবং খ. সময়ের চাহিদার সাথে ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ব্যর্থতা। মানবজাতির মধ্যে যোগাযোগ হলো একটি প্রয়োজনীয় মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া। এটি রক্ষা করা হয় সামাজিক প্রক্রিয়া তথা অনুকরণ, সহযোগিতা, নির্দেশনা, দ্বন্দ্ব, বাসস্থান এবং সংযুক্তি ইত্যাদির মাধ্যমে, যা প্রকৃতিগতভাবে মনস্তাত্ত্বিক, সাধারণ বোঝাপড়া এবং সাধারণ সচেতনতা যোগাযোগ রক্ষা করতে জনগণকে সাহায্য করে। সাধারণ সচেতনতার কারণে এবং বৈচিত্র্যময় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে জনসাধারণ যথাযথ যোগাযোগ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে, মানুষের প্রবণতা ও দৃষ্টিভঙ্গি খুব ধীরে পরিমার্জিত হয়, যেখানে সংস্কৃতি তুলনামূলকভাবে দ্রুত পরিবর্ধিত রূপ লাভ করে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশ ব্যক্তির উপর বাধা সৃষ্টি করে, যার কারণে সাংস্কৃতিক পূর্ণতা আসে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আধুনিক শিল্পায়িত ও নগরায়িত সমাজ এত বেশি প্রতিযোগিতামূলক যে কেউ এর সাথে খাপখাওয়াতে চূড়ান্তভাবে সমস্যায় পড়ে। একইভাবে নতুন ও পুরাতন প্রজন্মের মধ্যে সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের ফলে সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। যার ফলে পারিবারিক সমস্যা, কিশোর অপরাধ সমস্যা ও বয়স্কদের সমস্যা লক্ষ্য করা যায়।
২. সাংস্কৃতিক ব্যবধান (Cultural lag) : সাংস্কৃতিক ব্যবধানের ধারণাটি সমাজবিজ্ঞানী অগবার্ন (Ogburn) বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির ধারা ও মাত্রার ব্যবধানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন। বস্তুগত সংস্কৃতির বিষয়গুলোর মধ্যে বাসস্থানের ধরন, যাতায়াতের উপায়, পোশাকের ধরন, অলংকারের বিষয়, যান্ত্রিক ও প্রযুক্তির বিষয়, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি রয়েছে, যা দ্রুত পরিবর্তিত হয়। কিন্তু আদর্শ, বিশ্বাস, দর্শন, অভ্যাস, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং এ ধরনের অন্যান্য অবস্তুগত সংস্কৃতি ধীরগতিতে ও ক্রমাগতভাবে পরিবর্তিত হয়। ফলে একটা ব্যবধান তৈরি হয়, যাকে সাংস্কৃতিক ব্যবধান বলা হয়। এটি সামাজিক সমস্যার অন্যতম কারণ।
৩. ভৌগোলিক কারণ (Geographical causes) : ভৌগোলিক কারণেও অনেক সময় বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন-বন্যা ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত মহামারি দুর্ভিক্ষ ইত্যাদির জন্য ভৌগোরিক অবস্থান বিশেষভাবে দায়ী। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমাজে বহুবিদ সমস্যার সৃষ্টি করে। যেমন-ঝড় জলোচ্ছ্বাসের কারণে খাদ্য সমস্যা বাসস্থান সমস্যা এবং ফলশ্রুতিতে সমাজে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি চুরি ডাকাতি ছিনতাই ইত্যাদি।
৪. দৈহিক কারণ (Physical causes) : জনসংখ্যাধিক্য বা জনসংখ্যার অতিমাত্রায় স্বল্পতা, নরগোষ্ঠীর মিশ্রতা, রোগগ্রস্ত বংশধারা এবং এ ধরনের অন্যান্য জৈবিক কারণগুলোও সামা
জিক সমস্যার কারণ হতে পারে, যা সমাজের উপর প্রভাব বিস্তার করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অধিক জনসংখ্যা দারিদ্র্যের কারণ হতে পারে, যা একটি সামাজিক সমস্যা।
৫. মূল্যবোধের অবক্ষয় (Degeneration of values) : সামাজিক মূল্যবোধ সমাজের স্থায়ী শক্তি দ্বারা নির্ধারিত হয়। এ মূল্যবোধ সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সহযোগিতা করে। কিন্তু দ্রুত সামাজিক পরিবর্তনের ফলে নতুন মূল্যবোধ জাগ্রত হয় এবং পুরাতন মূল্যবোধ ধ্বসে পড়ে। জনসাধারণ একই সাথে পুরাতন মূল্যবোধকে সম্পূর্ণরূপে ঝেড়ে ফেলতে বা নতুন মূল্যবোধকে সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করতে পারে না। ফলে নতুন ও পুরাতনের মাঝে দ্বন্দ্ব অবশ্যম্ভাবী এবং যার ফলশ্রুতিতে সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। এছাড়া অন্য চারটি বড় কারণ হলো পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত; সামাজিক ভূমিকার ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি ও সমন্বয়হীনতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা। এছাড়াও আরও বেশকিছু কারণের কথা উল্লেখ করা যায়, সেগুলো হলো :
১. উদ্দেশ্য ও উপায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব;
২. সামাজিক নিয়ন্ত্রণের বিপর্যয়;
৩. চূড়ান্ত শ্রম বিভাজন;
৪. ধ্বংসাত্মক সামাজিক পরিবর্তন ইত্যাদি
তবে কোন একটি কারণ এককভাবে সামাজিক সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে না, বরং একাধিক কারণের দ্বারাই সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। যেমন- দারিদ্র্য নামক সামাজিক সমস্যাটি প্রাকৃতিক ও অধিক জনসংখ্যার কারণে হতে পারে, যা আমরা আমাদের দেশে লক্ষ্য করতে পারি। এর সাথে জৈবিক কারণও দায়ী হতে পারে।
বর্তমান বিশ্বে সামাজিক সমস্যা : সামাজিক সমস্যা একই সাথে সব জায়গায় একই রকম বা একই ধারার হয় না বা একই কারণে সামাজিক সমস্যা সারা বিশ্বে আমরা দেখতে পাই না। তবে বিশ্বে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বা একই ধারায় বিশ্বের সমস্ত দেশে বিরাজ করার কারণে অর্থাৎ শিল্পায়িত, আধুনিক ও নগরায়িত সমাজব্যবস্থা চলমান
হওয়ার কারণে সামাজিক সমস্যার ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে একই রকম কতিপয় সামাজিক সমস্যা খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন- পরিবেশ দূষণ, বিশ্ব উষ্ণতা, দারিদ্র্য ও সন্ত্রাস ইত্যাদি। এগুলোর একটা বৈশ্বিক দিক আছে, যা সমস্যা তৈরিতে বড় ভূমিকা পালন করছে। আমরা যদি বিশ্ব উষ্ণতার কথা বলি, তাহলে দেখব যে সারা বিশ্বে শিল্পকারখানা থেকে বর্জ্য নিষ্কাশন, কালো ধোঁয়া ইত্যাদি যা রাসায়নিক দ্রব্যাদি দ্বারা পরিপূর্ণ এবং তা পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলছে, যার ফলশ্রুতি হলো বিশ্ব উষ্ণতা। অন্যদিকে, মূল্যবোধের অবক্ষয়, দারিদ্র্য, দুর্ভিক্ষ, বেকারত্ব এবং সাংস্কৃতিক ব্যবধান অর্থাৎ, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণে সারা বিশ্বেই একই সাথে কমবেশি মাত্রায় সন্ত্রাস বেড়ে চলেছে। ফলে সামাজিক সমস্যা গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। বাংলাদেশের সমাজও এসব সমস্যা থেকে মুক্ত নয়। এক বা একাধিক কারণে এ সমাজে এসব সমস্যা প্রচণ্ড রূপ লাভ করেছে, যার প্রতিকার দ্রুতগতিতে কাম্য ।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার আলোকে বলা যায় যে, সামাজিক সমস্যা সমাজের ব্যবস্থার মধ্যে অন্ত নিহিত। কেননা সমাজ ছাড়া মানবজাতি অস্তিত্বহীন। আর মানবজাতিকে ঘিরেই সামাজিক সমস্যা। সমাজবিজ্ঞানের মূল আলোচ্যবিষয় হলো মানুষ ও তার কার্যাবলি। সামাজিক সমস্যাও হলো মানুষ ও তার ক্রিয়াকর্মের ফলাফল। আজকাল মানুষ তার সামাজিক সমস্যাকে সার্থকভাবে মোকাবিলা করার জন্য অনেক নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনে সমর্থ হয়েছে। সমাজে যেমন জটিল ও নতুন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে ঠিক তেমনি সমাধানেও নতুন দিক বের হচ্ছে। সমাজ একদিন সমস্যাকে বর্জন করে পরিমার্জিত আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠা করবে।