বাংলাদেশের সমাজ গবেষণার ক্ষেত্রে উপযোগী পদ্ধতি লিখ ।

অথবা, বাংলাদেশের সমাজ গবেষণার উপযোগী পদ্ধতি আলোচনা কর।
উত্তরা৷ ভূমিকা :
ইংরেজি ‘Method’ শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে পদ্ধতি। কোন বিষয় সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে গবেষণার জন্য যে পন্থা বা উপায় ব্যবহৃত হয় সেটাই পদ্ধতি। অর্থাৎ পদ্ধতি হলো গোটা কাজটি কিভাবে করতে হবে সেটার পন্থা। সমাজবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু হচ্ছে সমাজ ও সামাজিক সম্পর্ক। বিষয়বস্তুর জটিলতার কারণেই সমাজবিজ্ঞানে কোন বিষয়
সম্পর্কে গবেষণার জন্য একাধিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যে কোন একটি পদ্ধতি দ্বারা সমাজবিজ্ঞানের সকল বিষয় সম্পর্কে গবেষণা করা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশের সমাজ গবেষণার ক্ষেত্রে উপযোগী পদ্ধতি : প্রাচীন কাল থেকে বাংলাদেশ ঐতিহ্যময় দেশ হিসেবে পরিচিত। এদেশ বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বর্তমান অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। তাছাড়া বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান গ্রামভিত্তিক দরিদ্র দেশ। তাই এদেশের সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন
সামাজিক গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহৃত পাওয়ার জন্য বিভিন্ন সামাজিক গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন- ঐতিহাসিক পদ্ধতি, ঘটনা জরিপ পদ্ধতি, তুলনামূলক পদ্ধতি, দার্শনিক পদ্ধতি, প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও পর্যবেক্ষণমূলক পদ্ধতি ইত্যাদি। তবে উপযুক্ত সামাজিক গবেষণা পদ্ধতিসমূহের মধ্যে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সবচেয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব। কেননা প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ কিংবা পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সাহায্যে গবেষক সরাসরি সাক্ষাৎকার
দানকারীর নিকট থেকে তথ্যসংগ্রহ করে থাকেন। এছাড়া এ পদ্ধতিতে গবেষণা করার সময় গবেষক অনেক সময় গবেষণাধীন এলাকায় সশরীরে অবস্থান করেন। ফলে তিনি ঐ এলাকার জনগণের আচার আচরণ, সংস্কৃতি ও চলাচল সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করে। সুতরাং একথা বলা যায়, প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি বাংলাদেশের সমাজ গবেষণার ক্ষেত্রে উপযোগী।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বাংলাদেশের সমাজ গবেষণার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন- ঐতিহাসিক পদ্ধতি, ঘটনা জরিপ পদ্ধতি, প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ পদ্ধতি, পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি ইত্যাদি। তবে বাংলাদেশের সমাজ গবেষণার জন্য সবচেয়ে উপযোগী পদ্ধতি হচ্ছে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি । কেননা এ পদ্ধতির সাহায্যে সঠিক তথ্যসংগ্রহ করা সম্ভব হয়।