অথবা, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যসমূহ ব্যাখ্যা কর।
অথবা, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ফিচারগুলো আলোচনা কর।
অথবা, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির গুণগত বিষয়গুলো লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা : বিজ্ঞানী যে যৌক্তিক পদ্ধতিতে সামাজিক ও প্রাকৃতিক বিষয়াবলি বর্ণনা, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে সাধারণ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেন তাকেই সাধারণ কথায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলে। বস্তুত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিই বিজ্ঞানের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা ও রক্ষাকারী উপাদান। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মূলত প্রাকৃতিক ও সামাজিক বিষয়কে যৌক্তিক ও সুনির্দিষ্টভাবে বিশ্লেষণ করে থাকে ।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১.বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনুসন্ধানের বিষয় সম্পর্কে অনুমান ও আনুষঙ্গিক সন্দেহ পোষণ করা হয়।
২.ভ্রান্ত প্রতিপন্নকরণ ও যাচাইকরণ দুটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে এখানে বিবেচনা করা হয়।
৩.বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আকারগত যুক্তি ও বিমূর্ততার সাথে সম্পর্কিত।
৪.কৌশল ও যুক্তি এক্ষেত্রে দুটি প্রধান প্রণালীগত প্রকৃতি হিসেবে বিরাজন থাকে
৫. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রায়োগিক সাফল্য বিষয়গত যথার্থতা তুলে ধরে।
৬. পর্যবেক্ষণকে প্রত্যয়গত সংজ্ঞার উপর স্থাপিত করে।
৭.ভৌত জগৎ সম্পর্কে আমাদের প্রত্যক্ষণকে সংগঠিত করে।
৮.পর্যবেক্ষণ সংগঠিত এবং অনুসিদ্ধান্ত প্রণয়ন করে।
৯.বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ ও সে সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্যাবলি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রায়োগিক সাফল্যকে নির্ধারণ করে। সুতরাং সঠিকতা, পুঙ্খানুপুঙ্খতা, নিয়মবদ্ধতা, তথ্যধারণ, বস্তুনিষ্ঠতা, প্রশিক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
১০. জগতের বিভিন্ন প্রপঞ্চের মধ্যে নিয়ম আবিষ্কারের চেষ্টা করে যার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক জিনিসের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ সম্ভব হয়।
১১. অবরোহাত্মক ও অনুসিদ্ধান্তভিত্তিক যুক্তিপাতের প্রাধান্য থাকলেও আরোহমূলক উপায়ও যথেষ্ট সমাদৃত।
১২. প্রণীত অনুসিদ্ধান্ত আরোহমূলক উপায়ে পর্যবেক্ষণ ও পূর্ণ বিচার করে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সামাজিক গবেষণা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির যাবতীয় বৈশিষ্ট্য অনুসরণের চেষ্টা করে থাকে। তাই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যসমূহ সমাজ গবেষণায় অধিক গুরুত্বের দাবিদার।