অথবা, মৌলিক গবেষণা কী?
অথবা, মৌলিক গবেষণা কাকে বলে?
অথবা, মৌলিক গবেষণার সংজ্ঞা দাও।
অথবা, বেসিক রিসার্স কী?
উত্তর৷ ভূমিকা : বর্তমানে সমাজে প্রায় সর্বমহলে ‘গবেষণা’ শব্দটি অতি সুপরিচিত এবং বহুল আলোচিত। সমাজে বিভিন্ন পেশাজীবী, বিজ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক সকলেই গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ করেন মৌলিক গবেষণা (Basic research) : বাস্তবক্ষেত্রে গবেষণালব্ধ ফলাফল বিভিন্ন আঙ্গিকে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ দৃষ্টিকে সামনে রেখে বৈজ্ঞানিকগণ দুই ভাগে ভাগ করার চেষ্টা করেন। যথা : মৌলিক গবেষণা ও ফলিত গবেষণা। মৌলিক গবেষণা প্রয়োগের নয়। এগুলোতে উপাত্ত ব্যবহার হয় না। বিশুদ্ধ গবেষণা মূলত দর্শনের কোন শাখায় মৌল বিষয়ের উপর পরিচালিত । মৌলিক গবেষণাগুলোকে দার্শনিক গবেষণা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় ।
মৌলিক গবেষণার সংজ্ঞায় Kenneth and Bailey (1982 : 21) বলেন, “Pure research involves developing and tasting theories and hypothesis that are intellectually interesting to the investigator and night thus have some social application in the future, but no application to social problems in the present time.” বিশুদ্ধ গবেষণা তত্ত্ব. প্রকল্পবিকাশ এবং যাচাই বাছাই করে থাকে যা অনুসন্ধানকারীর নিকট বুদ্ধিবৃত্তিক দিক দিয়ে উৎসাহব্যঞ্জক এবং যার ভবিষ্যৎ সামাজিক কার্যকারিতা থাকলেও বর্তমানে সামাজিক সমস্যার ক্ষেত্রে কোন কার্যকারিতা থাকে না। বস্তুত জ্ঞান অর্জনের তাগিদে কোন একটি বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকে মৌলিক গবেষণার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। বাস্তবজীবনে কতটুক মূল্যায়ন হবে তা বিচার্য উদ্দেশ্য থাকে না। এ গবেষণাকে দার্শনিক হিসেবেও অনেকে আখ্যায়িত করেন।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, মৌল গবেষণা মানব জ্ঞান বিকাশের ধারাবাহিকতায় জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধশালী করার মাধ্যমেই উদ্ভব হয়েছে। সামাজিক সমস্যা নিরূপণে বাস্তব প্রয়োজনের উদ্দীপনে সমাজ গবেষণার বিস্তৃতি ও এর প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। সেজন্য প্রায়োগিক গবেষণার প্রসারতা সমাজের সমস্যা শনাক্তকরণ ও অনুসন্ধানে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।