অথবা, প্রকল্প বলতে কী বুঝ?
অথবা, উপপ্রেমেয়ের সংজ্ঞা দাও।
অথবা, উপপ্রেমেয় বিষয়টি আসলে কী?
উত্তর৷ ভূমিকা : বর্তমান কালে সমাজে প্রায় সর্বমহলে ‘গবেষণা’ শব্দটি অতি সুপরিচিত এবং বহুল আলোচিত। সকল গবেষণায় উপপ্রেমেয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সদা পরিবর্তনশীল ও বিবর্তনশীল সমাজে বিভিন্ন উপাদান নিয়ে অনুসন্ধান কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে উপপ্রেমেয় সুনির্দিষ্ট করে কাজ করার চালিকা শক্তি হিসেবে বর্তমান থাকে।
উপপ্রেমেয় : সামাজিক গবেষণার প্রারম্ভে গবেষককে সমস্যার কার্যকারণ সম্পর্ককে নির্ণয়ের জন্য উপপ্রেমেয় গঠন করতে হয় যা তথ্য প্রমাণাদির ভিত্তিতে প্রমাণিত বা বর্জিত হতে পারে। পুরো গবেষণা কর্ম উপপ্রমেয়কে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। উপপ্রেমেয়কে গবেষণা কর্মের দিক নির্দেশক বলা হয়ে থাকে। যে কোন বিষয় গবেষণা পরিচালনার জন্য দুই বা ততোধিক চলকের মধ্যে কার্যকরণ সম্পর্ক প্রমাণকরণের জন্য প্রাথমিকভাবে যে যৌক্তিক ও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তাকে উপপ্রেমেয় বলে।
প্রামাণ্য সংজ্ঞা : বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে উপপ্রেমেয় সংজ্ঞা প্রদান করেছেন তা নিম্নে আলোচনা করা হলো :
Goode and P. K. Hatt তাঁদের ‘Methods is Social Research’ গ্রন্থে উপপ্রেমেয় সম্পর্কে উল্লেখ করেন, “A hypothesis looks forwards. It is a proposition which can be put to a test to determine its validity. It may seem contrary to or in accord with common sense. It may prove to be correct or incorrect.” (1981:56) এককথায় উপপ্রেমেয় সম্মুখবর্তী এমন একটি প্রস্তাবনা যার যথার্থতা নির্ধারণের জন্য পরীক্ষাধীনে আনা হয়। আর এটি সাধারণ উপলব্ধির পক্ষ বিপক্ষ ভ্রান্ত অথবা অভ্রান্ত উভয়দিক যেতে পারে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উপপ্রেমেয় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির একটি অন্যতম হাতিয়ার। একে অনুসন্ধান কাজে দিকনির্দেশক বলা হয়ে থাকে। অনুসন্ধান কাজে গবেষককে কি দেখতে হবে উপপ্রেমেয় থেকে তা বুঝা যায়।