প্রশ্না০৬৷ যোজিত গড়ের অসুবিধাগুলো লিখ।
অথবা, গাণিতিক গড়ের অসুবিধাগুলো আলোচনা কর।
অথবা, যোজিত গড়ের অপকারিতাসমূহ বর্ণনা কর।
অথবা, গাণিতিক গড়ের অপকারিতাসমূহ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর ভূমিকা : যোজিত গড় হলো সমজাতীয় রাশির কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপক একটি সংখ্যা, যা রাশিগুলোর সমষ্টিকে রাশির মোট সংখ্যা দ্বারা ভাগ করে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তার সমান। যেমন- X, X2, X3, X4 GB N সংখ্যক সমজাতীয় রাশির যোজিত গড় হবে এর যোগফলকে রাশিগুলোর সংখ্যা (N) দ্বারা ভাগফলের সমান।
গাণিতিক গড়ের অসুবিধা : যোজিত গড়ের ব্যবহার ও প্রয়োগ সর্বজনীন হলেও এর কিছু কিছু অনুপযোগিতাও রয়েছে। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো :
১. তথ্যের প্রাত্তীয় বা চরম মান অত্যন্ত ছোট বা অতি বড় হলে গাণিতিক গড় প্রকৃত উদ্দেশ্য নির্ণয়ে ব্যর্থ হবে। অর্থাৎ তথ্যের মানসমূহ যদি কেন্দ্রবিন্দু হতে মোটামুটি সমভাবে বিন্যাসিত না হয়, তবে গাণিতিক গড় ত্রুটিপূর্ণ হবে।
২. তথ্যাদি গুণবাচক হলে গাণিতিক গড় প্রয়োগ করা যায় না।
৩. প্রকৃত তথ্যাদি দেয়া না থাকলে অনেক সময় গাণিতিক গড়ের সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব নয়। যেমন- গড়ে 60 নম্বর পেয়েও কোনো ছাত্র পরীক্ষায় অকৃতকার্য হতে পারে।
৪. এটি লেখচিত্রের মাধ্যমে দেখানো যায় না।
৫. কোনো গণসংখ্যা নিবেশনে যদি দেখা যায় যে, প্রান্তীয় শ্রেণির গণসংখ্যা অধিক অর্থাৎ বঙ্কিম, তাহলে গাণিতিক গড় ভালো মান দিতে অক্ষম হয়ে পড়ে।
৬. গাণিতিক গড় প্রকৃত মধ্যম মানের পরিমাপ করতে অক্ষম।
উপসংহার্ : পরিশেষে বলা যায় যে, যোজিত গড়ে একটি আদর্শ কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপক হলেও এর অসুবিধা যে থাকবে এটিই স্বাভাবিক।