মারি চুক্তি বৈশিষ্ট্য লিখ।

অথবা, মারি চুক্তির বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
পাকিস্তানে সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে মারি চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১৯৫৪ সালে ২৪ অক্টোবর পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ প্রথম গণপরিষদ ভেঙে দেন এবং দ্বিতীয় গণপরিষদ গঠিত হয়।
এ গণপরিষদের মাধ্যমে ১৯৫৫ সালের ৫ দফাভিত্তিক মারি চুক্তি সম্পাদিত হয়।
মারি চুক্তি বৈশিষ্ট্য : ১৯৫৫ সালের মারি চুক্তির বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. মারি চুক্তির অধীনে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় কাঠামোর দুটি প্রদেশ থাকবে। পশ্চিম পাকিস্তানের সকল প্রদেশকে এক ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত করে একটি প্রদেশ গঠন করা হবে।
২.পাকিস্তানের প্রদেশ দুটিকে পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা হবে।
৩. দুটি প্রদেশের মধ্যে সকল বিষয়ে সংখ্যা সাম্য নীতি অনুসরণ করা হবে।
৪. যুক্ত নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা হবে।
৫. বাংলা ও উর্দু উভয় ভাষাই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পাকিস্তানের সংবিধান রচনার ক্ষেত্রে মারি চুক্তি ছিল একটি মাইলফলক। মারি চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের পথ প্রশস্ত হয়। ১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়।