অথবা, বাংলাদেশ কিশোর আদালত সম্পর্কে কী জান লিখ।
উত্তর।৷ ভূমিকা : বাংলাদেশে তিনটি কিশোর বা কিশোরী সংশোধনী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের একটি টঙ্গীতে, একটি যশোরে ও একটি কোনাবাড়িতে অবস্থিত। এই তিনটি সংশোধনী প্রতিষ্ঠানেই তিনটি কিশোর আদালত রয়েছে।
বাংলাদেশে কিশোর আদালত : কিশোর আদালতে সংশোধনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাগণ; যেমন- তত্ত্বাবধায়ক,সহকারী তত্ত্বাবধায়ক, সোশ্যাল কেইস ওয়ার্কার, প্রবেশন অফিসার ও হাউজ প্যারেন্টগণ-সবাই বিশ্ববিদ্যালয় হতে সমাজকল্যাণ অথবা সমাজবিজ্ঞান অথবা অন্য কোন সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রিপ্রাপ্ত এবং সমাজকর্ম ও সংশোধনী কার্যক্রমে দেশে-বিদেশে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাঁদেরকে সহায়তা প্রদানে যেসব স্থায়ী কর্মচারী নিয়োজিত আছেন, যেমন-শিক্ষকবৃন্দ,প্রশিক্ষকবৃন্দ, সহকারীবৃন্দ-তারাও স্ব স্ব ক্ষেত্রের পাশাপাশি সংশোধনী কার্যক্রমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাই এ সংশোধনী কার্যক্রমকে একটি পেশাদার কার্যক্রমে উন্নীত হয়েছে। কিশোর আদালতে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেট ও অন্যান্য কর্মচারীগণও সংশ্লিষ্ট’ ‘শিশু আইন’ অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়ে তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, কিশোর আদালতে কিশোরদের ঘরোয়া পরিবেশে বিচারের সুযোগ রয়েছে।