অথবা, মনোচিকিৎসা সমাজকর্মে সমাজকর্ম অনুশীলনের ক্ষেত্রসমূহ আলোচনা কর ।
অথবা, মনোচিকিৎসা সমাজকর্মে সমাজকর্ম অনুশীলনের পরিধিগুলো ব্যাখ্যা কর।
উত্তর।৷ ভূমিকা : মনোচিকিৎসা সমাজকর্ম মানসিক রোগীদের সুস্থ করতে কাজ করে থাকে।এক্ষেত্রে সমাজকর্মের জ্ঞান, দক্ষতা ও কৌশলকে কাজে লাগানো যায়। তাই মনোচিকিৎসা সমাজকর্মকে সমাজকর্ম অনুশীলনের উপযুক্ত ক্ষেত্র বলা হয়।
মনোচিকিৎসা সমাজকর্মে সমাজকর্ম অনুশীলনের ৪টি ক্ষেত্রসমূহ : নিম্নে মনোচিকিৎসা সমাজকর্মে সমাজকর্ম অনুশীলনের ৪টি দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো :
১. মানসিক ব্যাধি হাসপাতাল : মানসিক ব্যাধি হাসপাতাল সমাজকর্ম অনুশীলনের একটি অন্যতম ক্ষেত্র। সমাজকর্ম এক্ষেত্রে মানসিক রোগীদের উপর ব্যক্তি সমাজকর্ম ও দল সমাজকর্ম প্রয়োগ করে সুফল পেতে পারে। এছাড়া সমাজকর্মী প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে থাকে।
২. মনোবিকার শিশু হাসপাতাল : মনোবিকারগ্রস্ত শিশুদের হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ ধরনের শিশুদের উপযোজনগত সমস্যা হয়। সমাজকর্মী শিশুদের অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা ও চিকিৎসায় সমাজকর্মের জ্ঞানকে কাজে লাগাতে পারে।
৩. কিশোর সংশোধনী প্রতিষ্ঠান : কিশোর সংশোধনী প্রতিষ্ঠানে অপরাধপ্রবণ শিশুদের সংশোধনের ব্যবস্থা রয়েছে।এ প্রতিষ্ঠানে সমাজকর্মী ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতি প্রয়োগ করে শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য ভূমিকা পালন করে।
৪. বৃদ্ধনিবাসে মনোবিকার শাখা : বৃদ্ধনিবাসে বৃদ্ধদের আশ্রয় দেয়া হয়। এখানে রয়েছে মনোবিকার ইউনিট। এ ইউনিটে মনোবিকারগ্রস্ত বৃদ্ধদের চিকিৎসা দেয়া এক্ষেত্রে সমাজকর্মীরা সমাজকর্ম পদ্ধতি প্রয়োগ করে তাদের সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে থাকে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, মনোচিকিৎসা সমাজকর্মে সমাজকর্ম অনুশীলনের গুরুত্ব অত্যধিক। মনোচিকিৎসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমাজকর্মের জ্ঞান, দক্ষতা, পদ্ধতি ও কৌশল ব্যবহার করে মনোচিকিৎসা সমাজকর্মী এক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তবে মনোচিকিৎসা সমাজকর্মে সামাজকর্ম অনুশীলনের ব্যাপকতা ও প্রসারতা আরো বাড়াতে হবে। আমাদের দেশে এক্ষেত্রে সমাজকর্মের ব্যবহার আরো বৃদ্ধি করা অত্যাবশ্যক।