অথবা, ডি. পাল. চৌধুরী মাঠকর্ম তত্ত্বাবধানকে কয়টি ভাগে ভাগ করেছেন ও কী কী?
অথবা, D. Paul Chawdhury-র মতে মাঠকর্ম তত্ত্বাবধান কত প্রকার ও কী কী?
অথবা, ডি. পল চৌধুরীর মতে মাঠকর্ম তত্ত্বাবধানের ধরনসমূহ আলোচনা কর।
উত্তর।। ভূমিকা : তত্ত্বাবধান বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। অবধান কখনো কর্মীদের কার্যক্রম নিয়ে হয়, কখনো প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে হয়। আবার কখনো আর্থিক সংক্রান্ত তত্ত্বাবধান হতে পারে।
ডি. পল. চৌধুরীর মতে মাঠকর্মে অপবয়ানের শ্রেণিবিভাগ
মনীষী ডি. পল. চৌধুরী ( Paul Chowdhury) তাঁর ‘Supeerision’ গ্রন্থে তত্ত্বাবধনকে ৪টি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন। এগুলো হলো:
১. প্রশাসনিক অথবা স্বেচ্ছাসেবী তত্ত্বাবধান কর্তৃক কারিগরি ব্র্যাক্তির তত্ত্বাবধান (Supervision of the technical person by administrative or yoluntary supervision)
২. স্বেচ্ছাসেবী বা কারিগরি ব্যক্তির মাধ্যমে প্রশাসনিক ব্যক্তির তত্ত্বাবধান (Supervision of the administrative
person by voluntary or technical person T
৩. সাংগঠনিক তত্ত্বাবধান- জাতীয় থেকে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্র থেকে জেলায় (Organizational supervision-
National to state and state to district)I
৪. আর্থিক তত্ত্বাবধান এবং আর্থিক নিয়মকানুন জ্ঞানসমৃদ্ধ ব্যক্তি কর্তৃক তত্ত্বাবধান (Financial supervision and
by people having knowledge of financial rules and regulations)।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, মনীষী ডি. পল. চৌধুরী তত্ত্বাবধানের যে শ্রেণিবিভাগ করেছেন তা কর্তৃত্বভিত্তিক তত্ত্বাবধান।এখানে কে তত্ত্বাবধান করবে সে ভিত্তিতেই মূলত শ্রেণিবিভাগ করা হয়েছে।