অথবা, বাংলাদেশে পেশাদার সমাজকর্মের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ আলোচনা কর।
অথবা, বাংলাদেশে কীভাবে পেশাদার সমাজকর্মের উৎপত্তি ও বিকাশ সাধিত হয়েছিল।
অথবা, বাংলাদেশে আধুনিক সমাজকর্ম শিক্ষার বিবর্তন ও বিকাশে আলোচনা কর।
উত্তর।৷ ভূমিকা : বাংলাদেশে প্রাচীনকাল থেকে সমাজকল্যাণমূলক কাজ চলে আসলেও আধুনিক সমাজকর্মের অনুশীলন শুরু হয় মূলত ষাটের দশক থেকে । বর্তমানে বাংলাদেশে সমাজকর্ম অনেকটাই পেশাগত বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ।
বাংলাদেশে আধুনিক সমাজকর্মের বিবর্তন ইতিহাস : বাংলাদেশে আধুনিক সমাজকর্মের বিবর্তন ইতিহাসকে ৩টি স্ত রে ভাগ করে বর্ণনা করা যেতে পারে । যথা :
১. সমাজকর্ম শিক্ষার বিবর্তন,
২. সমাজকর্মের বাস্তব প্রয়োগ এবং
৩. সমাজকল্যাণ বা সমাজকর্মের প্রশাসনিক কাঠামোর বিবর্তন ।
১. সমাজকর্ম শিক্ষার বিবর্তন : ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম
হয় । তখন পাকিস্তান দুটি অংশে বিভক্ত ছিল । যথা : পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) ও পশ্চিম পাকিস্তান।দেশবিভাগের পর প্রচুর পরিমাণে মুহাজির মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা হিসেবে ভারত থেকে বাংলাদেশের ঢাকা ও পশ্চিম পাকস্তানের করাচিতে আগমন করে। ফলশ্রুতিতে ঢাকা ও করাচিতে ব্যাপকভাবে গৃহায়ন ও বস্তি সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যা, অপরাধ ও কিশোর অপরাধ সমস্যা, ভিক্ষাবৃত্তি ইত্যাদি আরো নানাবিধ সামাজিক সমস্যা দেখা দেয় । এসব সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণার্থেই মূলত সমাজকর্ম শিক্ষার বিকাশ ঘটে । নিম্নে বাংলাদেশে সমাজকর্ম শিক্ষার বিকাশধারা আলোচনা করা হলো :
ক. সমাজকর্ম বিষয়ে প্রশিক্ষণ কোর্স : পূর্বেই বলা হয়েছে ভারত বিভক্তির পর এদেশে প্রচুর পরিমাণ মুহাজির আগমন করায় বস্তি সমস্যাসহ আরো নানাবিধ সামাজিক সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। এসব সমস্যা পাকিস্তান সরকারের পক্ষে একা মোকাবিলা করা সম্ভব ছিল না। ফলে ১৯৫১ সালে এই সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য পাকিস্তান সরকার জাতিসংঘের কাছে পরামর্শ ও সাহায্যের আবেদন জানায়। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৯৫২ সালে উৎ. James R Dumpson এর নেতৃত্বে জাতিসংঘের ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল এদেশে আগমন করে। তারা এদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা জরিপ ও পর্যালোচনা করে পেশাদার সমাজকর্ম প্রবর্তনের উপর গুরুত্বারোপ করে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৫৩ সালে ৩ মাস মেয়াদি একটি স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করা যার উদ্দেশ্য ছিল পেশাগত সমাজকর্মী তৈরি। পরবর্তীতে ১৯৫৫ সালে মিস্টার শাউটি ও অন্যান্য কর্তৃক ৯ মাস মেয়াদি আরো একটি
প্রশিক্ষণ কোর্সের ব্যবস্থা করা হয়।
খ. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নির্জন কার্যক: ক্রমকামীর সামাজিক সমস্যার প্রেক্ষাপটে দক্ষ সমাজকর্মী গড়ে তুলে সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব হয়। এই অনুভূত প্রয়োজনের তাগিদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই কলেজে ২ বছর মেয়াদি সমাজকল্যাণ বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স প্রবর্তন করা হয় । ১৯৬৬-‘৬৭ সাল হতে কালজটিতে ৩ বছর মেয়াদি অনার্স কোর্স প্রবর্তন করা হয়। ১৯৭৩ সালে অত্র কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একীভূত হয় এবং সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট’ নামধারণ করে । বর্তমান এই ইনস্টিটিউট থেকে ৪ বছর মেয়াদি অনার্স ও ১ বছর মেয়াদি মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া এম ফিল ও পিএইচডি ডিগ্রিও এখান থেকে প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই সমাজকর্মের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে ।
গ. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষা কার্যক্রমঃ ১৯৬৪-‘৬৫ শিক্ষাবর্ষ হতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যাল
য়ের অধীনে ‘সমাজকর্ম কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করে সমাজকর্ম বিষয়ে স্নাতক (পাস) এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে সমাজকর্মকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।১৯৬৭ সাল থেকে কলেজটিতে সমাজকর্ম বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রির প্রবর্তন করা হয়।১৯৭২ সালে কলেজটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একীভূত হয়।বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগ হিসেবে এটি ৪ বছর মেয়াদি অনার্স, ১ বছর মেয়াদি মাস্টার্স এবং এম ফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করছে।এ প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই সমাজকর্মের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে ।
ঘ. শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষা কার্যক্রম : ১৯৯০ সালে সিলেট শাহজালাল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) কোর্স প্রবর্তন করে । বর্তমানে সেখান থেকে মাস্টার্স ডিগ্রিও প্রদান করা হচ্ছে । এ প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই সমাজকর্মের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে।
ঙ. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষা কার্যক্রম : ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় । প্রতিষ্ঠার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন সরকারি কলেজগুলোতে ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স প্রবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম ফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি দেয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।সাম্প্রতিককালের এক তথ্যে জানা যায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৩২টি কলেজে অনার্স ও ১৭টি কলেজে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে । এ প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই সমাজকর্মের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে।
চ. শিক্ষা বোর্ড অধিভুক্ত কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম : ১৯৬৪ সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে বিভিন্ন কলেজে সমাজকর্ম/সমাজকল্যাণ বিষয়ে পাঠ্যক্রমের অনুমতি প্রদান করা হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে সমাজকর্ম বিষয়ে জ্ঞানদানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।উল্লেখ্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমাজকর্ম বিষয়ে তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনেরও সুযোগ রয়েছে । অনার্স পর্যায়ে পাঠ্যক্রম শেষ করার পর এবং মাস্টার্স পর্যায়ে পাঠ্যক্রম শেষ করার পর ছাত্রছাত্রীদেরকে সমাজকর্ম বিষয়ে ৩ মাস করে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ অর্জন করতে হয় ।
২. সমাজকর্মের বাস্তব প্রয়োগ : কোন বিষয়ের বাস্তব প্রয়োগ ছাড়া তা পেশাগত মর্যাদালাভ করতে পারে না।বাংলাদেশে সীমিত পর্যায়ে হলেও পঞ্চাশের দশক থেকে সমাজকর্মের বাস্তব প্রয়োগ শুরু হয়। নিম্নে বাংলাদেশে সমাজকর্মের বাস্তব প্রয়োগ সম্পর্কে ধারণা দেয়া হলো :
ক. শহর সমষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প : ১৯৫৩ সালে জাতিসংঘের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় ৩ মাসের প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপ্তির পর ১৯৫৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ‘Dacca Project’ নামে শহর সমাজ উন্নয়নমূলক ‘Urban Community Development’ প্রজেক্ট চালু করা হয় । বর্তমানে ঢাকাসহ অনেক জেলা শহরেও UCDP কার্যক্রম চালু করেছে। ঢাকার কায়েতটুলিতে সর্বপ্রথম এই প্রকল্প চালু করা হয়। বর্তমানে প্রায় অর্ধ শতাধিক এ ধরনের প্রকল্প চালু রয়েছে ।
খ. চিকিৎসা সমাজকর্ম : ১৯৫৫-‘৫৬ অর্থবছরে তদানীন্তন ‘East Pakistan National Council of Social Welfare’ এর উদ্যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সর্বপ্রথম চিকিৎসা সমাজকর্ম চালু করা হয়। ১৯১৯ সালের সমাজসেবা অধিদপ্তর এর তথ্যানুসারে দেশের ৬৪টি জেলার ৮৪টি হাসপাতালে চিকিৎসা সমাজকর্ম চালু রয়েছে ।
গ. বিদ্যালয় সমাজকর্ম : ১৯৬৯ সালে ঢাকার আরমানিটোলা উচ্চ বিদ্যালয় ও চট্টগ্রামের ‘মুসিলম হাইস্কুল’-এ বিদ্যালয় সমাজকর্ম চালু করা হয়। কিন্তু এ কর্মসূচি তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হলে এ নাম কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বন্ধ করে দেয়া হয়।
ঘ. কিশোর সংশোধনমূ
লক কার্যক্রম : ১৯৭৪ সালের শিশু আইন মোতাবেক ১৯৭৮ সালে কিশোরদের অপরাধ সংশোধনকল্পে টঙ্গীতে সর্বপ্রথম ‘জাতীয় কিশোর অপরাধ সংশোধনী কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০ আসন বিশিষ্ট এ প্রতিষ্ঠানে Social Case Work Ges Social Group Work পদ্ধতি প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। টঙ্গী ছাড়াও যশোরে অনুরূপ একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া কিশোরীদের জন্য কোনাবাড়িতে এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে ।
ঙ. গ্রামীণ সমাজসেবা কার্যক্রম : ১৯৭৪ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রামীণ সমাজসেবা (Rural Social Service-RSS) কর্মসূচি প্রবর্তন করা হয়েছে। ১৯৭৪ সালে ১৯টি থানায় এ কর্মসূচি চালু করা হলেও এর সাফল্যের প্রেক্ষিতে বর্তমানে সারা দেশের ৪১৬টি থানায় এই কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হয়েছে ।
চ. গ্রামীণ কৃষি ও শিল্প উন্নয়ন কর্মসূচি : ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রশাসন’ ও ‘ফোর্থ ফাউন্ডেশন’ এর যৌথ প্রচেষ্টায় গ্রামীণ কৃষি ও কুটিরশিল্পের উন্নয়নে ভি.এইড (V-Aid-Village Agricultural and Industrial Development’ কর্মসূচি চালু করা হয়। কিন্তু ৬ বছরের মাথায় ১৯৫৯ সালে তা বন্ধ করে দেয়া হয় । উপর্যুক্ত কর্মসূচিগুলো ছাড়াও সমাজকর্ম অনুশীলন করা যায় এ ধরনের চলমান কতকগুলো কর্মসূচি হলো :
i. সরকারি শিশু সনদের মাধ্যমে শিশুকল্যাণ কর্মসূচি;
ii. অন্ধ প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনমূলক কর্মসূচি;
iii. পঙ্গু ব্যক্তিদের পুনর্বাসানমূলক প্রকল্প;
iv. দুঃস্থ মহিলাদের তাঁত প্রশিক্ষণ ও উৎপাদনমূলক কর্মসূচি;
v. ভবঘুরে প্রশিক্ষা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি;
vi. মাদকাসক্ত নিরাময় কর্মসূচি;
vii. দিবাযত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুকল্যাণ কর্মসূচি ইত্যাদি ।
৩. সমাজকল্যাণ বা সমাজকর্মের প্রশাসনিক কাঠামোর বিবর্তন : সমাজকল্যাণ বা সমাজকর্মের প্রশাসনিক কাঠামোর বিবর্তনকে নিম্নোক্তভাবে দেখানো যেতে পারে :
i. ১৯৫৫ সালে National Social Work Council গঠন;
ii. ১৯৫৬ সালে প্রাদেশিক সমাজকর্ম পরিষদ গঠন;
iii. ১৯৫৯ সালে স্বাস্থ্য শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্থাপন;
iv. ১৯৬১ সালে ঢাকায় সমাজকল্যাণ পরিদপ্তর স্থাপন;
v. ১৯৬২ সালে সমাজকল্যাণ পরিদপ্তরকে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের হাতে ন্যস্তকরণ;
vi. ১৯৭৪ সালে সমাজকল্যাণ পরিদপ্তরকে ‘সমাজসেবা অধিদপ্তরে’ উন্নীতকরণ;
vii. ১৯৭৬ সালে ‘জাতীয় সমাজকর্মী সমিতি’ ও ১৯৮৬ সালে ‘বাংলাদেশ সমাজকর্ম সমিতি, নামে পেশাগত সমিতি গঠন।
vili. সবশেষে ‘সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়’ নামে একটি আলাদা মন্ত্রণালয় স্থাপন ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে আমরা একথা বলতে পারি যে,বাংলাদেশে সমজাকর্ম শিক্ষার যথেষ্ট বিকাশ ঘটেছে। সমাজকর্ম বিষয়ে এদেশে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ডিগ্রি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া সমাজকর্মের প্রশাসনিক কাঠামোর বিবর্তনও এদেশে উল্লেখ করার মতো। আবার এদেশে সমাজকল্যাণমূলক যেসব কর্মসূচির বিকাশ ঘটেছে তাও উল্লেখ করার মতো। এতদসত্ত্বেও এদেশে সমাজকর্মকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পেশাগত স্বীকৃতি প্রদান করা হয় নি। তবে দেশের সমাজকল্যাণ কার্যাবলিকে আরো গতিশীল করতে সরকার সমাজকর্মকে পেশাগত মর্যাদা প্রদান করবে বলে।