অথবা, বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের বর্তমান চিত্র উল্লেখ কর।
অথবা, বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের বর্তমান চিত্র লিখ।
অথবা, বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের বর্তমান অবস্থা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ভূমিকা : দক্ষিণ এশিয়ার একটি জনবহুল এবং স্বল্পউন্নত দেশ হলো বাংলাদেশ। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য এদেশের বহু লোক প্রত্যেক বছরই বিদেশে গমন করে থাকে। প্রতি বছর বহু বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সংযুক্ত হয় রেমিট্যান্স হিসেবে।
বাংলাদেশের রেমিট্যালের চিত্র : পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত অর্থ বা রেমিট্যান্স প্রবাহ উত্তরোত্তর বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাম্প্রতিক অর্থ বছরসমূহে গৃহীত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপসমূহের মধ্যে আছে :
১.পাঁচ হাজার ডলার ও তার বেশি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সরকারিভাবে দেশে প্রেরণকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ নাগরিক সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ ।
২.অধিকসংখ্যক বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজের সাথে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর ড্রয়িং ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও ড্রয়িং ব্যবস্থা সম্পর্কিত কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তত্ত্বাবধান ।
৩. ডেলিভারি সার্ভিস উন্নয়নসহ সার্বিক বিষয়টি মনিটরিং করার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে বেনিফিসিয়ারিদের কাছে তাদের প্রাপ্ত রেমিট্যান্স দ্রুত পৌছানোর ব্যবস্থাকরণ।
এছাড়া বর্তমান রেমিট্যান্স অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং রেমিট্যান্স এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (DFID) সংস্থার অর্থায়নে সেপ্টেম্বর ২০০৬ থেকে ‘রেমিট্যান্স এন্ড পেমেন্টস পার্টনারশিপ’ (RPP) শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার সফল বাস্তবায়নের ফলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রেমিট্যান্স প্রক্রিয়াকরণে যথেষ্ট মাত্রার উন্নয়ন সাধিত হবে বলে আশা করা যায় । নীত উল্লেখ্য, ২০০৯-১০ অর্থ বছরে প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০৯৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা পূর্ব পরবর্তী অর্থ বছরের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ বেশি।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থের সিংহভাগই আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ হতে। তবে এক্ষেত্রে গত কয়েক বছর থেকে এককভাবে সৌদি আরবের পরেই যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান করছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরেও সর্বাধিক রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে।