যোগানের স্থিতিস্থাপকতা কিরূপে পরিমাপ করা যায়?
অথবা, যোগান স্থিতিস্থাপকতার পরিমাপকসমূহ আলোচনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : কোনো দ্রব্যের দামের পরিবর্তনের ফলে এর যোগানের পরিবর্তনের মাত্রাকে বলা হয় যোগানের স্থিতিস্থাপকতা। আমরা জানি, দামের সাথে যোগানের একটি ক্রিয়াগত সম্পর্ক আছে। দাম পরিবর্তনের ফলে যোগানের পরিমানেরও পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু এই দাম পরিবর্তনের হারের সাথে যোগানের পরিবর্তনের হার সব সময় সমান থাকে না। তাই আমরা বলতে পারি মূল অর্থে কোনো দ্রব্যের দামের পরিবর্তনের ফলে সেই দ্রব্যের যোগানের পরিবর্তনের সাড়া দেওয়ার মাত্রাকে বলে যোগানের স্থিতিস্থাপকতা। আর এই যোগানের স্থিতিস্থাপকতা বিভিন্নভাবে পরিমাপ করা যায়
নিচে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
যোগানের স্থিতিস্থাপকতা পরিমাপ: সাধারণত যোগান স্থিতিস্থাপকতা নির্ণয়ের পদ্ধতিসমূহ নিম্নরূপঃ
১. সংখ্যাগত পদ্ধতির সাহায্যে (ES) পরিমাপ
২. শতকরা পদ্ধতি অনুযায়ী ES পরিমাপ
২. জ্যামিতিক পদ্ধতি অনুযায়ী (ES) পরিমাপ
এসব পরিমাপ পদ্ধতিসমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলঃ
১. সংখ্যাগত পদ্ধতিঃ মনে করি, যোগান সূচি
দাম | যোগানের পরিমাপ |
100 এবং 150 | 1000 এবং 1500 |
২. জ্যামিতিক পদ্ধতিঃ যোগান রেখার কোন নির্দিষ্ট বিন্দুতে স্থিতিস্থাপকতা নির্ণয়ের বিষয়টি নিম্নে দেখানো হল ৪ চিত্রে, SS’ রেখা হল’ যোগান রেখা। OY অক্ষে দাম ও OX অক্ষে যোগানের পরিমাণ দেখানো হল। চিত্র বিশেষণঃ SS’ রেখার নির্দিষ্ট বিন্দু ।। বিন্দুতে উক্ত যোগান রেখার স্থিতিস্থাপকতা নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে অপর বিন্দু ৮ ধরি। ৯ ও ৮ বিন্দুতে দাম ও পরিমাণ চিহ্নিত করি। আমরা জানি, যোগানর স্থিতিস্থাপকতা, ES dp Q চিত্র অনুসারে।
উপসংহার: উপরিউক্ত আলোচনার পরিশেষে আমরা বলতে পারি কোনো দ্রব্যের যোগানের স্থিতিস্থাপকতা পরিমাপের ক্ষেত্রে উপরোক্ত আলোচ্য তিনটি পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য বহন করে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।তাই আমরা বলতে পারি সংখ্যা পদ্ধতি, শতকরা পদ্ধতি ও জ্যামিতিক পদ্ধতি, যোগানের স্থিতিস্থাপকতা বিশ্লেষণে গুরুত্ব অপরিসীম।