উত্তরা ভূমিকা: কল্যাণ রাষ্ট্র ঐতিহ্যগত রাষ্ট্রের একটি আধুনিক রূপ। বর্তমান একবিংশ শতাব্দীতে কল্যাণ রাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতা অনেকাংশে বেড়েছে। কল্যাণ রাষ্ট্রের পরিধি ও কার্যক্রম জনকল্যাণের লক্ষ্যে। সে কারণে আধুনিক যুগে কল্যাণ রাষ্ট্রের পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।কল্যাণ রাষ্ট্র বা অকল্যাণমূলক রাষ্ট্র সাধারণত কল্যাণ রাষ্ট্র বলতে এমন এক ধরনের সরকারকে বোঝায় যা জনগণের সার্বিক কল্যাণ সাধন করে। এক কথায় জনকল্যাণে নিয়োজিত রাষ্ট্র হলো কল্যাণমূলক রাষ্ট্র।
প্রামাণ্য সংজ্ঞা : কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সম্পর্কে বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।
হার্বার্ট লেম্যান এর ভাষায়, “যে রাষ্ট্রে নাগরিকের ব্যক্তি ক্ষমতার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে এবং তাদের প্রতিভার সাই
মূল্যায়ন করা হয় সে রাষ্ট্রকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলে।”
T. W. Kent 0, “Welfare state is a state that provides for its citizen a wide range of social service.
“প্রতিষ্ঠা রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্লেটো বলেন, জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র হলো এমন একটি রাষ্ট্র যার উদ্দেশ্য হলো সকল নাগরিকের ন্যায় করা।”। জাতিসংঘের মতে, “ যে রাষ্ট্র প্রতিটি নাগরিকের জন্য খাদ্য, শিক্ষা, বাসস্থান, বসু ও স্বাস্থ্যের সুবিধা প্রদান
করে এবং বেকারত্ব দূর করে জনগণের পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করে তাকেই জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলে
থাকে এবং সেবামূলক কাজের মাধ্যমে জনকল্যাণ নিশ্চিত করে।
উপসংহার: উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, কল্যাণ রাষ্ট্র হলো এমন এক রাষ্ট্র যেখানে ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং সেবামূলক কাজের মাধ্যমে জনকল্যাণ নিশ্চিত করে।