উত্তর: ভূমিকা: একটি আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্রকে একাধিক কার্য সম্পাদন করতে হয়। আধুনিক রাষ্ট্রের কার্যাবলী সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে জন স্টুয়ার্ট মিল বলেন, “রাষ্ট্রের প্রকৃত কার্যাবলী সম্পর্কে একটি সুনির্দিষ্ট মতামত গঠন করা অসম্ভব।” স্বাধীনতাবাদী দার্শনিকের মতে, যত কম কাজ তত ভালো। আবার উইলোরি এবং অন্যদের মতে, রাষ্ট্রের প্রচুর ক্ষমতা থাকা উচিত। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা রাষ্ট্রের কাজকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেছেন।রাষ্ট্রের কার্যাবলী: আধুনিক রাষ্ট্রের কার্যাবলীকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: ক. প্রয়োজনীয় কার্যাবলী এবং খ. ঐচ্ছিক কার্যক্রম। অত্যাবশ্যকীয় কর্তব্যসমূহ যা পূরণ না করা রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তাকে অপরিহার্য কর্তব্য বলে। প্রয়োজনীয় ফাংশন নিম্নরূপ:
১. প্রশাসন পরিচালনা করুন।
২.সার্বভৌমত্ব রক্ষা;
৩. অর্থনৈতিক কাজ
৪. এখতিয়ার
৫.আইন প্রণয়ন
৬কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন
৭.জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান
৮.অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা
৯.উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ঐচ্ছিক কার্যাবলী:
যেসব কাজ রাষ্ট্রের জন্য বাধ্যতামূলক নয় তাদের উচিত কার্যাবলী বলে। যথা:
১.যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন
২.সামাজিক নিরাপত্তা বিধান ৩.জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত ৪.কাজ শিল্প ও ব্যবসায় বাণিজ্য সংক্রান্ত
৫.কাজ কৃষি উন্নয়নমূলক কাজ
৬. শিক্ষা সংক্রান্ত কাজ
৭. শ্রমিক কল্যাণ সংক্রান্ত কাজ
৮.জনহিত কর কাজ
উপসংহার: আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে আধুনিক রাষ্ট্রের কার্যাবলী বৃদ্ধি পেয়েছে সাথে রাষ্ট্রের এসব কাজ সম্পাদন করতে হয় এ সমস্ত কাজ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ পারিপার্শ্বিকতা সরকারের ধরন ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল।