উত্তর : ভূমিকা : হুসেন শাহী শাসনকাল বাংলার ইতিহাসের মধ্যযুগে একটি উজ্জ্বল অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। ইলিয়াস শাহী
শাসনামলে বাংলার ইতিহাসে যে গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয় হুসেন শাহী শাসনামলে তার সার্থক রূপ লাভ করে। বাংলার ইতিহাসে হাবসী শাসন যখন একটি অরাজক অবস্থার সৃষ্টি করেছিল তখন আলাউদ্দিন হুসেন শাহ বাংলায় একটি স্থায়ী এবং শান্তিপূর্ণ শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত বংশ তার নামানুসারে হুসেন শাহী নামে পরিচিত ছিল। হুসেন শাহী বংশের শাসকগণ, বাংলার মুসলিম রাজ্যের
অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও স্থিতিশীলতা আনায়নে, রাজ্যেসীমা সম্প্রসারণে, সাহিত্য, ধর্ম, শিল্পকলা তথা শিক্ষা- সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ উৎকর্ষ সাধনে প্রভৃতিক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হন। এজন্য হুসেন শাহী শাসনামলকে বাংলার ইতিহাসে স্বর্ণযুগ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
→ হুসেন শাহী যুগকে বাংলার ইতিহাসে স্বর্ণযুগ। কারণে হুসেন শাহী যুগকে বাংলার ইতিহাসে স্বর্ণযুগ বলা হয়। নিম্নে সেগুলো হলো :
১. রাজ্য সম্প্রসারণ : হুসেন শাহী যুগের উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব হলো বাংলার রাজ্যের সম্প্রসারণ। হুসেন শাহী শাসকগণ
তাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সামরিক দক্ষতার কারণে বাংলার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিল। আলাউদ্দিন
হুসেন শাহী এবং নসরত শাহের সামরিক ও কূটনৈতিক কৃতিত্ব পশ্চিমে গোগরা এবং গঙ্গানদীর সঙ্গমস্থল হতে পূর্ব দিকে চট্টগ্রাম
এবং উত্তর-পূর্ব দিকে কামতা কামরূপ হতে দক্ষিণ-পশ্চিমে মন্দারন এবং চব্বিশ পরগনা পর্যন্ত বিশাল ভূখণ্ড হুসেন শাহী সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। যার ফলে হুসেন শাহী বংশ বিশাল সম্রাজ্যের অধিকারী হন।
২. প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা : একটি সৃষ্ট শাসন ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন একথা হুসেন শাহী বংশের সুলতানগণ ভালোভাবে
উপলব্ধি করেছিলেন। একারণে তারা ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে যোগ্যতার ভিত্তিতে সকলকে শাসনকার্যে নিযুক্ত করেন। আর এ জন্যই
জনগণ শাসকগণকে সকল প্রকার সাহায্যে সহযোগিতা করতেন।
৩. বাংলা সংস্কৃতির বিকাশ : হুসেন শাহী বংশের সুলতানগণ বহিরাগত হলেও তারা দীর্ঘদিন বাংলায় বসবাস করার ফলে বাঙালি জনগণের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকার ফলে
বাংলা সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হন এবং তা মনে প্রাণে গ্রহণ করেন। বাংলা সংস্কৃতির চরম উৎকর্ষ সাধনে হুসেন শাহী সুলতানগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
৪. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিকাশে অবদান : হুসেন শাহী সুলতানগণ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিকাশে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন
করেন। ইলিয়াস শাহী শাসনামলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের যে বিকাশ ধারা সূচিত হয়েছিল হুসেন শাহী আমলে তার পরিপূর্ণ বিকাশ
ঘটে। হুসেন শাহী শাসনামলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে যে নবজাগরণের সৃষ্টি হয়েছিল তা বাঙালির মেধা ও মননশীলতার দিকে দৃষ্টি দিলেই অনুভাব করা যায়। হুসেন শাহের অধীনস্থ চট্টগ্রামের শাসনকর্তা পরাগল খান ও ছুটি খানের পৃষ্ঠপোষকতায় যথাক্রমে
কবীন্দ্র পরমেশ্বর ও শ্রীকরনন্দী মহাভারত বাংলায় অনুবাদ করেন। এতে সহজেই বুঝ যায় যে, হুসেন শাহী আমলে বাংলা ভাষা ও
সংস্কৃতির অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছিল ।
৫. সঙ্গীতের উন্নয়ন : হুসেন শাহী সুলতানগণ শুধু সাহিত্যের প্রতি নন সঙ্গীতের প্রতি যথেষ্ট মনোযোগী ছিলেন। তারা সাহিত্যের মতো সঙ্গীতেরও ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। সে সময় বাংলায় সঙ্গীতের জন্য গদ্য কাব্যের প্রচলন ছিল। হুসেন শাহী যুগের সঙ্গীতের উপর বিভিন্ন গ্রন্থ রচিত হয়েছিল। এক্ষেত্রে কবি ফয়জুলাহ সঙ্গীত বিদ্যার উপর প্রথম গ্রন্থ রাগমালা রচনা করেছিলেন যা বাংলার সঙ্গীতের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পা
লন করে।
৬. ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসার : হুসেন শাহী সুলতানগণ ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে তাদের
পৃষ্ঠপোষকতায় বহু আলেম দরবেশ সুফি সাধক বাংলায় বসতি স্থাপন করেন এবং ধর্ম প্রচার করেন। হুসেন শাহী শাসকের
বাংলার বিভিন্ন স্থানে মসজিদ মাদ্রাসা ও খানকাহ প্রতিষ্ঠা করে ইসলামের পথ প্রশস্ত করেছিল।
৭. শিক্ষার উন্নয়ন : হুসেন শাহী যুগে সুলতানগণ বাংলার শিক্ষার উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন। তারা ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি ব্যাপক মনোযোগী ছিরেন। যার কারণে সে সময় ধর্মীয় শিক্ষার ব্যাপক বিকাশ ঘটে।
৮. স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ : হুসেন শাহী শাসনামলে বাংলার স্থাপত্য শিল্পের ব্যাপক অগ্রগতি ও বিকাশ সাধিত হয়েছিল ।
ইলিয়াস শাহী শাসনামলের স্থাপত্য শৈলী হুসেন শাহী আমলে আরো বেশি বিকশিত হয়। এ সময় বাংলার বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য
মসজিদ মাদ্রাসা ইমরাত খানকাহ, ফটক, জলাশয়, দুর্গ প্রভৃতি নির্মিত হয়। আলাউদ্দিন হুসেন শাহের আমলে গৌড়ের ছোট
সোনা মসজিদ, দিনাজপুরের সুরা মসিজদ সোনারগাঁয়ের গোয়ালদি মসজিদ, সুলতান নুসরাত শাহের শাসনামলে নির্মিত গৌড়ের বড় সোনা মসজিদ, রাজশাহী বাঘা মসজিদ প্রভৃতি ছিল হুসেন শাহী আমলের মসজিদ স্থাপত্য শিল্পের অপূর্ব নিদর্শন।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, মধ্যযুগীয় বাংলার ইতিহাসে হুসেন শাহী আমল সত্যিকার অর্থে এক গৌরবময় অধ্যায়। হুসেন শাহী সুলতানদের উদার পৃষ্ঠপোষকতার কারণে
রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা আনয়ন, শিল্প সাহিত্যের যে জাগরণ ঘটেছিল তা হুসেন শাহী যুগকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। হুসেন শাহী
সুলতানদের অপরিসীম অবদান রাখার জন্য বাংলার ইতিহাসে তাদের রাজত্বকালকে স্বর্ণযুগে হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় ।
হুসেন শাহী যুগকে বাংলার ইতিহাসে স্বর্ণযুগ বলা হয় কেন?
উত্তর : ভূমিকা : হুসেন শাহী শাসনকাল বাংলার ইতিহাসের মধ্যযুগে একটি উজ্জ্বল অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। ইলিয়াস শাহী
শাসনামলে বাংলার ইতিহাসে যে গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয় হুসেন শাহী শাসনামলে তার সার্থক রূপ লাভ করে। বাংলার ইতিহাসে হাবসী শাসন যখন একটি অরাজক অবস্থার সৃষ্টি করেছিল তখন আলাউদ্দিন হুসেন শাহ বাংলায় একটি স্থায়ী এবং শান্তিপূর্ণ শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত বংশ তার নামানুসারে হুসেন শাহী নামে পরিচিত ছিল। হুসেন শাহী বংশের শাসকগণ, বাংলার মুসলিম রাজ্যের
অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও স্থিতিশীলতা আনায়নে, রাজ্যেসীমা সম্প্রসারণে, সাহিত্য, ধর্ম, শিল্পকলা তথা শিক্ষা- সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ উৎকর্ষ সাধনে প্রভৃতিক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হন। এজন্য হুসেন শাহী শাসনামলকে বাংলার ইতিহাসে স্বর্ণযুগ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
→ হুসেন শাহী যুগকে বাংলার ইতিহাসে স্বর্ণযুগ। কারণে হুসেন শাহী যুগকে বাংলার ইতিহাসে স্বর্ণযুগ বলা হয়। নিম্নে সেগুলো হলো :
১. রাজ্য সম্প্রসারণ : হুসেন শাহী যুগের উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব হলো বাংলার রাজ্যের সম্প্রসারণ। হুসেন শাহী শাসকগণ
তাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সামরিক দক্ষতার কারণে বাংলার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিল। আলাউদ্দিন
হুসেন শাহী এবং নসরত শাহের সামরিক ও কূটনৈতিক কৃতিত্ব পশ্চিমে গোগরা এবং গঙ্গানদীর সঙ্গমস্থল হতে পূর্ব দিকে চট্টগ্রাম
এবং উত্তর-পূর্ব দিকে কামতা কামরূপ হতে দক্ষিণ-পশ্চিমে মন্দারন এবং চব্বিশ পরগনা পর্যন্ত বিশাল ভূখণ্ড হুসেন শাহী সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। যার ফলে হুসেন শাহী বংশ বিশাল সম্রাজ্যের অধিকারী হন।
২. প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা : একটি সৃষ্ট শাসন ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন একথা হুসেন শাহী বংশের সুলতানগণ ভালোভাবে
উপলব্ধি করেছিলেন। একারণে তারা ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে যোগ্যতার ভিত্তিতে সকলকে শাসনকার্যে নিযুক্ত করেন। আর এ জন্যই
জনগণ শাসকগণকে সকল প্রকার সাহায্যে সহযোগিতা করতেন।
৩. বাংলা সংস্কৃতির বিকাশ : হুসেন শাহী বংশের সুলতানগণ বহিরাগত হলেও তারা দীর্ঘদিন বাংলায় বসবাস করার ফলে বাঙালি জনগণের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকার ফলে
বাংলা সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হন এবং তা মনে প্রাণে গ্রহণ করেন। বাংলা সংস্কৃতির চরম উৎকর্ষ সাধনে হুসেন শাহী সুলতানগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
৪. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিকাশে অবদান : হুসেন শাহী সুলতানগণ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিকাশে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন
করেন। ইলিয়াস শাহী শাসনামলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের যে বিকাশ ধারা সূচিত হয়েছিল হুসেন শাহী আমলে তার পরিপূর্ণ বিকাশ
ঘটে। হুসেন শাহী শাসনামলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে যে নবজাগরণের সৃষ্টি হয়েছিল তা বাঙালির মেধা ও মননশীলতার দিকে দৃষ্টি দিলেই অনুভাব করা যায়। হুসেন শাহের অধীনস্থ চট্টগ্রামের শাসনকর্তা পরাগল খান ও ছুটি খানের পৃষ্ঠপোষকতায় যথাক্রমে
কবীন্দ্র পরমেশ্বর ও শ্রীকরনন্দী মহাভারত বাংলায় অনুবাদ করেন। এতে সহজেই বুঝ যায় যে, হুসেন শাহী আমলে বাংলা ভাষা ও
সংস্কৃতির অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছিল ।
৫. সঙ্গীতের উন্নয়ন : হুসেন শাহী সুলতানগণ শুধু সাহিত্যের প্রতি নন সঙ্গীতের প্রতি যথেষ্ট মনোযোগী ছিলেন। তারা সাহিত্যের মতো সঙ্গীতেরও ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। সে সময় বাংলায় সঙ্গীতের জন্য গদ্য কাব্যের প্রচলন ছিল। হুসেন শাহী যুগের সঙ্গীতের উপর বিভিন্ন গ্রন্থ রচিত হয়েছিল। এক্ষেত্রে কবি ফয়জুলাহ সঙ্গীত বিদ্যার উপর প্রথম গ্রন্থ রাগমালা রচনা করেছিলেন যা বাংলার সঙ্গীতের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পা
লন করে।
৬. ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসার : হুসেন শাহী সুলতানগণ ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে তাদের
পৃষ্ঠপোষকতায় বহু আলেম দরবেশ সুফি সাধক বাংলায় বসতি স্থাপন করেন এবং ধর্ম প্রচার করেন। হুসেন শাহী শাসকের
বাংলার বিভিন্ন স্থানে মসজিদ মাদ্রাসা ও খানকাহ প্রতিষ্ঠা করে ইসলামের পথ প্রশস্ত করেছিল।
৭. শিক্ষার উন্নয়ন : হুসেন শাহী যুগে সুলতানগণ বাংলার শিক্ষার উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন। তারা ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি ব্যাপক মনোযোগী ছিরেন। যার কারণে সে সময় ধর্মীয় শিক্ষার ব্যাপক বিকাশ ঘটে।
৮. স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ : হুসেন শাহী শাসনামলে বাংলার স্থাপত্য শিল্পের ব্যাপক অগ্রগতি ও বিকাশ সাধিত হয়েছিল ।
ইলিয়াস শাহী শাসনামলের স্থাপত্য শৈলী হুসেন শাহী আমলে আরো বেশি বিকশিত হয়। এ সময় বাংলার বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য
মসজিদ মাদ্রাসা ইমরাত খানকাহ, ফটক, জলাশয়, দুর্গ প্রভৃতি নির্মিত হয়। আলাউদ্দিন হুসেন শাহের আমলে গৌড়ের ছোট
সোনা মসজিদ, দিনাজপুরের সুরা মসিজদ সোনারগাঁয়ের গোয়ালদি মসজিদ, সুলতান নুসরাত শাহের শাসনামলে নির্মিত গৌড়ের বড় সোনা মসজিদ, রাজশাহী বাঘা মসজিদ প্রভৃতি ছিল হুসেন শাহী আমলের মসজিদ স্থাপত্য শিল্পের অপূর্ব নিদর্শন।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, মধ্যযুগীয় বাংলার ইতিহাসে হুসেন শাহী আমল সত্যিকার অর্থে এক গৌরবময় অধ্যায়। হুসেন শাহী সুলতানদের উদার পৃষ্ঠপোষকতার কারণে
রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা আনয়ন, শিল্প সাহিত্যের যে জাগরণ ঘটেছিল তা হুসেন শাহী যুগকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। হুসেন শাহী
সুলতানদের অপরিসীম অবদান রাখার জন্য বাংলার ইতিহাসে তাদের রাজত্বকালকে স্বর্ণযুগে হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় ।