অথবা, “সুসম সমাজ প্রতিষ্ঠায় নারী শিক্ষার গুরুত্ব সর্বাধিক” বর্ণনা কর।
অথবা, সুসম সমাজ প্রতিষ্ঠায় নারী শিক্ষার গুরুত্ব সংক্ষেপে লিখ।
অথবা, সুসম সমাজ প্রতিষ্ঠায় নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সংক্ষেপে তুলে ধর।
অথবা, সুসম সমাজ প্রতিষ্ঠায় নারী শিক্ষা কেন প্রয়োজন? সংক্ষেপে লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা : নারীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ এবং অনেক ক্ষেত্রে অবদানের যে বিষয় আজকের বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ধরা দিয়েছে তাই নারী অধ্যয়ন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা কেন পিছিয়ে আছে তাই হচ্ছে নারীর আলোচনা। অথচ সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠার পূর্ব শর্ত হচ্ছে নারী পুরুষ সমতা। সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠায় নারী শিক্ষার গুরুত্ব : নারী পুরুষের সম্পর্ক কিভাবে সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং সমাজের উন্নয়ন বৃদ্ধি করা যায় উইমেন্স স্টাডিস তা নিয়ে গবেষণা করে। জ্ঞানের এ শাখা কেবল নারীর সমস্যা, অধিকার ও কর্তব্য, তাদের সামাজিক ও জৈবিক ভূমিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এ প্রসঙ্গে Barbara তাঁর Women and
Politics Worldwide “The concrete practical everyday problems of living working and “1 living as equal person.” নারী ও পুরুষের সম্পর্কের সমন্বয়, সমঝোতা ও সহযোগিতা সুষ্ঠু ও সুষম সামাজিক উন্নয়নের চাবিকাঠি। তাই নারী পুরুষের সঠিক সম্পর্কের ভিত্তিতে সুষম ও সমাজভিত্তিক সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। নারী পুরুষের সম্পর্ক কিভাবে সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং সমাজের উত্তরোত্তর উন্নয়ন ঘটান যায় উইমেন্স স্টাডিস তা নিয়ে গবেষণা করে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি, বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় যে নৈরাজ্যকর অবস্থা বিদ্যামান থেকে মুক্তি লাভে সুষম সমাজ ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। সুষম সমাজ হলো যেখানে নারী পুরুষের সমান অধিকার থাকবে। আর এই সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠায় নারী শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।