সুলতানি শাসনামল জানতে ‘রিয়াজ-উস-সালাতিন’ গ্রন্থটি কতটা সহায়ক ছিল।

উত্তর : ভূমিকা : যথোপযুক্ত তথ্যের অভাবে বাংলায় সুলতানি আমলের ইতিহাস জানা কষ্টকর। তথাপি ঐতিহাসিক ও পর্যটকদের বিবরণ থেকে যা পাওয়া যায়, তা ছিল অনেকটা নির্ভরযোগ্য উপাদান। এ উপাদানসমূহ বাংলার ইতিহাস রচনায় অনেকটা সহায়তা করেছে। এসব গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের মধ্যে গোলাম হোসেন সলিমের ‘রিয়াজ-উস-সালাতিন’ ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক উপাদান। যা সুলতানি আমলে বাংলার ইতিহাস জানতে সহায়তা করে।
→ রিয়াজ-উস-সালাতিন: সৈয়দ গোলাম হোসেন সলিম কর্তৃক ‘রিয়াজ-উস-সালাতিন’ রচিত হয় ১৭৮৭-১৭৮৮ সালের মধ্যে। এ গ্রন্থটি ফার্সি গ্রন্থাবলি থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে রচিত হয়। তুলনামূলকভাবে এ গ্রন্থটি ছিল সমসাময়িক ঘটনাবলির সম্পর্কে প্রামাণ্য গ্রন্থ। গোলাম হোসেন সলিম এ রচনায় বাংলার ভৌগোলিক অবস্থা জলবায়ু ও উৎপন্ন কৃষি ও শিল্প দ্রব্যাদির বিবরণ তুলে ধরেছেন। ‘বাংলার ইতিহাস’ গ্রন্থের প্রণেতা মেজর চার্লস স্টুয়ার্ট ‘রিয়াজ-উস-সালাতিনের’ উপর নির্ভর করে
তার গ্রন্থ রচনা করেন। ‘রিয়াজ-উস-সালাতিন’ গ্রন্থের বিষয়বস্তু এবং ঐতিহাসিক ঘটনাবলির সন, তারিখের ক্ষেত্রে সঠিকতার বিষয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে। যে সমস্ত উৎসের উপর ভিত্তি করে এ দগ্রন্থটি রচিত তা সংখ্যায় অত্যন্ত নগণ্য এবং অধিকাংশ ঘটনাই
ন্দ কিংবদন্তি। তবুও বলা যায় যে, মুসলিম শাসন এবং মুসলিম রোজাদের বিবরণ সম্পর্কে গ্রন্থটি মূল্যবান ছিল ও আছে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মধ্যযুগের মুসলিম বাংলার ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে ‘রিয়াজ-উস-সালাতিন’ এর জুড়ি নেই। গ্রন্থটি নিয়ে কিছুটা বিতর্ক থাকলেও এর মূল্য অসীম। সমসাময়িক বাংলার সম্পর্কে জানতে এ গ্রন্থটির অবদান অনেক।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a5%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%ac/