উত্তর : ভূমিকা : সুবাদার শায়েস্তা খান বাংলার ইতিহাসে এক শক্তিশালি সুবাদার হিসেবে পরিচিত। সুবাদার শায়েস্তা খান স্থাপত্যকীর্তির জন্য বাংলার ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
স্থাপত্য শিল্পের বিকাশের জন্য শায়েস্তা খানের যুগ বাংলার মুগলদের স্বর্ণ যুগ হিসেবে পরিচিত।
→ শায়েস্তা খানের স্থাপত্যকীর্তি : শায়েস্তা খান মুঘল আমলে বাংলার একজন বিখ্যাত সুবেদার ছিলেন। তাঁর খ্যাতি মূলত বাংলার সুবেদার হিসেবে। নিম্নে শায়েস্তা খানের স্থাপত্যকীর্তি তুলে ধরা হলো :
১. হোসেনী দালান: হোসেনী দালান বা ইমামবাড়া বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের পুরানো ঢাকা এলাকায় অবস্থিত একটি শিয়া উপাসনালয় এবং কবরস্থান। শায়েস্তা খান ১৬৭৬ সালে হোসেনী দালান নির্মাণ করেন।
২. ছোট কাটরা : শায়েস্তা খান ছোট কাটরা নির্মাণ করেন যা চকবাজারে অবস্থিত। আনুমানিক ১৬৬৩-১৬৬৪ সালের দিকে ছোট কাটরা নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৬৭১ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
৩. শায়েস্তা খাঁর মসজিদ : শায়েস্তা খান মসজিদ পুরানো ঢাকার একটি অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। শায়েস্তা খাঁ যখন প্রথম ঢাকায় সুবেদার হন তখন এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। শায়েস্তা খাঁন মসজিদ বুড়িগঙ্গার কোল ঘেষে মিডফোর্ড হাসপাতালের পিছনে অবস্থিত ।
৪. সাত গুম্বুজ মসজিদ : সাত গুম্বুজ মসজিদ ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত। এই মসজিদটি শায়েস্তা খানের আমলে নির্মিত হয়। চারটি মিনারসহ সাতটি গম্বুজের কারণে মসজিদটির
নাম হয়েছে সাতগম্বুজ মসজিদ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মুঘল ইতিহাসে শায়েস্তা খান ছিলেন সম্পূর্ণভাবে একজন সফল শাসনকর্তা। শায়েস্তা খান
বাংলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যের দ্বারা একটি স্বর্ণযুগে উত্তীর্ণ করেন। বাংলার ইতিহাসে শায়েস্তা খানের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। স্থাপত্য যুগ ধরে শায়েস্তা খানের নাম বহন করছে।