অথবা, সিটি কর্পোরেশনের গঠন প্রক্রিয়ার স্বরূপ তুলে ধর।
অথবা, সিটি কর্পোরেশনের গঠন প্রক্রিয়া তুলে ধর।
অথবা, সিটি কর্পোরেশনের গঠন বর্ণনা কর।
অথবা, সিটি কর্পোরেশনের গঠন আলােচনা কর।
অথবা, সিটি কর্পোরেশনের গঠন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
অথবা, সিটি কর্পোরেশনের গঠন প্রক্রিয়া লিখ।
ভূমিকা : মহানগরসমূহের স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। মহানগরের বিভিন্ন সমস্যার সকল সমাধান ও সার্বিক উন্নতির প্রয়ােজনে সিটি কর্পোরেশন গঠনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের গঠন : ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশাল, রংপুর, গাজীপুরসহ দেশে মােট ১১টি সিটি কর্পোরেশন বিদ্যমান। নির্বাচিত সদস্য সমন্বয়ে সিটি কর্পোরেশন গঠিত হবে। সিটি কর্পোরেশনের এলাকাও কার্যপরিধির উপর তার সদস্য সংখ্যা নির্ধারিত হবে। সিটি কর্পোরেশনের প্রধানের পদটি মেয়র পদের মর্যাদায় ভূষিত হবে। সিটি কর্পোরেশন ভেদে মেয়রগণ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা ভােগ। করেন । মহানগরের বিভিন্ন সমস্যার সকল সমাধান ও সার্বিক উন্নতির প্রয়ােজনে সিটি কর্পোরেশন গঠনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন এলাকার জনসংখ্যার ভিত্তিতে সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। এজন্য সিটি কর্পোরেশনগুলাের সদস্যসংখ্যার মধ্যে তারতম্য বিদ্যমান। প্রতি ওয়ার্ড হতে একজন করে কমিশনার নির্বাচিত হন। সংরক্ষিত মহিলা আসনে মহিলা কমিশনার প্রত্যক্ষ ভােটে নির্বাচিত হবেন। সিটি কর্পোরেশনের প্রধানকে মেয়র বলা হয়। আইনের দ্বারা অযােগ্য নয়। এরূপ ব্যক্তি মেয়র ও কমিশনার নির্বাচিত হতে পারেন। সিটি কর্পোরেশনের কার্যকাল ৫ (পাঁচ) বছর।
উপসংহার : বাংলাদেশের বিভগীয় শহর তথা মহানগর এলাকার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন স্থাপন করা হয়েছে। মহানগরের জনজীবনের শ্রীবৃদ্ধি সাধন, গণ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দায়িত্বশীল নেতৃত্ব গঠনের উদ্দেশ্যে সিটি কর্পোরেশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে ।