সামাজিক বিমার সুবিধা ও অসুবিধাগুলো তুলে ধর।

উত্তর ঃ ভূমিকা : সামাজিক নিরাপত্তার অন্যতম একটি পদ্ধতি হচ্ছে সামাজিক বিমা। সামাজিক বিমা হচ্ছে এমন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাতে কোনো ব্যক্তি স্বীয় সামর্থ্য ও দূরদৃষ্টির সাহায্যে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ সাপেক্ষে নিজেকে ও তার পরিবারকে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও বিপর্যয়কালীন পরিস্থিতিতে আর্থিক দুর্বলতা কাঠামোর পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবনযাপনে
সহজেই সক্ষম হয়ে উঠে। সামাজিক বিমার কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে।
→ সামাজিক বিমার সুবিধা ঃ সামাজিক বিমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা নিম্নরূপ :
১. ঝুঁকির বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা : সামাজিক বিমার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো যে-কোনো ঝুঁকির বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এতে জনগণকে নিরাপত্তাদানের লক্ষ্যে ঝুঁকির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গৃহীত হয়ে থাকে ।
২. বিমাকারীর আইনগত অধিকার : সামাজিক বিমা বিমাকারীর এক ধরনের আইনগত অধিকার। যা কখনও ছিনিয়ে নেওয়া যাবে না।
৩. বিমাকারীর স্বাবলম্বী হওয়া : সামাজিক বিমাতে বিমাকারীর আর্থিক সাহায্য প্রাপ্তির সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারিত থাকে। যার ফলশ্রুতিতে তারা সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার স্বনির্ভর কর্মকাণ্ডে যোগদান করতে পারে। যা দেশ ও জাতিকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায় ।
৪. আর্থিক সাহায্যলাভ অসম্মানজনক নয় : এতে প্রাপ্য আর্থিক সাহায্যলাভ কখনই অসম্মানজনক বলে বিবেচিত হয় না।
৫. নির্দিষ্ট হারে চাঁদা প্রদান : সামাজিক বিমাতে একটি নির্দিষ্ট হারে চাঁদা প্রদানের ব্যবস্থা আছে। যা বিমাকারীর পক্ষে প্রদান করা অতি সহজ।
সামাজিক বিমার অসুবিধা ঃ সামাজিক বিমার কিছু অসুবিধা রয়েছে যা নিম্নরূপ :
১. কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য : সামাজিক বিমা কর্মরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই শুধু প্রযোজ্য হয়ে থাকে।
২. চাঁদা প্রদানে ব্যর্থ হলে সুবিধা পাওয়া যায় না ঃ যেসব দরিদ্র ব্যক্তি চাঁদা প্রদানে ব্যর্থ হয় তারা এর সুবিধা গ্রহণে সক্ষম হয় না।
৩. পরনির্ভরশীলতা হবার সম্ভাবনা : সামাজিক বিমা যে আর্থিক সুবিধা প্রদানে করা হয় তাতে সুবিধাভোগী পরনির্ভরশীল হবার সম্ভাবনা থাকে। যা দেশ ও জাতির উন্নয়ন ঘটাতে যথেষ্ট জটিলতা সৃষ্টি করে থাকে।
৪. সুবিধা পরিধি সীমিত ঃ সামাজিক বিমা সুযোগ-সুবিধার পরিধি অত্যন্ত কম। তাই শুধুমাত্র উক্ত বিমাতে অর্থ সরবরাহকারীই এর সুবিধা গ্রহণে সক্ষম হয়। যা সর্বজনীন কল্যাণ নিশ্চিতকরণে বাধার সৃষ্টি হয়।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক বিমা হচ্ছে সমাজস্থ মানুষের দুর্দশাগ্রস্ততা ও সার্বিক কল্যাণ সাধনের
নিমিত্তে প্রদত্ত আর্থিক সাহায্য। সামাজিক বিমা হচ্ছে সমাজের মানুষকে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে সময়ের বড় দাবি।
তাই সামাজিক বিমার কিছু অসুবিধা থাকলেও সুবিধা অগ্রাহ্য করা যায় না।

সামাজিক বিমার সুবিধা ও অসুবিধাগুলো তুলে ধর।

উত্তর ঃ ভূমিকা : সামাজিক নিরাপত্তার অন্যতম একটি পদ্ধতি হচ্ছে সামাজিক বিমা। সামাজিক বিমা হচ্ছে এমন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাতে কোনো ব্যক্তি স্বীয় সামর্থ্য ও দূরদৃষ্টির সাহায্যে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ সাপেক্ষে নিজেকে ও তার পরিবারকে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও বিপর্যয়কালীন পরিস্থিতিতে আর্থিক দুর্বলতা কাঠামোর পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবনযাপনে
সহজেই সক্ষম হয়ে উঠে। সামাজিক বিমার কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে।
→ সামাজিক বিমার সুবিধা ঃ সামাজিক বিমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা নিম্নরূপ :
১. ঝুঁকির বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা : সামাজিক বিমার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো যে-কোনো ঝুঁকির বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এতে জনগণকে নিরাপত্তাদানের লক্ষ্যে ঝুঁকির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গৃহীত হয়ে থাকে ।
২. বিমাকারীর আইনগত অধিকার : সামাজিক বিমা বিমাকারীর এক ধরনের আইনগত অধিকার। যা কখনও ছিনিয়ে নেওয়া যাবে না।
৩. বিমাকারীর স্বাবলম্বী হওয়া : সামাজিক বিমাতে বিমাকারীর আর্থিক সাহায্য প্রাপ্তির সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারিত থাকে। যার ফলশ্রুতিতে তারা সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার স্বনির্ভর কর্মকাণ্ডে যোগদান করতে পারে। যা দেশ ও জাতিকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায় ।
৪. আর্থিক সাহায্যলাভ অসম্মানজনক নয় : এতে প্রাপ্য আর্থিক সাহায্যলাভ কখনই অসম্মানজনক বলে বিবেচিত হয় না।
৫. নির্দিষ্ট হারে চাঁদা প্রদান : সামাজিক বিমাতে একটি নির্দিষ্ট হারে চাঁদা প্রদানের ব্যবস্থা আছে। যা বিমাকারীর পক্ষে প্রদান করা অতি সহজ।
সামাজিক বিমার অসুবিধা ঃ সামাজিক বিমার কিছু অসুবিধা রয়েছে যা নিম্নরূপ :
১. কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য : সামাজিক বিমা কর্মরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই শুধু প্রযোজ্য হয়ে থাকে।
২. চাঁদা প্রদানে ব্যর্থ হলে সুবিধা পাওয়া যায় না ঃ যেসব দরিদ্র ব্যক্তি চাঁদা প্রদানে ব্যর্থ হয় তারা এর সুবিধা গ্রহণে সক্ষম হয় না।
৩. পরনির্ভরশীলতা হবার সম্ভাবনা : সামাজিক বিমা যে আর্থিক সুবিধা প্রদানে করা হয় তাতে সুবিধাভোগী পরনির্ভরশীল হবার সম্ভাবনা থাকে। যা দেশ ও জাতির উন্নয়ন ঘটাতে যথেষ্ট জটিলতা সৃষ্টি করে থাকে।
৪. সুবিধা পরিধি সীমিত ঃ সামাজিক বিমা সুযোগ-সুবিধার পরিধি অত্যন্ত কম। তাই শুধুমাত্র উক্ত বিমাতে অর্থ সরবরাহকারীই এর সুবিধা গ্রহণে সক্ষম হয়। যা সর্বজনীন কল্যাণ নিশ্চিতকরণে বাধার সৃষ্টি হয়।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক বিমা হচ্ছে সমাজস্থ মানুষের দুর্দশাগ্রস্ততা ও সার্বিক কল্যাণ সাধনের
নিমিত্তে প্রদত্ত আর্থিক সাহায্য। সামাজিক বিমা হচ্ছে সমাজের মানুষকে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে সময়ের বড় দাবি।
তাই সামাজিক বিমার কিছু অসুবিধা থাকলেও সুবিধা অগ্রাহ্য করা যায় না।