সামাজিক নীতি প্রণয়নে সমাজকর্মীর ভূমিকা সংক্ষেপে লিখ ।

উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ সামাজিক নীতি বলতে সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করে। অন্যকথায় সামাজিক নীতি হচ্ছে সেসব সুশৃঙ্খল নিয়ম-কানুন বা নির্দেশ যা সমাজ কল্যাণমূলক কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্ত বায়নের ক্ষেত্রে আদর্শ হিসেবে অনুসরণ করা হয় ।
→ সামাজিক নীতি প্রণয়নে সমাজকর্মীর ভূমিকা তুলে ধরা হলো ঃ
১. সমস্যা চিহ্নিতকরণ : সামাজিক নীতি প্রণয়ন করার আগে এর সমস্যা চিহ্নিত করতে হয়। সমস্যা চিহ্নিত করে নীতি প্রণয়ন করা হয়ে থাকে। এই সমস্যা চিহ্নিত করে থাকেন সমাজকর্মী, কারণ সমাজকর্মী সামাজিক সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন।
২. চাহিদা চিহ্নিতকরণ ঃ জনগণের চাহিদার প্রতি গুরুত্ব রেখে সামাজিক নীতি প্রণীত হয়ে থাকে। জনগণের চাহিদা কি- তা সমাজকর্মী জানার চেষ্টা করেন। সামাজকর্মী জনগণের চাহিদা পূরণের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে নীতি বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা চালান ।
৩. উপাত্ত সংগ্রহ ঃ সমাজকর্মী নীতি সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় উপাত্ত সংগ্রহ করে থাকেন। যথার্থ উপাত্ত ব্যতীত নীতির কার্যকারিতা থাকে না। সমাজকর্মী সংগৃহীত উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন।
৪. উপাত্ত বিশ্লেষণ করা ঃ সমাজকর্মী উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে নীতির মূল্যায়ন করে থাকেন।
৫. কমিটির সদস্য হিসেবে ভূমিকা : সমাজকর্মী নীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন করে থাকেন। কমিটির সদস্যরা নীতি প্রণয়ন করে থাকেন।
৬. খসড়া নীতি প্রণয়ন করা : খসড়া নীতি তৈরিতে সমাজকর্মী ভূমিকা রাখে, চূড়ান্ত নীতি প্রণয়নের পূর্বে খসড়া নীতি তৈরি করা হয়।
৭. চূড়ান্ত নীতি প্রণয়ন ঃ সমাজকর্মী নীতি প্রণয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে থাকেন। চূড়ান্ত নীতি যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণয়নের পূর্বে সমাজকর্মী নীতিকে বাস্তবসম্মত করে তোলেন।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, একজন সমাজকর্মী একাধারে একজন সংগঠক, জনমত গঠনকারী, একজন বিশেষজ্ঞ এবং একজন গবেষক। অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতার বাস্তব প্রয়োগ ঘটিয়ে সামাজিক নীতিকে বাস্তব ও সময় উপযোগী করে তুলতে পারেন ।