সামাজিক নীতির কয়েকটি মডেল উল্লেখ কর।

উত্তর ঃ ভূমিকা : সামাজিক নীতি মডেলের সাথে সমাজকর্ম মডেলের সম্পর্ক বিদ্যমান। সমাজকর্ম অনুশীলন মডেল হলো সামাজিক নীতি মডেল বাস্তবয়নের জন্য একটি ব্যবহারিক রূপ আনায়ন এবং সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা। তবে সমাজকর্ম অনুশীলন মডেল পেশাগত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রণীত, গৃহীত ও পেশাদার সমাজকর্মী কর্তৃক প্রদত্ত সেবামূলক কর্মসূচি দ্বারা বাস্তবায়তি হয়ে থাকে ।
→ সামাজিক নীতির মডেল : সামাজিক নীতির মডেলগুলো বাস্তবায়ন ও মডেলগুলো চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে সামাজিক নীতি বাস্তবায়ন অনেক সহজ হয়ে যায়। নিম্নে সামাজিক নীতির মডেলগুলো উল্লেখ করা হলো :
১. এলিট মডেল ঃ সমাজে এলিট ব্যক্তিরা ক্ষমতাধর এবং বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত থাকেন। তাই নীতি তৈরির সময় তাদের মতামত গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা অত্যধিক। এছাড়া এলিটদের এ বিশ্বাস আছে, যে বিষয়টি তাদের জন্য মঙ্গলজনক, সেটি দেশের জন্যও মঙ্গলজনক। তাই তাদের সুবিধা ও স্বার্থই নীতি গ্রহণে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে।
২. প্রাতিষ্ঠানিক মডেল : নীতি প্রণয়নে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। কেন্দ্রীয় সরকারে আইন প্রণয়নের তারা হলেন নীতি তৈরির কর্তৃপক্ষ। তাই দেশের প্রয়োজনে তাদের মতামতের ভিত্তিতে নীতি প্রণীত হয় । থমাস তাই এ নীতি ক্ষেত্রে ৩টি বিষয়ের কথা বলেছেন যেমন –
(ক) জনগণের জন্য সকলের কল্যাণ নিশ্চিত হয়।
(খ) সরকারই নীতি প্রয়োগকারী।
(গ) জনগণের জন্য নীতি গ্রহণের ক্ষমতা একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠানের।
৩. স্বার্থকেন্দ্রিক দল মডেল ঃ নীতি তৈরির সময় সরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্বার্থকেন্দ্রিক দলের স্বাধীনতার দিকটি দেখতে হয়। আর এরূপ স্বাধীনতার নীতি তৈরি বা গ্রহণ করা হয়। সরকার স্বার্থকেন্দ্রিক দলের মধ্যকার ক্ষমতাধর পারস্পরিক ভারসাম্যতার নীতি প্রণীত হলে তা হয় আদর্শ নীতি।
৪. জনসমষ্টি রাজনীতি মডেল ঃ রাজনীতি, সরকার সংস্থা ও সমষ্টির বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে সমষ্টি পর্যায়ে জোরালো ও আদর্শ নীতি তৈরি করা সম্ভব। এরূপ নীতিতে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। ফলে এ নীতি বাস্তবায়ন সহজ হয় ।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, মডেলের ভিত্তিতে যদি নীতি প্রণীত হয়, তাহলে তা বাস্তবায়ন হবে এবং।জনগণের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে। তবে নীতি প্রণয়নকালীন সময়ে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, যেন তা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না আনে।