সামাজিক নীতির এলিট মডেল কাকে বলে?

উত্তর ঃ- ভূমিকা ঃ সমাজে যারা এলিট তারা ক্ষমতাধর এবং বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত থাকেন। তাই নীতি তৈরির সময় তাদের মতামত গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা অত্যধিক। এছাড়া এলিটদের এ বিশ্বাস আছে যে বিষয়টি তাদের জন্য মঙ্গলজনক, সেটি দেশের জন্য ও মঙ্গলজনক, তাই তাদের সুবিধা ও স্বার্থই নীতি গ্রহণে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে।
সামাজিক নীতির এলিট মডেল : সামাজিক নীতি বাস্তবায়নে সমাজের এলিট শ্রেণি বিশেষ করে যারা অর্থ বিত্ত্বের মালিক তাদের মতামতকে স্বকৃতি দানকে বোঝায়। সমাজে যারা উচু শ্রেণির মানুষ তারা সমাজের সর্বোত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করতে চায়। তাদের ধারণা তাদের কথায় আইন তারা যা বুঝে এবং যা চিন্তা করে তাই সঠিক। তারা
সাধারণ মানুষের বক্তব্য ও তাদের চিন্তা তারা মানতে নারাজ মূলত এসব বিষয়ই সমাজের এলিট মডেল রূপে চিহ্নিত হয়। এলিটরাই সামাজিক নীতি প্রণয়নে ভূমিকা পালন করে থাকে। তারা বিপুল সম্পদের মালিক থাকে। তারা অসুবিধাগ্রস্ত শ্রেণির জন্য নীতি নির্ধারকের ভূমিকা পালন করে থাকেন। এ মডেলে যাদের কল্যাণে নীতি প্রণয়ন করা হয়
তাদের অংশগ্রহণ থাকে না। এলিট মডেলের নীতিতে জনঅংশগ্রহণের প্রতিফলন ঘটে না। ফলে জাতীয় নীতি বাস্ত বসম্মত হয় না।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সমাজে এলিট শ্রেণি অন্যের উপর আধিপত্য বিস্তার এবং তাদের চিন্তার যাতে সমাজের সর্বত্র প্রয়োগ ও মান্য করা হয় তারা এই চিন্তা করে। সমাজে এলিট শ্রেণির তাদের এ মডেল বাস্তবায়ন করতে সর্বত্র ক্ষমতা ও শক্তি প্রয়োগ করে। যার ফলে তাদের সব চিন্তা বাস্তবায়ন যোগ্য হয়নি।