সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে ৪টি সম্পর্ক আলোচনা কর।

অথবা, সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে ৪টি ইতিবাচক সম্পর্ক আলোচনা কর।
অথবা, সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে ৪টি সাদৃশ্য আলোচনা কর।
অথবা, সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে ৪টি সামঞ্জস্য আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইন সমাজকর্মের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে।
সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে ৪টি সম্পর্ক : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিম্নে বর্ণনা করা হলো :
১. পরস্পর সহায়ক ও পরিপূরক : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইন একে অপরের পরিপূরক ও সহায়ক। সামাজিক আইন সামাজিক কার্যক্রমকে শক্তি যুগিয়ে থাকে। অপরদিকে সামাজিক কার্যক্রম সামাজিক আইনের সংশোধন ও
বাস্তবায়নে সহায়তা করে।
২. অভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইন অভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে কাজ করে। এ প্রসঙ্গে ডব্লিউ.এ.ফ্রিডল্যান্ডার বলেছেন, “সামাজিক কার্যক্রমের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিক আইন, স্বাস্থ্য ও সমাজসেবার উন্নয়ন।” সমাজ থেকে কুপ্রথা দূরীকরণ, অবহেলিত শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা, সামাজিক নীতি প্রণয়ন, সমাজের
কল্যাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. পরিকল্পিত পরিবর্তন আনয়ন : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইন উভয়েই সমাজের পরিকল্পিত ও কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনয়নে প্রচেষ্টা চালায়। এজন্য উভয়েই সামাজিক অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টিকারী উপাদানসমূহকে প্রতিরোধের মাধ্যমে সামাজিক প্রগতি আনয়ন করে থাকে। এ জাতীয় পরিবর্তনে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। এর ফলে সামাজিক উন্নয়ন তরান্বিত হয় এবং সামাজিক সমস্যার সমাধান সহজতর হয়।
৪. পদ্ধতিগত সাদৃশ্য : পদ্ধতি বা কৌশলগত দিক থেকে সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান। সামাজিক কার্যক্রম সমাজের কল্যাণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। এজন্য এর রয়েছে বিভিন্ন পদ্ধতি, কৌশল ও মডেল। এক্ষেত্রে সামাজিক কার্যক্রম প্ররোচনামূলক সহযোগিতা, প্রতিযোগিতা, প্রভৃতি এবং আইনানুগ সামাজিক কার্যক্রম মডেল অনুশীলন করে থাকে। এর ফলে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। উভয়ে পাশাপাশি অবস্থান করে সমাজসংস্কার তথা সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।

সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে ৪টি সম্পর্ক আলোচনা কর।

অথবা, সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে ৪টি ইতিবাচক সম্পর্ক আলোচনা কর।
অথবা, সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে ৪টি সাদৃশ্য আলোচনা কর।
অথবা, সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে ৪টি সামঞ্জস্য আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইন সমাজকর্মের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে।
সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে ৪টি সম্পর্ক : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিম্নে বর্ণনা করা হলো :
১. পরস্পর সহায়ক ও পরিপূরক : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইন একে অপরের পরিপূরক ও সহায়ক। সামাজিক আইন সামাজিক কার্যক্রমকে শক্তি যুগিয়ে থাকে। অপরদিকে সামাজিক কার্যক্রম সামাজিক আইনের সংশোধন ও
বাস্তবায়নে সহায়তা করে।
২. অভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইন অভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে কাজ করে। এ প্রসঙ্গে ডব্লিউ.এ.ফ্রিডল্যান্ডার বলেছেন, “সামাজিক কার্যক্রমের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিক আইন, স্বাস্থ্য ও সমাজসেবার উন্নয়ন।” সমাজ থেকে কুপ্রথা দূরীকরণ, অবহেলিত শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা, সামাজিক নীতি প্রণয়ন, সমাজের
কল্যাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. পরিকল্পিত পরিবর্তন আনয়ন : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইন উভয়েই সমাজের পরিকল্পিত ও কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনয়নে প্রচেষ্টা চালায়। এজন্য উভয়েই সামাজিক অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টিকারী উপাদানসমূহকে প্রতিরোধের মাধ্যমে সামাজিক প্রগতি আনয়ন করে থাকে। এ জাতীয় পরিবর্তনে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। এর ফলে সামাজিক উন্নয়ন তরান্বিত হয় এবং সামাজিক সমস্যার সমাধান সহজতর হয়।
৪. পদ্ধতিগত সাদৃশ্য : পদ্ধতি বা কৌশলগত দিক থেকে সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান। সামাজিক কার্যক্রম সমাজের কল্যাণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। এজন্য এর রয়েছে বিভিন্ন পদ্ধতি, কৌশল ও মডেল। এক্ষেত্রে সামাজিক কার্যক্রম প্ররোচনামূলক সহযোগিতা, প্রতিযোগিতা, প্রভৃতি এবং আইনানুগ সামাজিক কার্যক্রম মডেল অনুশীলন করে থাকে। এর ফলে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আইনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। উভয়ে পাশাপাশি অবস্থান করে সমাজসংস্কার তথা সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।