সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে পার্থক্য লিখ।

অথবা, সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে বৈসাদৃশ্য লিখ ।
অথবা, সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে নেতিবাচক সম্পর্ক উল্লেখ কর।
অথবা, সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে অসমঞ্জস্য দিকগুলো উল্লেখ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক বিদ্যমান। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমেই মূলত সামাজিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এতদসত্ত্বেও সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক
আন্দোলনের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রেেয়ছে।
সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে পার্থক্য : সামাজিক কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলনের কতিপয় পার্থক্য নিচে তুলে ধরা হলো :
১. পদ্ধতিগত পার্থক্য : সামাজিক কার্যক্রম সমাজকর্মের একটি সহায়ক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। অন্যদিকে, সামাজিক আন্দোলন সমাজকর্মের কোন স্বীকৃত পদ্ধতি নয়।
২. কৌশল বনাম প্রচেষ্টা : সামাজিক কার্যক্রম মূলত পেশাদার সমাজকর্মের একটি কৌশল। অপরদিকে, সামাজিক আন্দোলন একটি দলীয় প্রচেষ্টা।
৩. সমাজকর্মীর ভূমিকা : সামাজিক কার্যক্রমে সমাজকর্মী মূল ভূমিকা অর্থাৎ গাইড লাইন প্রণয়ন করেন। কিন্তু সামাজিক আন্দোলনে সমাজকর্মী নয় জনগণ অংশগ্রহণ করে থাকে।
৪. সামঞ্জস্যবিধান : সামাজিক কার্যক্রমে সমাজকর্মী জনগণকে সামঞ্জস্যবিধানে প্রচেষ্টা চালায়। অন্যদিকে সামাজিক আন্দোলন সামাজিক পরিবর্তনের সাথে সাথে আর কোন ভূমিকা রাখে না।
৫. স্তর বা ধাপ অনুসরণ : সমস্যা সমাধানে সামাজিক কার্যক্রম কয়েকটি স্তর বা ধাপ অনুসরণ করে চলে। কিন্তু আন্দোলনে এ ধরনের কোন স্তর বা ধাপ নেই।
৬. আইন অনুসরণ করা : সামাজিক কার্যক্রমকে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় পরিচালিত হতে হয়। অন্যদিকে, সামাজিক আন্দোলন দেশের প্রচলিত আইনে পরিচালিত হয় না।
উপসংহার : সামাজিক কার্যক্রম এবং সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও এদের মধ্যে যথেষ্ট মিল পরিলক্ষিত হয়। অর্থাৎ, সামাজিক কার্যক্রমের মধ্যবিন্দু হচ্ছে সামাজিক আন্দোলন। সামাজিক সমস্যা সমাধানে উভয়ের ভূমিকা রয়েছে। তাদের বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের মাধ্যমেই সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধান সম্ভব। এরা একে অপরের পরিপূরক হিসেবে ভূমিকা পালন করে থাকে।