সামাজিক কার্যক্রমের যে কোন ৪টি বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।

অথবা, সামাজিক কার্যক্রমের যে কোন ৪টি বিষয়বস্তু আলোচনা কর।
অথবা, সামাজিক কার্যক্রমের যে কোন ৪টি মানদণ্ড বর্ণনা কর।
অথবা, সামাজিক কার্যক্রমের যে কোন ৪টি প্রকৃতি বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : সামাজিক কার্যক্রম সমাজকর্মের একটি সাহায্যকারী প্রক্রিয়া হিসেবে এর নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সমাজবিজ্ঞানী W. A. Friedlander সামাজিক কার্যক্রমের বিভিন্ন ধরনের সংজ্ঞা পর্যালোচনা করে এর কতকগুলো বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতানুসারে, সামাজিক কার্যক্রমের এ বৈশিষ্ট্যগুলো সামাজিক কার্যক্রমকে সমাজকর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। সামাজিক কার্যক্রমের মূলকথা হলো সেবা প্রদানের জন্য সমাজে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা।
সামাজিক কার্যক্রমের ৪টি বৈশিষ্ট্য : নিম্নে সামাজিক কার্যক্রমের ৪টি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো :
১. দলীয় প্রচেষ্টা : সামাজিক কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো দলীয় প্রচেষ্টা। সামাজিক কার্যক্রম একটি সুসংগঠিত দলীয় প্রচেষ্টার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে দলগত উদ্যোগ একক অথবা সম্মিলিতভাবে গ্রহণ করা হয়।
২. সচেতনতা ও জনমত : সামাজিক কার্যক্রমের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সচেতনতা ও জনমত সৃষ্টি করা। এ পদ্ধতিতে সচেতনতা ও জনমত সৃষ্টির এক অনন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
৩. মূল্যবোধ ও ধ্যানধারণা : সামাজিক কার্যক্রমের এ বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে জনগণের মূল্যবোধ, ধ্যানধারণা এবং দৃষ্টিভঙ্গিতে গঠনমূলক ও যুগোপযোগী পরিবর্তন আনার প্রয়াস চালানো হয়।
৪. পরিকল্পিত ও সুসংগঠিত প্রচেষ্টা : এটি পরিকল্পিত ও সুসংগঠিত উপায়ে পরিবর্তন আনয়নে বিশ্বাসী। অবিচ্ছিন্নভাবে গড়ে উঠা কোন কার্যক্রমকে সমাজকর্মের সহায়তাকারী পদ্ধতি হিসেবে সামাজিক কার্যক্রম বলা যাবে না।
উপসংহার : সবশেষে মনীষী আরমান্ডো মোরালস এর সাথে সুর মিলিয়ে আমরা বলতে পারি “সমাজকর্মীরা জনসমষ্টি, দল, সংগঠনকে কার্যকরী ভূমিকা পালনে আইন প্রণয়ন করার মাধ্যমে মানুষের চাহিদা মিটানোর উদ্দেশ্যে সামাজিক কার্যক্রম কৌশল ব্যবহারের সম্পৃক্ত হয়।”