অথবা, সাক্ষাৎকার পদ্ধতির সমস্যাগুলো কী কী?
অথবা, সাক্ষাৎকার পদ্ধতি নেতিবাচক দিকসমূহ লেখ।
অথবা, সাক্ষাৎকার পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা উল্লেখ কর।
অথবা, সাক্ষাৎকার পদ্ধতির অসুবিধাগুলো কী কী?
উত্তর।৷ ভূমিকা : দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে পূর্ব নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে সমাযোজন স্থাপনের মাধ্যমে ঘটিত পেশাগত কথোপকথনই হলো সাক্ষাৎকার। সমাজকর্মে সাহায্যার্থীর সম্পর্কে মনোসামাজিক অনুধ্যান, সমস্যার কারণ নির্ণয় ও সমাধানের লক্ষ্যে সাহায্যার্থী সম্পর্কে তথ্যসংগ্রহের প্রয়োজন পড়ে। এ তথ্যসংগ্রহের উদ্দেশ্যে সাহায্যার্থী ও সমাজকর্মীর মধ্যে অনুষ্ঠিত পেশাগত আলাপ-আলোচনাই সাক্ষাৎকার।
সাক্ষাৎকার পদ্ধতির অসুবিধা : সাক্ষাৎকার পদ্ধতির ব্যাপক সুবিধা থাকলেও কিছু কিছু সমস্যাও রয়েছে।নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো :
১. সাক্ষাৎকার পদ্ধতিতে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর নিরক্ষর ও অজ্ঞ লোকজনের কাছ থেকে অনেক সময় সঠিক তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। তারা তথ্য প্রদানে অনেক সময় অহেতুক ভয় পায়।প্রতিকূল প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশে তথ্য প্রদানকারী সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীকে বা গবেষককে ভালোভাবে গ্রহণ করে না। ফলে সঠিক তথ্যসংগ্রহে ব্যাঘাত হয়।
৩. সাক্ষাৎকার পদ্ধতিতে দক্ষ, অভিজ্ঞ ও নৈপুণ্যতাসম্পন্ন তথ্যসংগ্রহকারীর প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই এ ধরনের তথ্যসংগ্রহকারীর যথেষ্ট অভাব লক্ষ করা যায়।
৪. এ পদ্ধতিটি বেশ সময়সাপেক্ষ। কারণ এতে প্রশ্নকারী তথ্য প্রদানকারীর সাথে সমাযোজন পূর্বক তার কাছে গিয়ে তথ্যসংগ্রহ করেন। অনেক সময় একই তথ্য বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে সংগ্রহ করে তার সত্যাসত্য যাচাই করতে হয়। ফলে অধিক সময় লাগে।
৫. সাক্ষাৎকার পদ্ধতিতে আর একটি প্রধান সমস্যা হলো তথ্যসংগ্রহকারীর পক্ষপাতিত্ব। এতে সাক্ষাৎকারের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, সাক্ষাৎকার পদ্ধতির যথেষ্ট সুবিধা থাকলেও এ পদ্ধতিও ত্রুটিমুক্ত নয়। এ পদ্ধতিরও কতিপয় অসুবিধা রয়েছে। এসব অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও এ পদ্ধতি তথ্যসংগ্রহের জন্য একটি উপযোগী পদ্ধতি।