সাক্ষরতা বলতে সাধারণত পড়া, লেখা এবং গণনা করার ক্ষমতাকে বোঝায়। এর মানে হলো একজন ব্যক্তি লিখিত তথ্য বুঝতে পারা, নিজের চিন্তাভাবনা লিখে প্রকাশ করতে পারা এবং মৌলিক গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে পারা।
তবে, আধুনিক সাক্ষরতার ধারণা আরও ব্যাপক। এটি কেবল অক্ষর জ্ঞান বা সংখ্যা জ্ঞানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এতে আরও কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত:
- কার্যকরী সাক্ষরতা (Functional Literacy): দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় পড়া, লেখা এবং গণনার দক্ষতা। যেমন – বিল বোঝা, ফর্ম পূরণ করা, রাস্তার নির্দেশনা পড়া ইত্যাদি।
- তথ্য সাক্ষরতা (Information Literacy): তথ্য খুঁজে বের করা, মূল্যায়ন করা এবং কার্যকরভাবে ব্যবহার করার ক্ষমতা।
- গণমাধ্যম সাক্ষরতা (Media Literacy): বিভিন্ন গণমাধ্যমের বার্তা বিশ্লেষণ ও বোঝার ক্ষমতা।
- ডিজিটাল সাক্ষরতা (Digital Literacy): ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য খুঁজে বের করা, তৈরি করা এবং যোগাযোগ করার ক্ষমতা।
এক কথায়, সাক্ষরতা হলো এমন একটি দক্ষতা যা একজন ব্যক্তিকে সমাজে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে এবং ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবন পরিচালনা করতে সহায়তা করে।