সরকারের চতুর্থ অঙ্গ হিসেবে গণমাধ্যম-কে বিবেচনা করা হয়।
গণমাধ্যম, যা সংবাদমাধ্যম নামেও পরিচিত, বিভিন্ন রূপে প্রকাশিত হয়—যেমন সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও, এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। এর মূল কাজ হলো তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, এবং জনসাধারণের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া।
গণমাধ্যমের ভূমিকা ও গুরুত্ব
- জনমত গঠন: গণমাধ্যম জনসাধারণের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করে এবং তাদের মতামত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি মানুষকে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে অবহিত রাখে।
- সরকারের উপর নজরদারি: গণমাধ্যম সরকারের কাজকর্মের উপর নজরদারি রাখে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির ঘটনা ঘটলে তা জনসাধারণের সামনে তুলে ধরে।
- জনগণের মুখপাত্র: এটি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা, দাবি, এবং অভিযোগ সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
- শিক্ষার প্রসার: গণমাধ্যম শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান এবং তথ্যের মাধ্যমে সমাজের শিক্ষার মান উন্নয়নেও অবদান রাখে।
যদিও সংবিধান স্পষ্টভাবে সরকারের চারটি অঙ্গের কথা উল্লেখ করে না, তবে গণতন্ত্রে গণমাধ্যমের এই শক্তিশালী প্রভাবের কারণে একে প্রায়শই সরকারের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে অপরিহার্য।